কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: বাংলার কিংবদন্তি সুরকার সলিল চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে শ্রোতাদের জন্য মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar's immortal songs)৷ একটি সাক্ষাৎকারে সলিল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, "সলিলদা এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ৷ তাঁর মতো কেউ গানের সুর দিতে পারবেন না ৷"
সলিল চৌধুরীর (Lata Mangeshkar's songs composed by Salil Chowdhury) সুরে লতা মঙ্গেশকরের যে গান শ্রোতাদের সবার আগে মনে আসে তা হল তাঁদের অনন্য সৃষ্টি, 'না মন লাগে না ৷' সলিল চৌধুরী যেন এই গানটি লতার কথা ভেবেই তৈরি করেছিলেন ৷ সেই কথা ও সুরের তারিফ করেননি এমন শ্রোতা পাওয়া বিরল ৷ সৃষ্টির এত বছর পরও এই গান মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা করে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Hemanta Mukherjee and Lata Mangeshkar : ‘কত বৃষ্টি হয়েছে মন জুড়ে’, হৃদয় ছোঁয়া লতা-হেমন্তর গান
সলিল চৌধুরীর সুরে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar death) 'কেন যে কাঁদাও বারে বারে'ও আজও শ্রোতাদের মনে দোলা দেয় ৷ বাংলা গানের জগতে এই গানটি একটি মাইলফলকের মতো ৷ এই গানের সুরের জন্য কিংবদন্তি গায়িকার কণ্ঠই যেন একমাত্র পছন্দ ছিল ৷
1958 সালে মধুমতী ছবিতে সলিল চৌধুরীর সুরে লতার আরও এক কালজয়ী গান 'আজা রে পরদেশি'৷ এই গানটিতে পর্দায় দেখা গিয়েছে বৈজয়ন্তীমালা বালি ও দিলীপ কুমারকে ৷ বিমল রায়ের ছবির এই গানটিও শ্রোতাদের মনে দাগ কেটেছিল ৷
ছেলেবেলার অনেকেরই প্রিয় গান 'সাত ভাই চম্পা জাগো রে' ৷ সলিল চৌধুরীর সুরে লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar latest news) এই গানটি যখন গেয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স 22 ৷ এখনও এই গান ঘোরে আট থেকে আশির মুখে মুখে ৷ লতা মঙ্গেশকর ও সলিল চৌধুরী জুটির এভারগ্রিন গানের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে 'না যেয়ো না' গানটি ৷ প্রেমিকের জন্য এক যুবতীর অনন্ত অপেক্ষা তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মূর্ত করে তুলেছেন সুরসম্রাজ্ঞী ৷ আরও এমন বহু গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছে লতা মঙ্গেশকর ও সলিল চৌধুরী জুটি ৷