কলকাতা : মুক্তি পেল 'ড্রাকুলা স্যার'। কলকাতার একটি মাল্টিপ্লেক্সে হয়ে গেল ছবির প্রিমিয়ার । ছবির কলাকুশলী তো বটেই, প্রিমিয়ারে যেন বসেছিল চাঁদের হাট ।
বিদেশি ছবিতে আমরা বহুবার দেখেছি কিংবা পড়েছি ড্রাকুলার গল্প । বড় বড় দুটি দাঁত । সাদা মুখ । কালো কোট । রক্ত পিপাসু ড্রাকুলা যেন ফ্যান্টাসির একটা বড় অঙ্গ হয়ে উঠেছে ।
এদিকে বাংলায় তো ড্রাকুলাই নেই । বিদেশের সেই মিথে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া দিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য । বারবার মনে করাবে, "লাশ কা মাউন্টেন, খুন কা ফাউন্টেন, ডেঞ্জার ডেঞ্জার ডেঞ্জার"। ড্রাকুলা হয়ে ধরা দিয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য । পার্টটাইম একজন টিচার, নাম যার রক্তিম, গ্রামে যার বাড়ি, নিতান্তই ছাপোষা একজন মানুষই এই ছবির ড্রাকুলা স্যার ।
ড্রাকুলা স্যার নাম কেন ? বিদেশি বইতে পড়া কিংবা ছবিতে দেখা ভয়ানক ড্রাকুলারের সিগনেচার দাঁতগুলির মতো রক্তিমেরও রয়েছে সেরকম দাঁত । আর রয়েছে বেদনাতুর এক অতীত । ছবিতে অনির্বাণ ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, চরিত্রের নাম মঞ্জরী । এমন এক নারী চরিত্র যে বারবার ফুটে ওঠে ফ্ল্যাশব্যাকে ।
এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বহু আগে । লকডাউন না হলে অনেক আগেই মুক্তি পেত এই ছবি । তবে এই ছবির জন্য দর্শকের অপেক্ষা ছিল । কারণটা অনেকটাই অনির্বাণ এর অভিনয় । শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেল ছবি । প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, ইশা সাহা, জয় সেনগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সৌরভ দাস, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতুব্রত মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, সন্দীপ্তা সেন, মধুমিতা সরকার, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে । অবশ্যই ছবির প্রধান দুই অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যও ছিলেন প্রিমিয়ারে । কেক কেটে পালিত হল প্রিমিয়ার ।