মুম্বই : ক্যারিয়ারের শুরুতে কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছিলেন অনেক অভিনেত্রীই । এনিয়ে পরে মুখও খোলেন তাঁরা । আর এবার কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললেন মানভি গাগরু । একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি ।
তাও প্রায় এক বছর আগের কথা । একটা ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয়ের জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন এক প্রোযোজক । যদিও ওই ব্যক্তিকে চিনতেন মানভি । একটি অপরিচিত নম্বর থেকেই ফোনটা আসে । ফোনে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, 'আমরা একটা ওয়েব সিরিজ় করতে চলেছি । সেখানে তোমাকে কাস্ট করতে চাই ।' এই কথা বলেই মানভিকে ছবির বাজেটের কথাও বলেন তিনি । যদিও পারিশ্রমিকের পরিমাণ শুনে প্রথমেই নাকচ করে দেন মানভি । এরপর একটু খটকা লাগায় মানভি তাঁদের বলেন, "আমরা প্রথমেই কেন ছবির বাজেট নিয়ে কথা বলছি ? আমাকে প্রথমে স্ক্রিপ্টটা শোনান । স্ক্রিপ্ট যদি আমার ভালো লাগে এবং আপনারা তখন যদি আমাকে নিতে চান তাহলে সে সময় টাকার কথা ও শুটিং শুরুর তারিখ নিয়ে কথা বলা যাবে ।" তারপর ওই ব্যক্তি জানান, যে তাঁরা সবার প্রথমে টাকার কথা বলে নিতে চাইছেন । তাতে যদি কেউ রাজি থাকেন তারপরই কথা এগোবেন । যদিও পারিশ্রমিক কম থাকায় মানভি ফের না করে দেন ওই ব্যক্তিকে ।
এরপর হঠাৎই টাকার পরিমাণ তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তি মানভিকে বলেন, "আমি তোমাকে তিনগুণ বেশি টাকা দিতে রাজি আছি । কিন্তু, তার জন্য তোমাকে আপস করতে হবে ।" এই কথা শুনে খুবই রেগে যান মানভি । নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি । সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওই ব্যক্তিকে তিনি বলেন, "আপনার সাহস কীভাবে হয় এই ধরনের কথা বলার ? আপনার বিরুদ্ধে আমি পুলিশে অভিযোগ জানাব । আপসের কথা শুনে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম । আর সে সময় #মিটু চলছিল সবদিকে । ভেবে পাচ্ছিলাম না যে #মিটু নিয়ে চারিদিক যখন উত্তাল তখন কীভাবে এই ধরনের মানুষ এই সব কথা বলতে পারেন ।"
কাজের দিক থেকে অ্যামাজ়ন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ় 'ফোর মোর শট প্লিজ়'-এ দেখা গিয়েছিল মানভিকে । এছাড়া এই বছর 'শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান'-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি । তার আগে 'উড়জা চামন'-এ মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে ।