ETV Bharat / sitara

শাশ্বত-চৈতিদের কাছে স্বাধীনতা মানে কী ? - actors freedom

তাঁদের কাছে স্বাধীনতার মানে কী ? ETV ভারতের কাছে জানালেন তারকারা ।

োে্
োে্
author img

By

Published : Aug 15, 2020, 7:01 AM IST

Updated : Aug 15, 2020, 9:08 AM IST

কলকাতা : স্বাধীনতার মানে এক একজনের কাছে এক এক রকম । কেউ অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আবার কারও কাছে স্বাধীনতার মানে মন ও ভাষার স্বাধীনতা । তবে এই সময় দাঁড়িয়ে অনেক তারকাই কোরোনার হাত থেকে স্বাধীন হতে চাইছেন ।

সোহিনী সেনগুপ্ত : আমার কাছে স্বাধীনতা হল ভাবতে পারার স্বাধীনতা । বলতে পারার স্বাধীনতা । এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমার কাছে বিশাল বড় স্বাধীনতা । এটা আমি মেয়ে কিংবা ছেলে, দু'জনের ক্ষেত্রেই বলছি । আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই নিজের উপার্জন করার ক্ষমতা তৈরি হওয়া দরকার । অর্থনৈতিক স্বাধীনতা খুব বড় শক্তি জোগায়, সাহস জোগায় ।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় : আমার কাছে স্বাধীনতা হল দুর্নীতি থেকে স্বাধীনতা । আমার মনে হয় সেটা আমরা এখনও পর্যন্ত পাইনি । দুর্নীতি থেকে স্বাধীনতা পেলে দেশ সত্যিকারের স্বাধীন হবে । আমাদের স্বাধীনতার এত বছর হয়ে গেল, এখনও আমাদের মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে হয় কেন ? আমরা বিনা পয়সায় পরিষ্কার জল পাই না কেন ?

চৈতি ঘোষাল : আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তার মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের অধিকার, বাচ্চাদের অধিকার । তার সঙ্গে রয়েছে ধর্মের অধিকার । শুধু সমাজে নয়, বাড়ির ভিতরেও । এখনও যে বলতে হয় স্বামী-স্ত্রীর সমান অধিকার, সেটা যেন শুধু বলার জন্য না হয় । এটাই আমার কাছে স্বাধীনতা ।

ইশা সাহা : আমি স্বাধীনভাবে থাকতে চাই । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার এটাই মনে হচ্ছে । স্বাধীন মানে, এই যে মানুষের অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের ঢুকে পড়া, তাকে ভীষণভাবে বিচার করা, এই সব বিষয়গুলো থেকে আমি স্বাধীনতা চাই । এই যে বয়স্ক দাদু, 72 বছরে এসে বিয়ে করেছেন । এটা সামনে আসার পর থেকে সবাই ওঁর জীবনে ঢুকে পড়েছেন । এটা থেকেই স্বাধীনতা চাইছি । আমার বক্তব্য স্পষ্ট, অন্যকে ছাড়ুন, নিজে ভালো থাকুন । আরও একটা বড় জিনিস থেকে স্বাধীনতা চাইছি । সেটা হল কোরোনা থেকে স্বাধীনতা । এটা এখন আমরা সবাই চাইছি ।

তৃণা সাহা : আমাকে ধর্ষণ করা হবে না, এই ভাবনাটা মাথায় না নিয়ে যেদিন কোনও মেয়ে এই দেশে রাস্তাঘাটে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারবে, বাবা-মায়েরা শান্তিতে মেয়েদেরকে রাত একটা দেড়টা পর্যন্ত বাইরে রাখতে পারবে, সেদিন বুঝব স্বাধীন হয়েছি আমরা । যেসব মহিলারা এই দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরাই হয়তো পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারেননি । মেয়েরা না থাকলে তো কিছুই হত না ।

অনুরাধা মুখোপাধ্যায় : মনের স্বাধীনতা ও ভাষার স্বাধীনতাকেই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলে মনে করি । আমাদের দেশের স্বাধীনতা খুব আপেক্ষিক একটা কথা । মানুষ কথা বলতে ভয় পায় । কারণ, সেই কথা থেকে অন্য মানুষ তাকে বিচার করে । মানুষের মন এখন খুব সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে । আমি মনে করি, মনের দিক থেকে উদারতা প্রয়োজন । মানুষ খুব ছোটো করে সবকিছু চিন্তা করছে । তাই আমার মনে হয়, মনের এবং ভাষার স্বাধীনতা প্রয়োজন । মানুষের মধ্যে ঐক্যতাও চলে যাচ্ছে । আমাদের কোনও রাজ্যের সমস্যা হলে, সেটা রাজ্যেরই সমস্যা হয়ে থাকে, দেশের সমস্যা হয়ে ওঠে না । মনে হয় মানসিকভাবে স্বাধীন হয়ে উঠতে পারছি না । সেটা আমাদের খুব প্রয়োজন ।

কলকাতা : স্বাধীনতার মানে এক একজনের কাছে এক এক রকম । কেউ অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আবার কারও কাছে স্বাধীনতার মানে মন ও ভাষার স্বাধীনতা । তবে এই সময় দাঁড়িয়ে অনেক তারকাই কোরোনার হাত থেকে স্বাধীন হতে চাইছেন ।

সোহিনী সেনগুপ্ত : আমার কাছে স্বাধীনতা হল ভাবতে পারার স্বাধীনতা । বলতে পারার স্বাধীনতা । এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমার কাছে বিশাল বড় স্বাধীনতা । এটা আমি মেয়ে কিংবা ছেলে, দু'জনের ক্ষেত্রেই বলছি । আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই নিজের উপার্জন করার ক্ষমতা তৈরি হওয়া দরকার । অর্থনৈতিক স্বাধীনতা খুব বড় শক্তি জোগায়, সাহস জোগায় ।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় : আমার কাছে স্বাধীনতা হল দুর্নীতি থেকে স্বাধীনতা । আমার মনে হয় সেটা আমরা এখনও পর্যন্ত পাইনি । দুর্নীতি থেকে স্বাধীনতা পেলে দেশ সত্যিকারের স্বাধীন হবে । আমাদের স্বাধীনতার এত বছর হয়ে গেল, এখনও আমাদের মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে হয় কেন ? আমরা বিনা পয়সায় পরিষ্কার জল পাই না কেন ?

চৈতি ঘোষাল : আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তার মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের অধিকার, বাচ্চাদের অধিকার । তার সঙ্গে রয়েছে ধর্মের অধিকার । শুধু সমাজে নয়, বাড়ির ভিতরেও । এখনও যে বলতে হয় স্বামী-স্ত্রীর সমান অধিকার, সেটা যেন শুধু বলার জন্য না হয় । এটাই আমার কাছে স্বাধীনতা ।

ইশা সাহা : আমি স্বাধীনভাবে থাকতে চাই । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার এটাই মনে হচ্ছে । স্বাধীন মানে, এই যে মানুষের অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের ঢুকে পড়া, তাকে ভীষণভাবে বিচার করা, এই সব বিষয়গুলো থেকে আমি স্বাধীনতা চাই । এই যে বয়স্ক দাদু, 72 বছরে এসে বিয়ে করেছেন । এটা সামনে আসার পর থেকে সবাই ওঁর জীবনে ঢুকে পড়েছেন । এটা থেকেই স্বাধীনতা চাইছি । আমার বক্তব্য স্পষ্ট, অন্যকে ছাড়ুন, নিজে ভালো থাকুন । আরও একটা বড় জিনিস থেকে স্বাধীনতা চাইছি । সেটা হল কোরোনা থেকে স্বাধীনতা । এটা এখন আমরা সবাই চাইছি ।

তৃণা সাহা : আমাকে ধর্ষণ করা হবে না, এই ভাবনাটা মাথায় না নিয়ে যেদিন কোনও মেয়ে এই দেশে রাস্তাঘাটে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারবে, বাবা-মায়েরা শান্তিতে মেয়েদেরকে রাত একটা দেড়টা পর্যন্ত বাইরে রাখতে পারবে, সেদিন বুঝব স্বাধীন হয়েছি আমরা । যেসব মহিলারা এই দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরাই হয়তো পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারেননি । মেয়েরা না থাকলে তো কিছুই হত না ।

অনুরাধা মুখোপাধ্যায় : মনের স্বাধীনতা ও ভাষার স্বাধীনতাকেই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলে মনে করি । আমাদের দেশের স্বাধীনতা খুব আপেক্ষিক একটা কথা । মানুষ কথা বলতে ভয় পায় । কারণ, সেই কথা থেকে অন্য মানুষ তাকে বিচার করে । মানুষের মন এখন খুব সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে । আমি মনে করি, মনের দিক থেকে উদারতা প্রয়োজন । মানুষ খুব ছোটো করে সবকিছু চিন্তা করছে । তাই আমার মনে হয়, মনের এবং ভাষার স্বাধীনতা প্রয়োজন । মানুষের মধ্যে ঐক্যতাও চলে যাচ্ছে । আমাদের কোনও রাজ্যের সমস্যা হলে, সেটা রাজ্যেরই সমস্যা হয়ে থাকে, দেশের সমস্যা হয়ে ওঠে না । মনে হয় মানসিকভাবে স্বাধীন হয়ে উঠতে পারছি না । সেটা আমাদের খুব প্রয়োজন ।

Last Updated : Aug 15, 2020, 9:08 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.