ETV Bharat / sitara
World No Tobacco Day Special : টলিউড সেলিব্রিটিদের স্বীকারোক্তি ও উপদেশ - ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে
"ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক; এতে কর্কটরোগ হয়।", সিনেমা শুরু হওয়ার আগে এই সতর্কবাণী নতুন নয়। তাও জ্ঞানপাপীরা কিছুতেই বর্জন করতে পারেন না তামাকজাত দ্রব্যকে। সব জেনেবুঝেই সেবন করেন মারণ তামাক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মূলত নেশার কবলে পড়েই এই দুর্দশা হয়। নেশা মানুষকে কব্জা করে ফেলে। আজ World No Tobacco Day। কলকাতার টলিপাড়ার বিখ্যাতরা সতর্ক করলেন সক্কলকে। তাঁদের মধ্যে এখনও কেউ কেউ তামাকসেবন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। আক্ষেপ প্রকাশ করলেন সেই নিয়েও। কেউ আবার বিকল্প হিসেবে টিপসও দিলেন। ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন টলিপাড়ার সেলিব্রিটিরা।
ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে
By
Published : May 31, 2019, 6:04 PM IST
| Updated : Jun 2, 2019, 4:02 PM IST
- সোহিনী সরকার : কলেজে পড়ার সময় থেকে ধূমপান করেন সোহিনী সরকার। স্বীকার করলেন নিজের মুখেই। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি ঠিক করেছেন ধূমপান ছাড়বেন। সোহিনীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "কিছুদিন অন্তরই ঠিক করি এবার সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেব। কিন্তু আমি ফেল করি। এটা বিশ্বাস করি, স্মোক করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ থাকে না। এক্সকিউজ় থাকে না। চিকিৎসকেরা সর্বক্ষণই বলে চলেছেন মদ্যপানের চেয়েও ধূমপান বেশি ক্ষতিকারক। আমি চেষ্টা করি কারওর সামনে স্মোক না করতে। মূলত বাড়িতেই করি, যখন একা থাকি। পাবলিক প্লেস অ্যাভয়েড করি। আমি এখন যে থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে অদ্ভুতভাবে কেউ স্মোক করে না। তাই সেখানে গিয়ে আমার এই অভ্যেস বিরত থাকে। তবে আমি চেইনস্মোকার নই। এমনও হয়, দিনের পর দিন আমি স্মোক করিনি। পার্টনার পেলে তখন একটুআধটু হয়ে যায়। মূলত, শুটিংয়ের সময়। তবে একটা কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি, ধূমপান সত্যি খুব খারাপ অভ্যাস। যাঁরা করছেন তাঁরা এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়ার চেষ্টা করো। আমিও ছাড়ার চেষ্টায় আছি। সিগারেট স্মোকিং করার কোনও এক্সকিউজ় থাকে না। আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। রাস্তাঘাটে যখন কাউকে সিগারেট খেতে দেখি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি এটা কিন্তু একেবারেই জেন্ডার বায়াস্ড হয়ে বলছি না। আমি এটা মনে করি না, একটা মেয়ে সিগারেট খেলেই সে খারাপ। সিগারেট খাওয়াটা একটা খারাপ অভ্যাস, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। বিশেষ করে বাচ্চাদের সামনে কেউ স্মোক করলে আমার আরও খারাপ লাগে। আর যাঁরা স্মোক করে না, তাঁদেরকে প্যাসিভ স্মোকার বানিয়ে তো কোনও লাভ নেই। কারণ, প্যাসিভ স্মোকিং আরও ক্ষতিকারক। তাই নো স্মোকিং।"
- মৈনাক ভৌমিক : মৈনাক নিয়মিত ধূমপান করেন। তাঁকে ফোন করার সাথে সাথেই তিনি আঁতকে ওঠেন। বলেন, "সবাই তো জানে (সিগারেটের নাম না করে)। ব্যাড হ্যাবিট। এটুকুই বলতে চাই। কুইট করাই ভালো। আমার পাশে মা আছে। তিনি জানেন না আমিওওওও..."
- পার্নো মিত্র : "খুব খারাপ অভ্যেস", বলেই ফেললেন পার্নো। বললেন, "আজ ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে। সিগারেট ছাড়ার জন্য এর থেকে ভালো দিন আর হতে পারে না। তাই যাঁরা স্মোক করেন, বা স্মোক ছাড়ার কথা ভাবছেন, আজই ছেড়ে ফেলুন। আপনার অনেকখানি এনার্জি বেড়ে যাবে। স্কিন ভালো হবে। চুল পড়া কমবে। আর সর্বোপরি অনেকগুলো টাকা বাঁচবে। সেই টাকায় আপনি অন্যের সাহায্য করতে পারেন। নিজের জন্য ভালো কিছু কিনতে পারেন। তাই ওয়াই স্মোক। প্লিজ কুইট।"
- সায়নী ঘোষ : তাঁরও অভ্যাসটি রয়েছে। বললেন, "একটা কথাই বলতে পারি, ইট ইস ইঞ্জুরিয়াস। আমার মতো কিছু জ্ঞানপাপী লোকজন আছেন, যাঁরা এখনও করে চলেছেন। এটা উচিত কন্ট্রোল করা। বা বন্ধ করে দেওয়া। যাঁরা এখনও পর্যন্ত টোব্যাকোর উপর নির্ভরশীল হয়নি, তাঁদের এখনই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ, এই নেশা কিন্তু সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আমি রোজই রেজ়োলিউশন নিই, কিন্তু রোজই ভেঙে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো, কতটা কঠিন এই অভ্যাস ছাড়া। কিন্তু আমার বিশ্বাস, একদিন না একদিন আমি ঠিক ছাড়তে পারব।"
- অনীক দত্ত : ফুসফুস দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়েছেন সিগারেট ছাড়তে। ফোন পাওয়া মাত্রই বললেন, "তাহলে তো গাড়িতে চড়াও বন্ধ করে দিতে হবে। বাইরে এত পলিউশন। আমার একটাই কথা বলার। সবাই সব জানে। সবাই জ্ঞানপাপী। আমার ভালো লাগত। তাই খেতাম। নিজেই নিজের ক্ষতি করে ফেলেছি। এখন সেটা বুঝতে পারি। নিজের সর্বনাশ না চাইলে খাবেন না। এটুকুই বলতে পারি।"
- অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় : অনিন্দ্য জীবনের প্রথমদিকে বিপথে চলে গিয়েছিলেন। তা তিনি স্বীকার করেন নিজের মুখেই। তবে আড়াই বছর হল সিগারেট ছেড়েছেন। তিনি সিগারেট ছাড়ার বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলে দিলেন। বললেন, " বিগত পাঁচ বছরে যদি কোনও ভালো কাজ করে থাকি, তাহলে সিগারেট ছাড়া। আমি আড়াই বছর সিগারেটকে হাতও দিইনি। বিশ্বাস করুন, খুব ভালো আছি। সেই টাকা জমিয়ে আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও কিনেছি। তবে এটাও ঠিক, চট করে সিগারেট ছাড়া যায় না। ভিতর থেকে একটা ক্রেভিং হতে থাকে। এটাই মানুষকে সিগারেট ছাড়তে দেয় না। তার জন্য মানুষ ওয়েপের (wape) সাহায্য নিতে পারেন। এটা একটা ইলেকট্রনিক মেশিনের মতো। একেবারে টার ফ্রি, নো টোব্যাকো। আমি এর সাহায্য নিই। বাকিরাও নিতে পারেন। সিগারেট ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছি।"
- সোহিনী সরকার : কলেজে পড়ার সময় থেকে ধূমপান করেন সোহিনী সরকার। স্বীকার করলেন নিজের মুখেই। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি ঠিক করেছেন ধূমপান ছাড়বেন। সোহিনীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "কিছুদিন অন্তরই ঠিক করি এবার সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেব। কিন্তু আমি ফেল করি। এটা বিশ্বাস করি, স্মোক করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ থাকে না। এক্সকিউজ় থাকে না। চিকিৎসকেরা সর্বক্ষণই বলে চলেছেন মদ্যপানের চেয়েও ধূমপান বেশি ক্ষতিকারক। আমি চেষ্টা করি কারওর সামনে স্মোক না করতে। মূলত বাড়িতেই করি, যখন একা থাকি। পাবলিক প্লেস অ্যাভয়েড করি। আমি এখন যে থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে অদ্ভুতভাবে কেউ স্মোক করে না। তাই সেখানে গিয়ে আমার এই অভ্যেস বিরত থাকে। তবে আমি চেইনস্মোকার নই। এমনও হয়, দিনের পর দিন আমি স্মোক করিনি। পার্টনার পেলে তখন একটুআধটু হয়ে যায়। মূলত, শুটিংয়ের সময়। তবে একটা কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি, ধূমপান সত্যি খুব খারাপ অভ্যাস। যাঁরা করছেন তাঁরা এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়ার চেষ্টা করো। আমিও ছাড়ার চেষ্টায় আছি। সিগারেট স্মোকিং করার কোনও এক্সকিউজ় থাকে না। আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। রাস্তাঘাটে যখন কাউকে সিগারেট খেতে দেখি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি এটা কিন্তু একেবারেই জেন্ডার বায়াস্ড হয়ে বলছি না। আমি এটা মনে করি না, একটা মেয়ে সিগারেট খেলেই সে খারাপ। সিগারেট খাওয়াটা একটা খারাপ অভ্যাস, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। বিশেষ করে বাচ্চাদের সামনে কেউ স্মোক করলে আমার আরও খারাপ লাগে। আর যাঁরা স্মোক করে না, তাঁদেরকে প্যাসিভ স্মোকার বানিয়ে তো কোনও লাভ নেই। কারণ, প্যাসিভ স্মোকিং আরও ক্ষতিকারক। তাই নো স্মোকিং।"
- মৈনাক ভৌমিক : মৈনাক নিয়মিত ধূমপান করেন। তাঁকে ফোন করার সাথে সাথেই তিনি আঁতকে ওঠেন। বলেন, "সবাই তো জানে (সিগারেটের নাম না করে)। ব্যাড হ্যাবিট। এটুকুই বলতে চাই। কুইট করাই ভালো। আমার পাশে মা আছে। তিনি জানেন না আমিওওওও..."
- পার্নো মিত্র : "খুব খারাপ অভ্যেস", বলেই ফেললেন পার্নো। বললেন, "আজ ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে। সিগারেট ছাড়ার জন্য এর থেকে ভালো দিন আর হতে পারে না। তাই যাঁরা স্মোক করেন, বা স্মোক ছাড়ার কথা ভাবছেন, আজই ছেড়ে ফেলুন। আপনার অনেকখানি এনার্জি বেড়ে যাবে। স্কিন ভালো হবে। চুল পড়া কমবে। আর সর্বোপরি অনেকগুলো টাকা বাঁচবে। সেই টাকায় আপনি অন্যের সাহায্য করতে পারেন। নিজের জন্য ভালো কিছু কিনতে পারেন। তাই ওয়াই স্মোক। প্লিজ কুইট।"
- সায়নী ঘোষ : তাঁরও অভ্যাসটি রয়েছে। বললেন, "একটা কথাই বলতে পারি, ইট ইস ইঞ্জুরিয়াস। আমার মতো কিছু জ্ঞানপাপী লোকজন আছেন, যাঁরা এখনও করে চলেছেন। এটা উচিত কন্ট্রোল করা। বা বন্ধ করে দেওয়া। যাঁরা এখনও পর্যন্ত টোব্যাকোর উপর নির্ভরশীল হয়নি, তাঁদের এখনই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ, এই নেশা কিন্তু সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আমি রোজই রেজ়োলিউশন নিই, কিন্তু রোজই ভেঙে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো, কতটা কঠিন এই অভ্যাস ছাড়া। কিন্তু আমার বিশ্বাস, একদিন না একদিন আমি ঠিক ছাড়তে পারব।"
- অনীক দত্ত : ফুসফুস দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়েছেন সিগারেট ছাড়তে। ফোন পাওয়া মাত্রই বললেন, "তাহলে তো গাড়িতে চড়াও বন্ধ করে দিতে হবে। বাইরে এত পলিউশন। আমার একটাই কথা বলার। সবাই সব জানে। সবাই জ্ঞানপাপী। আমার ভালো লাগত। তাই খেতাম। নিজেই নিজের ক্ষতি করে ফেলেছি। এখন সেটা বুঝতে পারি। নিজের সর্বনাশ না চাইলে খাবেন না। এটুকুই বলতে পারি।"
- অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় : অনিন্দ্য জীবনের প্রথমদিকে বিপথে চলে গিয়েছিলেন। তা তিনি স্বীকার করেন নিজের মুখেই। তবে আড়াই বছর হল সিগারেট ছেড়েছেন। তিনি সিগারেট ছাড়ার বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলে দিলেন। বললেন, " বিগত পাঁচ বছরে যদি কোনও ভালো কাজ করে থাকি, তাহলে সিগারেট ছাড়া। আমি আড়াই বছর সিগারেটকে হাতও দিইনি। বিশ্বাস করুন, খুব ভালো আছি। সেই টাকা জমিয়ে আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও কিনেছি। তবে এটাও ঠিক, চট করে সিগারেট ছাড়া যায় না। ভিতর থেকে একটা ক্রেভিং হতে থাকে। এটাই মানুষকে সিগারেট ছাড়তে দেয় না। তার জন্য মানুষ ওয়েপের (wape) সাহায্য নিতে পারেন। এটা একটা ইলেকট্রনিক মেশিনের মতো। একেবারে টার ফ্রি, নো টোব্যাকো। আমি এর সাহায্য নিই। বাকিরাও নিতে পারেন। সিগারেট ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছি।"
Intro:"Cigarette smoking is injurious to health, it causes cancer. ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতে কর্কটরোগ হয়।"
সিনেমা শুরু হওয়ার আগে এই সতর্কবাণী নতুন নয়। তাও জ্ঞানপাপীরা কিছুতেই বর্জন করতে পারেন না তামাকজাতীয় দ্রব্যকে। সব জেনেবুঝেই সেবন করেন মারণ তামাক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মূলত নেশার কবলে পড়েই এই দুর্দশা হয়। নেশা মানুষকে কব্জা করে ফেলে। আজ ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে। কলকাতার টলিপাড়ার বিখ্যাতরা সতর্ক করলেন সক্কলকে। তাঁদের মধ্যে এখনও কেউ কেউ তামাকসেবন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। আক্ষেপ প্রকাশ করলেন সেই নিয়েও। কেউ আবার বিকল্প হিসেবে টিপসও দিলেন। ETV Bharat'এর সঙ্গে কথা বললেন তাঁরা -
Body:সোহিনী সরকার :
কলেজে পড়ার সময় থেকে ধূমপান করেন সোহিনী সরকার। স্বীকার করলেন নিজের মুখেই। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি ঠিক করেছেন ধূমপান ছাড়বেন। সোহিনীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "কিছুদিন অন্তরই ঠিক করি এবার সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেব। কিন্তু আমি ফেল করি। এটা বিশ্বাস করি, স্মোক করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ থাকে না। এক্সকিউজ থাকে না। চিকিৎসকেরা সর্বক্ষণই বলে চলেছেন মদ্যপানের চেয়েও ধূমপান বেশি ক্ষতিকারক। আমি চেষ্টা করি কারওর সামনে স্মোক না করতে। মূলত বাড়িতেই করি, যখন একা থাকি। পাবলিক প্লেসকে অ্যাভয়েড করি। আমি এখন যে থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে অদ্ভুতভাবে কেউ স্মোক করে না। তাই সেখানে গিয়ে আমার এই অভ্যেস বিরত থাকে। তবে আমি চেইনস্মোকার নই। এমনও হয়, দিনের পর দিন আমি স্মোক করিনি। পার্টনার পেলে তখন একটুআধটু হয়ে যায়। মূলত, শুটিংয়ের সময়। তবে একটা কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি, ধূমপান সত্যি খুব খারাপ অভ্যাস। যাঁরা করছেন বা যারা করো এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়ার চেষ্টা করো। আমিও ছাড়ার চেষ্টায় আছি। সিগারেট স্মোকিং করার কোনও এক্সকিউজ থাকে না। আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। রাস্তাঘাটে যখন কাউকে সিগারেট খেতে দেখি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি এটা কিন্তু একেবারেই জেন্ডার বায়াস্ড হয়ে বলছি না। আমি এটা মনে করি না, একটা মেয়ে সিগারেট খেলেই সে খারাপ। সিগারেট খাওয়াটা একটা খারাপ অভ্যাস, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। বিশেষ করে বাচ্চাদের সামনে কেউ স্মোক করলে আমার আরও খারাপ লাগে। আর যাঁরা স্মোক করে না, তাঁদেরকে প্যাসিভ স্মোকার বানিয়ে তো কোনও লাভ নেই। কারণ, প্যাসিভ স্মোকিং আরও ক্ষতিকারক। তাই নো স্মোকিং।"
মৈনাক ভৌমিক :
মৈনাক নিয়মিত ধূমপান করেন। তাঁকে ফোন করার সাথে সাথে আঁতকে ওঠেন। বলেন, "সবাই তো জানে (সিগারেটের নাম না করে)। ব্যাড হ্যাবিট। এটুকুই বলতে চাই। কুইট করাই ভালো। আমার পাশে মা আছে। তিনি জানেন না আমিওওওও..."
পার্নো মিত্র :
"খুব খারাপ অভ্যেস", বলেই ফেললেন কথাটা শুনে। বললেন, "আজ ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে। সিগারেট ছাড়ার মতো ভালো দিন আজকের মতো হতে পারে না। তাই যাঁরা স্মোক করেন, বা স্মোক ছাড়ার কথা ভাবছেন, আজই ছেড়ে ফেলুন। আপনার অনেকখানি এনার্জি বেড়ে যাবে। স্কিন ভালো হবে। চুল পড়া কমবে। আর সর্বোপরি অনেকগুলো টাকা বাঁচবে। সেই টাকায় আপনি অন্যের সাহায্য করতে পারেন। নিজের জন্য ভালো কিছু কিনতে পারেন। তাই ওয়াই স্মোক। প্লিজ কুইট।"
সায়নী ঘোষ :
তাঁরও অভ্যাসটি রয়েছে। বললেন, "একটা কথাই বলতে পারি, ইট ইস ইঞ্জুরিয়াস। আমার মতো কিছু জ্ঞানপাপী লোকজন আছেন, যাঁরা এখনও করে চলেছেন। এটা উচিত কন্ট্রোল করা। বা বন্ধ করে দেওয়া। যাঁরা এখনও পর্যন্ত টোব্যাকোর উপর নির্ভরশীল হয়নি, তাঁদের এখনই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ, এই নেশা কিন্তু সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আমি রোজই রেজোলিউশন নিই, কিন্তু রোজই ভেঙে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো, কতটা কঠিন এই অভ্যাস ছাড়া। কিন্তু আমার বিশ্বাস, একদিন না একদিন আমি ঠিক ছাড়তে পারব।"
অনীক দত্ত :
ফুসফুস দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়েছেন সিগারেট ছাড়তে। ফোন পাওয়া মাত্রই বললেন, "তাহলে তো গাড়িতে চড়াও বন্ধ করে দিতে হবে। বাইরে এত পলিউশন। আমরা আর একটাই কথা বলার। সবাই সব জানে। সবাই জ্ঞানপাপী। আমার ভালো লাগত। তাই খেতাম। নিজেই নিজের ক্ষতি করে ফেলেছি। এখন সেটা বুঝতে পারি। নিজের সর্বনাশ না চাইলে খাবেন না। এটুকুই বলতে পারি।"
Conclusion:অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় :
অনিন্দ্য জীবনের প্রথমদিকে বেপথে চলে গিয়েছিলেন। তা তিনি স্বীকার করেন নিজের মুখেই। আড়াই বছর হল সিগারেট ছেড়েছেন। তিনি সিগারেট ছাড়ার বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলে দিলেন। বললেন, " বিগত পাঁচ বছরে যদি কোনও ভালো কাজ করে থাকি, তাহলে সিগারেট ছাড়া। আমি আড়াই বছর সিগারেটকে হাতও দিইনি। বিশ্বাস করুন, খুব ভালো আছি। সেই টাকা জমিয়ে আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও কিনেছি। তবে এটাও ঠিক, চট করে সিগারেট ছাড়া যায় না। একটা ভেতর থেকে ক্রেভিং হতে থাকে। এটাই মানুষকে সিগারেট ছাড়তে দেয় না। তার জন্য মানুষ ওয়েপের (wape) সাহায্য নিতে পারেন। এটা একটা ইলেকট্রনিক মেশিনের মতো। একেবারে টার ফ্রি, নো টোব্যাকো। আমি এর সাহায্য নিই। বাকিরাও নিতে পারেন। সিগারেট ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছি।"
Last Updated : Jun 2, 2019, 4:02 PM IST