ETV Bharat / sitara

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত নাট্যব্যক্তিত্বরা

author img

By

Published : Nov 13, 2019, 6:18 PM IST

সম্মান জানানো হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়কে । এছাড়া বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সম্মানিত করা হয় ।

fdg

কলকাতা : 25 তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার সম্মান জানানো হল নাট্যব্যক্তিত্বদের । একতারা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানটির নাম 'ডানা' । সম্মান জানানো হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়কে । এছাড়া বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সম্মানিত করা হয় । ছিলেন সোহিনী সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ।

থিয়েটার ও সিনেমাকে যে এক মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে আর নাট্যব্যক্তিত্বদের যে সম্মানিত করা হচ্ছে সেই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তারকারা । এ প্রসঙ্গে সাথীলেখা সেনগুপ্ত বলেন, "আমার খুব আনন্দ লাগছে যে থিয়েটার ও সিনেমার দুই জগতকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে ।" পাশাপাশি প্রথমবার সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়ে কৃতজ্ঞ অশোক মুখোপাধ্যায় ।

1985 সালে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর নান্দীকার উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এদেশে এসে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু । তখন থেকেই এঁদের সঙ্গে তাঁর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েযে বলে জানিয়েছেন ।

অরুণ মুখার্জি বলেন, "পরশুরাম ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আমি আর ছবি করছি না কেন ? বলেছিলাম আমাকে তো কেউ ডাকে না । নাটক আর সিনেমা যে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেটা যে চলচ্চিত্র উৎসবের কমিটি বুঝেছেন তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ ।"

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, "থিয়েটারকে জনপ্রিয় করতে পারলে অনেক লোকের অন্নসংস্থান হত । অনেকের স্বপ্নপূরণ হতে পারত । এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশা করব যে ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন থিয়েটার তার প্রকৃত মর্যাদা পাবে ।"

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি এই দুয়ের মধ্যে কাজের দিক থেকে কখনওই তফাত করতে পারিনি । শিশু বয়স থেকে নাটক করে আসছি, তখন তো সিনেমা করার তেমন কোনও সুযোগ ছিল না । দর্শকদের কাছে অনুরোধ কোনওটার সম্বন্ধেই গোঁড়ামি করবেন না ।"

দেখুন ভিডিয়ো

কলকাতা : 25 তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার সম্মান জানানো হল নাট্যব্যক্তিত্বদের । একতারা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানটির নাম 'ডানা' । সম্মান জানানো হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়কে । এছাড়া বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সম্মানিত করা হয় । ছিলেন সোহিনী সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ।

থিয়েটার ও সিনেমাকে যে এক মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে আর নাট্যব্যক্তিত্বদের যে সম্মানিত করা হচ্ছে সেই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তারকারা । এ প্রসঙ্গে সাথীলেখা সেনগুপ্ত বলেন, "আমার খুব আনন্দ লাগছে যে থিয়েটার ও সিনেমার দুই জগতকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে ।" পাশাপাশি প্রথমবার সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়ে কৃতজ্ঞ অশোক মুখোপাধ্যায় ।

1985 সালে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর নান্দীকার উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এদেশে এসে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু । তখন থেকেই এঁদের সঙ্গে তাঁর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েযে বলে জানিয়েছেন ।

অরুণ মুখার্জি বলেন, "পরশুরাম ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আমি আর ছবি করছি না কেন ? বলেছিলাম আমাকে তো কেউ ডাকে না । নাটক আর সিনেমা যে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেটা যে চলচ্চিত্র উৎসবের কমিটি বুঝেছেন তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ ।"

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, "থিয়েটারকে জনপ্রিয় করতে পারলে অনেক লোকের অন্নসংস্থান হত । অনেকের স্বপ্নপূরণ হতে পারত । এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশা করব যে ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন থিয়েটার তার প্রকৃত মর্যাদা পাবে ।"

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি এই দুয়ের মধ্যে কাজের দিক থেকে কখনওই তফাত করতে পারিনি । শিশু বয়স থেকে নাটক করে আসছি, তখন তো সিনেমা করার তেমন কোনও সুযোগ ছিল না । দর্শকদের কাছে অনুরোধ কোনওটার সম্বন্ধেই গোঁড়ামি করবেন না ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:25 তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে এবার সম্মান জানানো হয় প্রখ্যাত নাট্যাশিল্পীদের। মঙ্গলবার চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গ হিসেবে একতারা মঞ্চে হয়ে গেল একটি সম্মাননা উৎসব যেখানে নাট্যমঞ্চের একাধিক বর্ষীয়ান শিল্পীদের সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানটির নাম- ডানা।


Body:অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র,
বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়, বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও অরুন মুখোপাধ্যায়কে।

এঁদের সম্মানিত করেন ইনফরমেশন এন্ড কালচারাল অফিস গভমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার ও পরিচালক গৌতম ঘোষ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সোহিনী সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

এঁরা সকলেই বক্তব্য রাখেন। সকলের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি বিষয় যেটি বারবার গুরুত্ব পায় তা হল এই প্রথমবার চলচ্চিত্র উৎসবে যে থিয়েটার ও সিনেমাকে যে এক মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে পাশাপাশি থিয়েটারের মানুষকদের যে সম্মানিত করা হয়েছে সেটি একটি সাধু সাধু উদ্যোগ।

সাথীলেখা সেনগুপ্ত বলেন, " আমার খুব আনন্দ লাগছে যে থিয়েটার সিনেমার এই দুই জগতকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে।"

অশোক মুখোপাধ্যায় বলে আমার মতো একজন একজন সিনিয়র অভিনেতাকে এই প্রথমবার যে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হল সেই জন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।" তিনি আরও বলেন যে, "এই দুটো কাজ করতে দু'রকমের মজা, দুরকমের অভিজ্ঞতা। মূল বিষয়টি তো আসলে অভিনয়।"

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, "85 সালে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত নান্দীকার উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এদেশে এসে আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসে আমাদের নাটক মঞ্চস্থ করি। সেই তখন থেকেই আমার এঁদের সকলের সঙ্গে একটা নিবিড় বন্ধুপুর্ণ সম্পর্ক গোড়ে ওঠে।"

নাটকের দিকপাল ব্যক্তিত্ব অরুন মুখার্জি বলেন, " আমি পরসুরাম ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আপনি আর ছবি করছেন না কেন? আমি তাদের বলেছিলাম যে আমাকে তো কেউ ডাকে না। নাটক আর সিনেমা যে একে অপরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে সেটা যে চলচ্চিত্র উৎসবের কমিটি বুঝেছেন সেই জন্য তাদের ধন্যবাদ।"

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন আমাদের সমাজ আমাদের সরকার আমাদের শাসক শ্রেণী এরা কখনোই থিয়েটার মর্যাদা বোঝেনি, পাত্তা দেননি বা হয়তো দিতেও চায়নি। তাই থিয়েটারের য় অনেক সম্ভাবনা ছিল, থিয়েটারকে জনপ্রিয় করতে পারলে অনেক বেশি লোকের অন্নসংস্থান হত, অনেক যুবক-যুবতী তরুণ-তরুণী তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারত। তখন আমাদের মনে হতো যে আমাদের সন্তানরা কাজ করছে। তবে আজ এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশা করব যে ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন থিয়েটার তার প্রকৃত মর্যাদা পাবে, বাঙালি জাতির কাছে, বাঙালি সরকারের কাছে।"


Conclusion:সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি এই দুয়ের মধ্যে কাজের দিক থেকে কখনোই তফাৎ করতে পারিনি। আমি আমার শিশু বয়স থেকে নাটক করে আসছি, তখন তো সিনেমা করার তেমন কোনও সুযোগ ছিল না। ওই সময় শিশিরকুমার ভাদুড়ির একটি নাটক দেখে আমার মধ্যে নাটক করার ইচ্ছে জাগে। আমার মনে হয় শিল্প মাধ্যম হিসাবে কোনটাই অপাংক্তেয় হতে পারে না। তাই আমার দর্শকদের কাছে অনুরোধ যে কোনটার সম্বন্ধেই গোঁড়ামি করবেন না।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.