ETV Bharat / sitara

'গুমনামি'-র বিরুদ্ধে সরব অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম

প্রথমে ফরওয়ার্ড ব্লকের আইনি নোটিশ । এবার অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরামের সাংবাদিক বৈঠক । বিতর্ক যেন পিছন ছাড়ছে না সৃজিত মুখার্জির 'গুমনামি'-র । ছবিতে দেখানো তথ্য নিয়ে কথা বলতে ফোরামের তরফে আয়োজন করা হয়েছে সাংবাদিক বৈঠকের ।

গুমনামি
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 2:24 PM IST

কলকাতা : কয়েকদিন আগেই ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে সৃজিত মুখার্জির পরবর্তী ছবি 'গুমনামি'-র বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয় । ছবিতে দেখানো তথ্যগুলো সঠিক নয় বলে এবার 'গুমনামি'-র বিরুদ্ধে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করল অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম । সৃজিতের 'গুমনামি' নিয়ে বক্তব্য রাখা হবে সেখানে । বিষয়টি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা ফোরামের সদস্য জয়দীপ মুখার্জি ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির বয়ানে বলা হয়েছে, "মাননীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি একটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে গুমনামি । এই ছবির মধ্য দিয়ে পরিচালক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে আমাদের বীর দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনের শেষ প্রান্তে সন্ন্যাস গ্রহণ করে নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রেখেছিলেন । আমরা অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে উন্মোচন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি ।"

বয়ানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, "1945 সালে 18 অগাস্টের পর সুভাষচন্দ্র বসুর আর কোনও সঠিক তথ্য এবং তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল তা আমরা জানতে পারিনি । সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান এবং তার শেষ পরিণতি নিয়ে 3 টি জাতীয় স্তরে কমিশন গঠন করা হয়েছিল । প্রথম কমিশন গঠিত হয় 1956 সালে শাহনওয়াজ খানের নেতৃত্বে এবং 1972 সালের দ্বিতীয় কমিশন গঠিত হয়েছিল জি ডি খোসলার নেতৃত্বে । যদিও দুটি কমিশনের রিপোর্টকে 1977 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই খারিজ করে দিয়েছিলেন । 1999 সালে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সম্মানীয় মনোজ মুখার্জির নেতৃত্বে আরও একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল..."

আরও পড়ুন : 'গুমনামী'-কে আইনি নোটিশ নেতাজি ভক্তের

"... আমরা কোনও পরিচালকের শিল্পীসত্তাকে অসম্মান বা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতি নই । কিন্তু কোনও পরিচালক যদি কোনও দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন, চরিত্র এবং অন্তিম পরিণতি বিকৃত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে দেশবাসীর অধিকার আছে সেই চলচ্চিত্র নির্মাতার কাজকর্মকে প্রশ্ন করা এবং সেই চলচ্চিত্র যাতে কোনওভাবে জনগণের ভাবাবেগে বা বিশ্বাসকে আঘাত না করতে পারে সে ব্যাপারে জনগণের অধিকার আছে আইনের সাহায্য প্রার্থী হওয়া এবং জাতীয় সেন্সর বোর্ডের কাছে দাবি জানানো সঠিক তথ্য সঠিকভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং চলচ্চিত্রের সঠিকরূপে নামকরণ করে যাতে দেশবাসীকে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হয় ।"

আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে 'গুমনামি'-র ফার্স্ট লুক ও টিজ়ার

জয়দীপবাবু বলেন, "গুমনামির বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক রাখা হয়েছে । আমরা বিশ্বাস করি না সুভাষচন্দ্র বসু সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন । আমরা ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত । সৃজিত যদিও আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেনি । অন্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি । আমরা যারা নেতাজি সম্পর্কে অবগত গুমনামির বিষয়ে আমরা একটা সাংবাদিক বৈঠক করছি । সৃজিত যেটা বলছেন সঠিক নয় ।"

কলকাতা : কয়েকদিন আগেই ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে সৃজিত মুখার্জির পরবর্তী ছবি 'গুমনামি'-র বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয় । ছবিতে দেখানো তথ্যগুলো সঠিক নয় বলে এবার 'গুমনামি'-র বিরুদ্ধে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করল অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম । সৃজিতের 'গুমনামি' নিয়ে বক্তব্য রাখা হবে সেখানে । বিষয়টি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা ফোরামের সদস্য জয়দীপ মুখার্জি ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির বয়ানে বলা হয়েছে, "মাননীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি একটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে গুমনামি । এই ছবির মধ্য দিয়ে পরিচালক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে আমাদের বীর দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনের শেষ প্রান্তে সন্ন্যাস গ্রহণ করে নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রেখেছিলেন । আমরা অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে উন্মোচন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি ।"

বয়ানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, "1945 সালে 18 অগাস্টের পর সুভাষচন্দ্র বসুর আর কোনও সঠিক তথ্য এবং তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল তা আমরা জানতে পারিনি । সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান এবং তার শেষ পরিণতি নিয়ে 3 টি জাতীয় স্তরে কমিশন গঠন করা হয়েছিল । প্রথম কমিশন গঠিত হয় 1956 সালে শাহনওয়াজ খানের নেতৃত্বে এবং 1972 সালের দ্বিতীয় কমিশন গঠিত হয়েছিল জি ডি খোসলার নেতৃত্বে । যদিও দুটি কমিশনের রিপোর্টকে 1977 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই খারিজ করে দিয়েছিলেন । 1999 সালে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সম্মানীয় মনোজ মুখার্জির নেতৃত্বে আরও একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল..."

আরও পড়ুন : 'গুমনামী'-কে আইনি নোটিশ নেতাজি ভক্তের

"... আমরা কোনও পরিচালকের শিল্পীসত্তাকে অসম্মান বা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতি নই । কিন্তু কোনও পরিচালক যদি কোনও দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন, চরিত্র এবং অন্তিম পরিণতি বিকৃত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে দেশবাসীর অধিকার আছে সেই চলচ্চিত্র নির্মাতার কাজকর্মকে প্রশ্ন করা এবং সেই চলচ্চিত্র যাতে কোনওভাবে জনগণের ভাবাবেগে বা বিশ্বাসকে আঘাত না করতে পারে সে ব্যাপারে জনগণের অধিকার আছে আইনের সাহায্য প্রার্থী হওয়া এবং জাতীয় সেন্সর বোর্ডের কাছে দাবি জানানো সঠিক তথ্য সঠিকভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং চলচ্চিত্রের সঠিকরূপে নামকরণ করে যাতে দেশবাসীকে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হয় ।"

আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে 'গুমনামি'-র ফার্স্ট লুক ও টিজ়ার

জয়দীপবাবু বলেন, "গুমনামির বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক রাখা হয়েছে । আমরা বিশ্বাস করি না সুভাষচন্দ্র বসু সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন । আমরা ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত । সৃজিত যদিও আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেনি । অন্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি । আমরা যারা নেতাজি সম্পর্কে অবগত গুমনামির বিষয়ে আমরা একটা সাংবাদিক বৈঠক করছি । সৃজিত যেটা বলছেন সঠিক নয় ।"

Intro:আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে 'অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম'। সৃজিৎ মুখার্জির বাংলা ছবি 'গুমনামী' সম্পর্কিত কিছু বক্তব্য রাখা হবে সেই বৈঠকে। বিষয়টি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন ফোরামের সদস্য জয়দীপ মুখার্জি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।


Body:প্রেস বিজ্ঞপ্তির বয়ান অনুযায়ী, "বিষয়টি হচ্ছে মাননীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি একটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে গুমনামী। এই গুমনামি চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে পরিচালক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে আমাদের বীর দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনের শেষ প্রান্তে সন্ন্যাস গ্রহণ করে নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রেখেছিলেন।

আমরা অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে উন্মোচন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৪৫ সালে ১৮ই আগস্টের পর সুভাষচন্দ্র বসুর আর কোনত সঠিক তথ্য এবং তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল তা আমরা জানতে পারিনি। সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান এবং তার শেষ পরিণতি নিয়ে ৩টি জাতীয় স্তরে কমিশন গঠন করা হয়েছিল - প্রথম কমিশন গঠিত হয় ১৯৫৬ সালে শাহনওয়াজ খানের নেতৃত্বে এবং ১৯৭২ সালের দ্বিতীয় কমিশন গঠিত হয়েছিল জি ডি খোসলার নেতৃত্বে। যদিও দুটি কমিশনের রিপোর্ট গুলিকে ১৯৭৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই খারিজ করে দিয়েছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সম্মাননীয় মনোজ মুখার্জি নেতৃত্বে আরও একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল। মাননীয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মনোজ মুখার্জি নেতৃত্বাধীন কমিশন তাঁর রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় চারটি বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন...

আমরা কোনও পরিচালকের শিল্পীসত্তাকে অসম্মান বা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতি নই। কিন্তু কোনওপরিচালক যদি কোনও দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন, চরিত্র এবং অন্তিম পরিণতি বিকৃত করার চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে দেশবাসীর অধিকার আছে সেই চলচ্চিত্র নির্মাতার কাজকর্মকে প্রশ্ন করা এবং সেই চলচ্চিত্র যাতে কোনওভাবে জনগণের ভাবাবেগে বা বিশ্বাসকে আঘাত না করতে পারে সে ব্যাপারে জনগণের অধিকার আছে আইনের সাহায্য প্রার্থী হওয়া এবং জাতীয় সেন্সর বোর্ডের কাছে দাবী জানানো সঠিক তথ্য সঠিকভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং চলচ্চিত্রের সঠিকরূপে নামকরণ করে যাতে দেশবাসীকে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হয়।"




Conclusion:ইটিভি ভারত সিতারাকে আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জি বলেছেন, "গুমনামীর বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স রাখা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি না সুভাষচন্দ্র বসু সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত। আমরা জানি। সৃজিৎ যদিও আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। অন্য সোর্স থেকে জানতে পেরেছি। আমরা যারা নেতাজী সম্পর্কে অবগত গুমনামীর বিষয়ে আমরা একটা প্রেস কনফারেন্স করছি। আমাদের বক্তব্য সৃজিৎ যেটা বলছেন সঠিক নয়।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.