আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকেই দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) নাম শুনতাম ৷ কিন্তু তিনি কে সেই বোঝার মতো ক্ষমতা আমার তখন ছিল না ৷ যত বড় হলাম, ততই জানতে পারলাম যে, এই মানুষটা গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৷
তাঁর প্রথম যে ছবি আমি দেখি, সেটা হল শক্তি ৷ তখন আমি স্কুলে পড়ি ৷ দিলীপ কুমার ও অমিতাভ বচ্চনকে একসঙ্গে স্ক্রিনে দেখলাম ৷ দুই মহান অভিনেতাকে সিনেমায় পাশাপাশি দেখে অনবদ্য লেগেছিল ৷ এরপর কর্মা দেখেছি, সওদাগর দেখেছি ৷ তার পরে দেখি মধুমতী, দেবদাস ৷ আমার বাবা দিলীপ কুমারের খুবই ভক্ত ছিলেন ৷ প্রায়ই আমি বাবার মুখে তাঁর নাম শুনতাম ৷ গোটা পৃথিবী তাঁর প্রতিভার কথা জানে ৷ তাই এই মহান ব্যক্তিত্ব চলে যাওয়ায় আজ গোটা পৃথিবী শোকাহত ৷
আরও পড়ুন: বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং, জোয়ার ভাটার মতো ছিল প্রেমজীবন
তবে তিনি বিরাট একটি সাম্রাজ্য রেখে গেলেন ৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসে তাঁর মহান কাজ দেখবে ৷ অভিনেতা হিসেবে তিনি কী অবদান রেখে গেলেন, তার সাক্ষী থাকবে ৷ তাঁকে ট্র্যাজিক কিং বলা হত ৷ তিনি খুবই বৈচিত্র্যময় ছিলেন ৷ তাঁর আদায়েঁ, তাঁর সংলাপ বলার কায়দা, কথা বলতে বলতে থেমে যাওয়া, তাঁর নীরবতা, তাঁর এক্সপ্রেশন সবই মুগ্ধ করে দেয় ৷ আজ ভারতীয় সিনেমার একটা অন্যতম কালো দিন ৷ আমরা মহামূল্যবান এক রত্নকে হারালাম ৷ তিনি আমাদের কাছে কোহিনুর ছিলেন ৷ আমরা ইন্ডাস্ট্রির কোহিনুরকে হারিয়েছি ৷ খুবই দুঃখজনক ৷
আরও পড়ুন: জন্ম পেশোয়ারে, দিলীপ কুমারই বলিউডের প্রথম খান
আমি কখনও ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি ৷ তবে এটা একটা বিরাট ক্ষতি ৷ তাঁর পরিবারের প্রতি আমার হার্দিক সমবেদনা রইল ৷ আশা করব, তিনি যে ঐতিহ্য রেখে গেলেন, তা আজীবন থেকে যাবে ৷ যাঁরা খুব জিনিয়াস, তাঁদের কখনও মৃত্যু হয় না ৷ দিলীপ কুমারও কখনও মারা যাবেন না ৷ তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন ৷ আজীবন আমাদের আলো দেবেন ৷