ETV Bharat / sitara

হাতে কাজ নেই, আতঙ্কে বাংলার জুনিয়র টেকনিশিয়নরা - corona scare

কোরোনা আতঙ্কের মধ্যে অধিকাংশ তারকাই সময় কাটাচ্ছেন বাড়িতে । কিন্তু টেকনিশিয়নরা ? কী করছেন তাঁরা ? তাঁরা তো অনেকেই দিনের হিসেবে টাকা পান ।

ংম
ংম
author img

By

Published : Mar 19, 2020, 10:55 PM IST

কলকাতা : কোরোনা আতঙ্কের জেরে স্থগিত সব শুটিং । বন্ধ সিনেমা হল । এই সময়ে অধিকাংশ তারকাই সময় কাটাচ্ছেন বাড়িতে । কেউ কোয়ারেন্টাইনে, তো কেউ সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সকলের সঙ্গে । কেউ আবার বই পড়া, সিনেমা দেখা ও লেখালেখির মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন । কিন্তু টেকনিশিয়নরা ? কী করছেন তাঁরা ? তাঁরা তো অনেকেই দিনের হিসেবে টাকা পান । যেদিন কাজ করেন, সেদিনেরই টাকা পান । আপাতত 18 থেকে 30 তারিখ পর্যন্ত শুটিং বন্ধ থাকায় কেমনভাবে চলছে তাঁদের ? খোঁজ নিল ETV ভারত ।

অনিমা । তিনি একজন হেয়ার ড্রেসার । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কাজ না করলে আমরা টাকা পাই না । একটা মিটিং হয়েছে, বলা হয়েছে পেমেন্ট করা হবে । এমনিতে আমি তো বাড়িতেই আছি । 'চুনিপান্না' ধারাবাহিকে হেয়ার ড্রেসিং করি । তবে এই কাজের উপর ভিত্তি করে আমার চলে না । এর বাইরে আয়ের রাস্তা খোলা রেখেছি । এই পরিস্থিতিতে সব টেকনিশিয়নদের সমস্যা হয়ে গেল । আমাদের মত যাঁদের স্বামী আছে, মনে হচ্ছে না যে না খেতে পেয়ে মরে যাব । কিন্তু একটা সমস্যা তো আছেই, যে একটা ফিক্সড টাকা আসছিল, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । এখানে কী আর করা যাবে ? সব জায়গাতেই যখন বন্ধ হয়ে গেছে । এটাকে আমাদের মানতেই হবে ।"

'রানু পেল লটারি', 'চুনি পান্না'-র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেন বনানী । তিনি সহ-পরিচালক । বলেন, "আমি তো অপেক্ষা করছি যে কবে থেকে শুটিং শুরু হবে । আমার রোজকার কাজ, রোজকার টাকা পাওয়া । খুব সমস্যায় আছি । একদিন মাত্র হয়েছে । বাড়িতেই আছি ।"

মেকআপ শিল্পী দীপঙ্কর চন্দ । একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি । বলেন, "আমাদের সমস্যা একটু বেশি । আমরা তো পুরোপুরি দিন আনি দিন খাই মানুষ । অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা খুব বড় সমস্যা হয়ে গেল আমাদের । আমি ফ্যাশনেও কাজ করি । সেটাও তো বন্ধ । তারপর বোলপুরে যাওয়ার কথা ছিল একটা শর্টফিল্মের জন্য । সেটাও হল না । দেখা যাক কি হয় ।"

হেয়ার ড্রেসার হেমা মুনশী বলেন, "আমার ডেইলি ওয়েজ । দিনের টাকা দিনে পাই । আমাদের তো আগের টাকাই ডিউ পরে আছে । এখন আপাতত জমানো টাকা দিয়ে কাজ চালাব । আমি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের একটা ছবিতে কাজ করছিলাম । ছবির নাম 'প্রেম প্রেম'। সেখানেও সব পেমেন্ট ডিউ হয়ে রয়েছে । এটা তো আমাদের হাতের বাইরে ।"

মেকআপ আর্টিস্ট পাপাই বলেন, "আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রিটাই নো ওয়ার্ক নো পে । এই মুহূর্তে খুব খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি । খুবই খারাপ পরিস্থিতি । আমার ঘরে একটা ছোটো বাচ্চা আছে । তার খাবার কী করে জোগাড় করব, সেটাই বুঝতে পারছি না । এই কাজের বাইরে যে জন্য কাজ করব, তারও কোনও উপায় নেই । মন্ত্রীদের থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে । কনফার্ম কিছু হয়নি । প্রোডাকশন ম্যানেজার শুধু আমাদের নামটাই নিয়েছে, ব্যাঙ্ক ডিটেলস নেয়নি এখনও । কিছু একটা নিশ্চয়ই ভেবেছে ওঁরা আমাদের জন্য । তবে আমরা কনফার্ম নই ।"

এ নিয়ে ফেডারেশন অফ সিনিয়র টেকনিশিয়নস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলি আমরা । তিনি বলেন, "দিন আনি দিন খাই টেশনিশিয়নদের জন্যে আমরা একটা ব্যবস্থা করছি । একটা প্যাকেজ তৈরি করেছি । দেখছি কীভাবে বিষয়টির সমাধান করা যায় ।"

কলকাতা : কোরোনা আতঙ্কের জেরে স্থগিত সব শুটিং । বন্ধ সিনেমা হল । এই সময়ে অধিকাংশ তারকাই সময় কাটাচ্ছেন বাড়িতে । কেউ কোয়ারেন্টাইনে, তো কেউ সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সকলের সঙ্গে । কেউ আবার বই পড়া, সিনেমা দেখা ও লেখালেখির মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন । কিন্তু টেকনিশিয়নরা ? কী করছেন তাঁরা ? তাঁরা তো অনেকেই দিনের হিসেবে টাকা পান । যেদিন কাজ করেন, সেদিনেরই টাকা পান । আপাতত 18 থেকে 30 তারিখ পর্যন্ত শুটিং বন্ধ থাকায় কেমনভাবে চলছে তাঁদের ? খোঁজ নিল ETV ভারত ।

অনিমা । তিনি একজন হেয়ার ড্রেসার । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কাজ না করলে আমরা টাকা পাই না । একটা মিটিং হয়েছে, বলা হয়েছে পেমেন্ট করা হবে । এমনিতে আমি তো বাড়িতেই আছি । 'চুনিপান্না' ধারাবাহিকে হেয়ার ড্রেসিং করি । তবে এই কাজের উপর ভিত্তি করে আমার চলে না । এর বাইরে আয়ের রাস্তা খোলা রেখেছি । এই পরিস্থিতিতে সব টেকনিশিয়নদের সমস্যা হয়ে গেল । আমাদের মত যাঁদের স্বামী আছে, মনে হচ্ছে না যে না খেতে পেয়ে মরে যাব । কিন্তু একটা সমস্যা তো আছেই, যে একটা ফিক্সড টাকা আসছিল, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । এখানে কী আর করা যাবে ? সব জায়গাতেই যখন বন্ধ হয়ে গেছে । এটাকে আমাদের মানতেই হবে ।"

'রানু পেল লটারি', 'চুনি পান্না'-র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেন বনানী । তিনি সহ-পরিচালক । বলেন, "আমি তো অপেক্ষা করছি যে কবে থেকে শুটিং শুরু হবে । আমার রোজকার কাজ, রোজকার টাকা পাওয়া । খুব সমস্যায় আছি । একদিন মাত্র হয়েছে । বাড়িতেই আছি ।"

মেকআপ শিল্পী দীপঙ্কর চন্দ । একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি । বলেন, "আমাদের সমস্যা একটু বেশি । আমরা তো পুরোপুরি দিন আনি দিন খাই মানুষ । অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা খুব বড় সমস্যা হয়ে গেল আমাদের । আমি ফ্যাশনেও কাজ করি । সেটাও তো বন্ধ । তারপর বোলপুরে যাওয়ার কথা ছিল একটা শর্টফিল্মের জন্য । সেটাও হল না । দেখা যাক কি হয় ।"

হেয়ার ড্রেসার হেমা মুনশী বলেন, "আমার ডেইলি ওয়েজ । দিনের টাকা দিনে পাই । আমাদের তো আগের টাকাই ডিউ পরে আছে । এখন আপাতত জমানো টাকা দিয়ে কাজ চালাব । আমি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের একটা ছবিতে কাজ করছিলাম । ছবির নাম 'প্রেম প্রেম'। সেখানেও সব পেমেন্ট ডিউ হয়ে রয়েছে । এটা তো আমাদের হাতের বাইরে ।"

মেকআপ আর্টিস্ট পাপাই বলেন, "আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রিটাই নো ওয়ার্ক নো পে । এই মুহূর্তে খুব খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি । খুবই খারাপ পরিস্থিতি । আমার ঘরে একটা ছোটো বাচ্চা আছে । তার খাবার কী করে জোগাড় করব, সেটাই বুঝতে পারছি না । এই কাজের বাইরে যে জন্য কাজ করব, তারও কোনও উপায় নেই । মন্ত্রীদের থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে । কনফার্ম কিছু হয়নি । প্রোডাকশন ম্যানেজার শুধু আমাদের নামটাই নিয়েছে, ব্যাঙ্ক ডিটেলস নেয়নি এখনও । কিছু একটা নিশ্চয়ই ভেবেছে ওঁরা আমাদের জন্য । তবে আমরা কনফার্ম নই ।"

এ নিয়ে ফেডারেশন অফ সিনিয়র টেকনিশিয়নস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলি আমরা । তিনি বলেন, "দিন আনি দিন খাই টেশনিশিয়নদের জন্যে আমরা একটা ব্যবস্থা করছি । একটা প্যাকেজ তৈরি করেছি । দেখছি কীভাবে বিষয়টির সমাধান করা যায় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.