মুম্বই : শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফতিমা সানা শেখ । এরপর একাধিক ছবিতে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে কাজ করেছেন । 2016 সালে মুক্তি পাওয়া 'দঙ্গল'-এর হাত ধরে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি । প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর অভিনয় । কিন্তু, 2018-তে মুক্তি পাওয়া 'ঠগস অফ হিন্দুস্তান' বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর তাঁর সাফল্যের সিঁড়ি যেন একটু নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল । এমনকী, কাজও পাচ্ছিলেন না তিনি । তারপর তাঁর ক্যারিয়ারে অনেকটা অক্সিজেন জোগায় 'সুরজ পে মঙ্গল ভারী'।
'সুরজ পে মঙ্গল ভারী'-র সুযোগ আসার আগে হাতে কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না ফতিমা । এ প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ঠগস মুক্তির পর একাধিক ছবি ছিল আমার হাতে । কিন্তু, সব ছবিই একের পর এক আমার হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল । কোনও ছবি তৈরি হতে সময় লাগছিল তো কোনওটা থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হচ্ছিল । আমি পুরো বেকার হয়ে পড়েছিলাম । আর যেই ছবিগুলির সুযোগ আসছিল সেগুলির বিষয়বস্তু আমার ভালো লাগছিল না ।"
'ঠগস অফ হিন্দুস্তান'-এর ব্যর্থতার পর কীভাবে নিজেকে শক্ত করেছিলেন ফতিমা ? এর উত্তরে বলেন, "কোনও কিছু মন থেকে করার পর যখন সেটা সফল হয় না তখন খুবই হতাশ লাগে । আমার খুবই খারাপ লেগেছিল । কিন্তু, এর ফলে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক লড়াই করেছি । থেমে থাকিনি, চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি, নিজের উপর ভরসা ছিল ।"
'ঠগস অফ হিন্দুস্তান' মুক্তির প্রায় 2 বছর পর মুক্তি পেল ফতিমার 'সুরজ পে মঙ্গল ভারী'। কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে এটাই প্রথম নতুন ছবি যা মুক্তি পেয়েছে সিনেমা হলে । এখানে দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন ফতিমা । 90-এর দশকের মহারাষ্টকে তুলে ধরা হয় ছবিতে । এই ছবি সম্পর্কে ফতিমা বলেন, "আমি সারাজীবন মহারাষ্ট্রে থেকেছি । তাই সেই ভাষা, সেখানকার মানুষ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম । কিন্তু, গভীরভাবে বিষয়গুলি জানতাম না । আর একটা ছবি করতে গেলে সবকিছু ভালোভাবে জানতে হয় । ছবির জন্য সেই সবই করেছি ।" এছাড়াও সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে 'লুডো'। সেখানে রাজকুমার রাও, পঙ্কজ ত্রিপাঠী সহ আরও অনেকের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি ।