কলকাতা : সুঅভিনেতার হওয়ার সঙ্গে অনিন্দ্য একজন সুপরিচালকও বটে। তাঁর পরবর্তী শর্টফিল্ম ভিক্টোরিয়ান পিরিয়ডে লেখা একটি কবিতাকে ভিত্তি করে। নতুন প্রজেক্ট সম্পর্কে জানালেন পরিচালক।
অনিন্দ্য বললেন, "রবার্ট ব্রাউনিংয়ের একটা কবিতা, নাম 'পরফাইরিয়াস লাভার' (Porphyria's Lover)। ভিক্টোরিয়ান সময়কার একটি কবিতা। সেখানে দেখানো হয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, যা আজও বর্তমান। ভিক্টোরিয়ান সময়ে পুরুষতান্ত্রিকতা যে চূড়ান্ত পর্যায় ছিল, ব্রাউনিংয়ের এই কবিতায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানে এক প্রেমিকের কাছে তার প্রেমিকা আসে, একটা ভালোবাসার মুহূর্ত তৈরি হয়। সেই মুহূর্তটিকে আটকে রাখতে ও প্রেমিকা যাতে পরে প্রেমিকের সঙ্গে কোনও প্রতারণ করতে না পারে, সেই জন্য প্রেমিকাকে মেরে ফেলে প্রেমিক। প্রেমিকা কোনও প্রতিবাদও করে না। এই গল্প থেকে আমরা একটা অন্য ডায়মেনশন পাই। বলা হয় যে, লাভ, ট্রুথ ও বিউটি সবচেয়ে উচ্চমানের ইন্টেলিজেন্স। এটা না থাকলে আমরা ভালোবাসাকে ধরতে পারব না, সত্যকে ধরতে পারব না, সুন্দরকেও ধরতে পারব না। এই আইডিয়া থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবি।"
'পরফাইরিয়াস লাভার'-এর সঙ্গে এখানে যুক্ত হয়েছে আরও তিন কবিতা। অনিন্দ্য বলেন, "আমার ছবিতে একটা প্রলগ পার্ট থাকে। যেটাকে আমরা ওয়াকার বলি। সিলভিয়া পাথ, ম্যাথু আর্নল্ড, TS এলিয়টের একটা করে কবিতা রেখেছি। এদের এই তিনটে কবিতাই মৃত্যু সম্পর্কিত। এই তিনটে কবিতা স্পর্শ করে মূল গল্পে ঢুকব। শর্টফিল্মের নাম রেখেছি 'পরফাইরিয়াস লাভার'। এই ফর্মটাকে ড্রামাটিক মোনোলগ বলে।"
ছবির কাস্ট সম্পর্কেও অনিন্দ্য জানালেন, "ছবিতে অভিনয় করছেন মুমতাজ সরকার, আরিয়ান, আমার মেয়ে। ইচ্ছা আছে ঋতাভরীকে একটা চরিত্র দেব। বাকিদেরটা নিশ্চিত হলেও, ঋতাভরীরটা এখনও নিশ্চিত হয়নি।"
ছবির শুটিং লোকেশন সম্পর্কে অনিন্দ্য বললেন, "ফিল্মটিতে একটা ব্রিটিশ লুক লাগবে। উত্তরবঙ্গের চা বাগানে যে বাংলো রয়েছে, একটু প্রাচীন, কাঠের মেঝে, সেরকম জায়গায় শুটিং করার ইচ্ছা আছে। হয় দার্জিলিং না হয় কালিম্পং। সবে চিত্রনাট্যের কাজ শেষ করেছি, প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হয়েছে।"