মুম্বই : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সোশাল মিডিয়ায় হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁর রিউমর্ড গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীকে । কখনও খুনি, আবার কখনও দেহব্যবসায়ী বলেও কটাক্ষ করা হয় তাঁকে । নেটিজ়েনদের এই কটাক্ষ শুনেও চুপ ছিলেন অভিনেত্রী । তবে এবার ভেঙে গিয়েছে তাঁর সহ্যের বাঁধ । সম্প্রতি নেটিজ়েনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ।
14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশের বক্তব্য, আত্মহত্যা করেছেন তিনি । যদিও কী কারণে তিনি এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করলেন তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । তা জানতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে অভিনেতার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠদের ।
ঘনিষ্ঠদের দাবি, ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোণঠাসা হয়েই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি । আবারও কারও মতে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই পদক্ষেপ করেন সুশান্ত । যদিও আত্মহত্যার আসল কারণ এখনও অজানা । আর তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । জারি রয়েছে তদন্ত ।
এদিকে তদন্তের সময় বারবার আলোচনায় উঠে আসে রিয়ার নাম । লকডাউনের মধ্যে নাকি সুশান্তের সঙ্গেই ছিলেন তিনি । অভিনেতার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে জেরা করা হয় তাঁকেও । তাঁর সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথাতে ভরে যায় সোশাল মিডিয়া । সুশান্তের মৃত্যুর জন্য কেউ কেউ দায়ি করেছেন তাঁকেও ।
আরও পড়ুন : "আত্মহত্যা কর, নাহলে আমি লোক পাঠাব", রিয়াকে হুমকি নেটিজেনের
সোশাল মিডিয়ায় শত অপমান সহ্য করেও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন । কোনও মন্তব্যই করতে দেখা যায়নি তাঁকে । তবে এবার ভেঙে গিয়েছে সব সহ্যের বাঁধ । কয়েকদিন আগে তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেন এক নেটিজ়েন । সোশাল মিডিয়ায় পাওয়া সেই মেসেজের একটা স্ক্রিনশট শেয়ার করেন রিয়া । সেখানে লেখা, "তোমায় যেন ধর্ষণ করে খুন করা হয়, আমি সেটা নিশ্চিত করব । তুমি যদি আত্মহত্যা না কর, তাহলে আমি লোক পাঠিয়ে দেব । সে তোমায় খুন করবে ।"
ওই বিষয়টি দেখার পর আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি রিয়া । সোজা সাইবার সেলে বিষয়টি জানান তিনি । এমনকী, সেই ভিত্তিতে পুলিশকে পদক্ষেপও করতে বলেন । তার ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ । এ প্রসঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় রিয়া লেখেন, "আমাকে অর্থলোভী বলা হয়েছে...আমি চুপ করে ছিলাম । আমাকে খুনি বলা হয়েছে...আমি চুপ করে রইলাম...আমাকে দেহব্যবসায়ী বলা হল...তাও চুপ থাকলাম । কিন্তু, আমার নীরবতা আপনাকে কীভাবে এই অধিকার দেয় মান্নু রাউত, যাতে আপনি বলতে পারেন,আত্মহত্যা না করলে আমাকে ধর্ষণ করিয়ে দেবেন বা খুন করাবেন ? আপনি জানেন, কী গুরুতর কথা বলেছেন ? এগুলো অপরাধ । এবং আইনের চোখে কোনও ব্যক্তি, আমি ফের বলছি, কোনও ব্যক্তিকেই এ ধরনের বিষাক্ত মন্তব্য ও হয়রানির শিকার করা যেতে পারে না ।" সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন রিয়া ।