কলকাতা : লিলি চক্রবর্তী, মাধবী মুখার্জি, দীপঙ্কর দের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতারা ETV ভারত সিতারাকে বলেই দিয়েছিলেন লকডাউন শিথিল হওয়ার পর শুটিং শুরু হলেও, তাঁরা কেউই এই মুহূর্তে ফ্লোরে ফিরতে চান না । আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে চান । তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স হয়েছে অনেকটাই । আর কোরোনা ভাইরাস বয়স্ক মানুষদেরই বেশি কাবু করছে । শুটিং করার নির্দিষ্ট সুরক্ষা বিধি থাকলেও, তাঁদের শুটিং ফ্লোরে ফেরার ইচ্ছে নেই তেমন । তবে গত সপ্তাহে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শুটিংয়ে ফিরেছেন । আর সৌমিত্রর পর এবার শুটিং ফ্লোরে ফিরলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় । খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা ।
একসময় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন । এখন খুব বেশি ডাক না পেলেও অভিনয়ের খিদেটা মিটিয়ে নেন কোনও না কোনওভাবে । নিয়মিত থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় । তাঁর দেশপ্রিয় পার্কের বাড়িতে নাটকের মহড়া বসে । নিজে নাটক পরিচালনা করেন । কোরোনা ভাইরাসের কারণে এখন সবই বন্ধ প্রায় । তাই মনটা ভালো ছিল না বিপ্লবের । কত দিন আর বাড়িতে বসে সময় কাটাবেন..কতই বা টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন । খবরের কাগজ, গল্পের বই এসব পড়ারও তো একটা ক্লান্তি আছে । আসলে দিনের শেষে অভিনেতা তো মঞ্চে কিংবা ক্যামেরার সামনেই ফিরতে চান ।
একটি টেলিফিল্ম পরিচালনা করছেন নন-ফিকশন শো 'রান্নাঘর'এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, নাম 'সুটকেস' । সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে শুটিং ফ্লোরে হাজির হয়েছিলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় ।
বিপ্লবের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকেন তাঁর স্ত্রী দীপ্তি চট্টোপাধ্যায় । ETV ভারত সিতারাকে দীপ্তিদেবী বলেন, "আমার তো খুব চিন্তা হচ্ছিল । লকডাউনে বাড়ি থেকে একদম বেরোনো মানা ছিল । আর আমাদের বাড়ির সিকিউরিটি এমন যে, বাইরে থেকেও কেউ আসতেও পারে না । ওঁর শুটিং ফ্লোরে ফেরা নিয়ে চার জায়গায় ফোন করতে হয়েছে । ডাক্তারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়েছে । তবে শুটিং করে খুব আনন্দ পেয়েছে বিপ্লব । শিশুর মতো আনন্দ যাকে বলে । মানুষটা তো এসবের মধ্যেই থাকতে ভালোবাসে ।"
শুটিং ফ্লোরেও খুব যত্ন নেওয়া হয়েছে বিপ্লবের । বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে তাঁর । সেই নিয়েও খুব খুশি বিপ্লব ও দীপ্তিদেবী ।
সুদীপার এই টেলিফিল্মে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন 'পটলকুমার গানওয়ালা'খ্যাত শিশুশিল্পী হিয়া দে । রয়েছেন কৌশিক সেন ও দেবলীনা দত্তও ।