ETV Bharat / sitara

Exclusive : ETV ভারতের মুখোমুখি 'পঞ্চায়েত' খ্যাত চন্দন রায় - চন্দন রায়ের খবর

3 এপ্রিল অ্যামাজ়ন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছিল ওয়েব সিরিজ় 'পঞ্চায়েত' । ক্রাইম থ্রিলারের বাজারে একেবারে অন্য ধারার গল্প বলে 'পঞ্চায়েত' । জিতেন্দ্র কুমার অভিনীত এই সিরিজ়ে মুখ্য চরিত্রে না হলেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চন্দন রায় । তাঁর সরল সংলাপ, নরম অভিব্যক্তি মন কেড়ে নিয়েছে দর্শকের । হঠাৎ করেই তাঁর নাম উঠে আসে ফিনিক্সের মতো । ক্যারিয়ারের এই বিশেষ মোড় নিয়ে ETV ভারতের সঙ্গে আড্ডা দিলেন চন্দন ।

chandan ray panchayat
chandan ray panchayat
author img

By

Published : Jun 8, 2020, 12:35 PM IST

ETV ভারত : 'পঞ্চায়েত'-এর সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে ?

চন্দন রায় : আমি রোজ অডিশন দিতে যেতাম । কাস্টিং এজেন্সিতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতাম যে আমার জন্য কোনও রোল আছে কিনা । একদিন আরাম নগরে একটি কাস্টিং এজেন্সিতে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম । সেখানে আমার এক বন্ধু 'পঞ্চায়েত'-এর কাস্টিং টিমের সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দেয় । আমি ইলেক্ট্রিশিয়ানের চরিত্রে অডিশন দিয়ে বাড়ি চলে আসি । কয়েকদিন পর আমি রঘুবীর স্যারের বাড়ি যাই (পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি), বলি যে 'পঞ্চায়েত'-এর জন্য অডিশন দিয়েছি । জানতে পেরে উনি আমার অডিশনটা দেখেন আর ইলেকট্রিশিয়ানের জায়গায় অন্য কোনও চরিত্রে আমায় ভাবার কথা বলেন । পরের দিন 'বিকাশ শুক্লা'-র চরিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট আসে আমার কাছে আর আমি তৈরি হয়ে যাই ।

ETV : 'পঞ্চায়েত'-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ?

চন্দন : আমি সবসময় শিখতে চাই । আমি যেখানেই যাই মনে করি যে, কিছু জানি না, শিখতে হবে আমায় । 'পঞ্চায়েত'-এর সেটে সবাই খুব অভিজ্ঞ মানুষ ছিলেন । আমি সবাইকে নজর করতাম, শেখার চেষ্টা করতাম । পুরো স্কুলের মতো অভিজ্ঞতা আর আমার সহকর্মীরাই সেই স্কুলের শিক্ষক ।

chandan ray panchayat
ছায়াসঙ্গী..

ETV : আপনি বাস্তবে কি বিকাশের মতো না আলাদা ?

চন্দন : চন্দন আর বিকাশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত । আমার কাছে বিকাশ একটি চরিত্র মাত্র, যাকে আমি ডেভলপ করেছি । আমার সঙ্গে ওর কোনও মিল নেই ।

ETV : চরিত্রটি করার জন্য কোনও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন ?

চন্দন : স্ক্রিপ্টটাই আমার কাছে পবিত্র গ্রন্থ । আমি বুঝে গেছিলাম যে চরিত্রটি ডেভলপ করতে ওই স্ক্রিপ্টটাই আমার অস্ত্র । ফাঁক পেলেই আমি স্ক্রিপ্ট হাতে বসে পড়তাম । বারবার পড়তাম ।

chandan ray panchayat
.

ETV : আপনি কি সবসময় অভিনেতা হতে চেয়েছেন ?

চন্দন : আমি ছোটো থেকে অভিনেতা হতে চেয়েছি । রেডিয়ো ছাড়া আমি বাঁচতে পারতাম না । সিনেমা, গান, নাটক ছাড়া আমি থাকতেই পারতাম না । রবিবার সন্ধ্যেবেলা একটা করে ফিল্ম হত, আর আমি দেখার জন্য পাগল হয়ে থাকতাম । পড়াশোনা সেভাবে করতাম না ।

ETV : যদি কেউ অভিনেতা হতে চান, তাহলে তাঁকে কী উপদেশ দেবেন ?

চন্দন : অনেকেই অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখেন । তাঁদের বলব যে, আগে চোখ বন্ধ করে নিজের ভিতরটা দেখার চেষ্টা কর । যদি তোমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে যে, হ্যাঁ আমি এটা করতে পারব, তাহলেই মুম্বই এস । মুম্বইতে তোমায় স্বাগত । কিন্তু, কেউ যদি ভালো দেখতে বলে কেউ হিরো হতে চায়, জিমে গিয়ে বডি বানাতে চায়, তাঁদের এই স্বপ্ন দেখা উচিত নয় ।

chandan ray panchayat
সরল বিকাশ..

ETV : 'পঞ্চায়েত'-এর দ্বিতীয় ভাগ তৈরি হবে ?

চন্দন : হ্যাঁ, ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে । লকডাউন শেষ হলেই স্ক্রিপ্ট তৈরি হবে ।

ETV ভারত : 'পঞ্চায়েত'-এর সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে ?

চন্দন রায় : আমি রোজ অডিশন দিতে যেতাম । কাস্টিং এজেন্সিতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতাম যে আমার জন্য কোনও রোল আছে কিনা । একদিন আরাম নগরে একটি কাস্টিং এজেন্সিতে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম । সেখানে আমার এক বন্ধু 'পঞ্চায়েত'-এর কাস্টিং টিমের সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দেয় । আমি ইলেক্ট্রিশিয়ানের চরিত্রে অডিশন দিয়ে বাড়ি চলে আসি । কয়েকদিন পর আমি রঘুবীর স্যারের বাড়ি যাই (পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি), বলি যে 'পঞ্চায়েত'-এর জন্য অডিশন দিয়েছি । জানতে পেরে উনি আমার অডিশনটা দেখেন আর ইলেকট্রিশিয়ানের জায়গায় অন্য কোনও চরিত্রে আমায় ভাবার কথা বলেন । পরের দিন 'বিকাশ শুক্লা'-র চরিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট আসে আমার কাছে আর আমি তৈরি হয়ে যাই ।

ETV : 'পঞ্চায়েত'-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ?

চন্দন : আমি সবসময় শিখতে চাই । আমি যেখানেই যাই মনে করি যে, কিছু জানি না, শিখতে হবে আমায় । 'পঞ্চায়েত'-এর সেটে সবাই খুব অভিজ্ঞ মানুষ ছিলেন । আমি সবাইকে নজর করতাম, শেখার চেষ্টা করতাম । পুরো স্কুলের মতো অভিজ্ঞতা আর আমার সহকর্মীরাই সেই স্কুলের শিক্ষক ।

chandan ray panchayat
ছায়াসঙ্গী..

ETV : আপনি বাস্তবে কি বিকাশের মতো না আলাদা ?

চন্দন : চন্দন আর বিকাশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত । আমার কাছে বিকাশ একটি চরিত্র মাত্র, যাকে আমি ডেভলপ করেছি । আমার সঙ্গে ওর কোনও মিল নেই ।

ETV : চরিত্রটি করার জন্য কোনও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন ?

চন্দন : স্ক্রিপ্টটাই আমার কাছে পবিত্র গ্রন্থ । আমি বুঝে গেছিলাম যে চরিত্রটি ডেভলপ করতে ওই স্ক্রিপ্টটাই আমার অস্ত্র । ফাঁক পেলেই আমি স্ক্রিপ্ট হাতে বসে পড়তাম । বারবার পড়তাম ।

chandan ray panchayat
.

ETV : আপনি কি সবসময় অভিনেতা হতে চেয়েছেন ?

চন্দন : আমি ছোটো থেকে অভিনেতা হতে চেয়েছি । রেডিয়ো ছাড়া আমি বাঁচতে পারতাম না । সিনেমা, গান, নাটক ছাড়া আমি থাকতেই পারতাম না । রবিবার সন্ধ্যেবেলা একটা করে ফিল্ম হত, আর আমি দেখার জন্য পাগল হয়ে থাকতাম । পড়াশোনা সেভাবে করতাম না ।

ETV : যদি কেউ অভিনেতা হতে চান, তাহলে তাঁকে কী উপদেশ দেবেন ?

চন্দন : অনেকেই অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখেন । তাঁদের বলব যে, আগে চোখ বন্ধ করে নিজের ভিতরটা দেখার চেষ্টা কর । যদি তোমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে যে, হ্যাঁ আমি এটা করতে পারব, তাহলেই মুম্বই এস । মুম্বইতে তোমায় স্বাগত । কিন্তু, কেউ যদি ভালো দেখতে বলে কেউ হিরো হতে চায়, জিমে গিয়ে বডি বানাতে চায়, তাঁদের এই স্বপ্ন দেখা উচিত নয় ।

chandan ray panchayat
সরল বিকাশ..

ETV : 'পঞ্চায়েত'-এর দ্বিতীয় ভাগ তৈরি হবে ?

চন্দন : হ্যাঁ, ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে । লকডাউন শেষ হলেই স্ক্রিপ্ট তৈরি হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.