ETV Bharat / sitara

Birth Day স্পেশাল : সিনেমা দুনিয়ায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রাজ কাপুরের নাম - রাজ কাপুর জন্মবার্ষিকী

কথায় আছে, 'বটগাছের নিচে অন্য গাছ বেড়ে উঠতে পারে না'। এই প্রবাদটি ততদিন অবধি সত্যি ছিল, যতদিন অবধি ইন্ডাস্ট্রি রাজ কাপুরকে পায়নি।

Raj Kapoor birth anniversary
Raj Kapoor birth anniversary
author img

By

Published : Dec 14, 2019, 12:56 PM IST

হিন্দি সিনেমার শোম্যান রণবীর রাজ কাপুর তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিনেমা জগতে নিজের এক আলাদা পরিচয় তৈরি করেন। ১১ বছর বয়সে ক্ল্যাপার বয় হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন রাজ কাপুর। ফিল্ম নির্মাতা কিদার শর্মার অধীনে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। কিদার শর্মাই রাজ কাপুরের মধ্যে একজন অভিনেতাকে খুঁজে পান এবং 'নীলকমল' ছবিতে মধুবালার বিপরীতে কাপুরকে কাস্ট করেন।

Raj Kapoor birth anniversary
1946 সালের 12 মে কৃষ্ণার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজের

'তিসরি কসম', 'ফির সুবাহ হোগি', 'আনারি', 'ছাইলা', 'সঙ্গম' ও 'মেরা নাম জোকার'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে রাজ কাপুর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাজ কাপুর বিখ্যাত RK Studio-র নির্মান করেন, যা পরে এক ইতিহাস রচনা করে। রাজ কাপুরের ছবিতে এমন একটা ব্যাপার থাকত, যেটা সমাজের সমস্ত বর্গের মানুষকে আকর্ষণ করত। তাঁর 'আগ', 'আওয়ারা', 'শ্রী ৪২০', 'জাগতে রহো', 'বুট পলিশ' ও 'জিস দেশ মে গঙ্গা বহেতি হ্যায়'-র মতো ছবিতে সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থার ছবি ফুটে উঠেছিল।

Raj Kapoor birth anniversary
নার্গিসের সঙ্গে 'আওয়ারা'

মিউজ়িক নিয়েও রাজ কাপুরের মধ্যে একটা প্যাশন ছিল। ছবির মিউজ়িকে প্রতিটা ছোটো ছোটো বিষয়ের দিকে তিনি নজর দিতেন ভীষণভাবে। 'আওয়ারা' ছবিতে 'ঘর আয়া পরদেশী' গানটি তো তিনি সম্পূর্ণ বদলেই দিয়েছিলেন। আলাদা করে আলাপ যোগ করেছিলেন। কাপুর শুধুমাত্র একজন অভিনেতা বা পরিচালক ছিলেন না। তিনি একজন দক্ষ সংগীতকারও ছিলেন। সংগীতের ক্ষমতাকে তিনি খুব ভালো বুঝতেন। সংগীতশিল্পী মুকেশের মৃত্যুর পর কাপুর বলেছিলেন "আমি আমার কণ্ঠকে হারালাম আজ।"

একজন সফল মানুষের জন্য ব্যর্থতাটাও প্রয়োজন। 'মেরা নাম জোকার' ছবির ব্যর্থতার পর রাজ কাপুরের দেনায় ডুবে যান। তাঁর প্রিয় RK Studio-ও দেনার চাপে হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু, সময় সবকিছু শুধরে দেয়। দেনার দায় থেকে মুক্ত হতে রাজ কাপুর আরও অনেক ছবি তৈরির কাজ শুরু করেন, যেগুলো সাফল্য পায় সেই সময়ে। তার মধ্যে 'ববি', 'প্রেমরোগ' ও 'রাম তেরি গঙ্গা মাইলি'-র মতো ছবিও সামিল।

Raj Kapoor birth anniversary
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে 'মেরা নাম জোকার', প্রযোজক প্রায় দেউলিয়া হয়ে যান

রাজ কাপুর নিজের ক্ষমতায় হিন্দি সিনেমায় যে নতুন ধারার প্রচলন করে সেই পথে হেঁটেছেন অনেকেই। ভারতের সেই সময়ের সবথেকে বড় শোম্যান ছিলেন তিনি। তবে শোম্যান রাজ কাপুর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৯৮৮ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর মারা যান তিনি। ২ জুন, ১৯৮৮ সালে হিন্দি সিনেমা হারায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে। তবে রাজ কাপুর হয়তো সশরীরে আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে থেকে গেছে তাঁর অভিনয় করা চরিত্রগুলো।

রাজ কাপুরকে অনেক শ্রদ্ধা ETV ভারত সিতারার পক্ষ থেকে।

হিন্দি সিনেমার শোম্যান রণবীর রাজ কাপুর তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিনেমা জগতে নিজের এক আলাদা পরিচয় তৈরি করেন। ১১ বছর বয়সে ক্ল্যাপার বয় হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন রাজ কাপুর। ফিল্ম নির্মাতা কিদার শর্মার অধীনে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। কিদার শর্মাই রাজ কাপুরের মধ্যে একজন অভিনেতাকে খুঁজে পান এবং 'নীলকমল' ছবিতে মধুবালার বিপরীতে কাপুরকে কাস্ট করেন।

Raj Kapoor birth anniversary
1946 সালের 12 মে কৃষ্ণার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজের

'তিসরি কসম', 'ফির সুবাহ হোগি', 'আনারি', 'ছাইলা', 'সঙ্গম' ও 'মেরা নাম জোকার'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে রাজ কাপুর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাজ কাপুর বিখ্যাত RK Studio-র নির্মান করেন, যা পরে এক ইতিহাস রচনা করে। রাজ কাপুরের ছবিতে এমন একটা ব্যাপার থাকত, যেটা সমাজের সমস্ত বর্গের মানুষকে আকর্ষণ করত। তাঁর 'আগ', 'আওয়ারা', 'শ্রী ৪২০', 'জাগতে রহো', 'বুট পলিশ' ও 'জিস দেশ মে গঙ্গা বহেতি হ্যায়'-র মতো ছবিতে সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থার ছবি ফুটে উঠেছিল।

Raj Kapoor birth anniversary
নার্গিসের সঙ্গে 'আওয়ারা'

মিউজ়িক নিয়েও রাজ কাপুরের মধ্যে একটা প্যাশন ছিল। ছবির মিউজ়িকে প্রতিটা ছোটো ছোটো বিষয়ের দিকে তিনি নজর দিতেন ভীষণভাবে। 'আওয়ারা' ছবিতে 'ঘর আয়া পরদেশী' গানটি তো তিনি সম্পূর্ণ বদলেই দিয়েছিলেন। আলাদা করে আলাপ যোগ করেছিলেন। কাপুর শুধুমাত্র একজন অভিনেতা বা পরিচালক ছিলেন না। তিনি একজন দক্ষ সংগীতকারও ছিলেন। সংগীতের ক্ষমতাকে তিনি খুব ভালো বুঝতেন। সংগীতশিল্পী মুকেশের মৃত্যুর পর কাপুর বলেছিলেন "আমি আমার কণ্ঠকে হারালাম আজ।"

একজন সফল মানুষের জন্য ব্যর্থতাটাও প্রয়োজন। 'মেরা নাম জোকার' ছবির ব্যর্থতার পর রাজ কাপুরের দেনায় ডুবে যান। তাঁর প্রিয় RK Studio-ও দেনার চাপে হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু, সময় সবকিছু শুধরে দেয়। দেনার দায় থেকে মুক্ত হতে রাজ কাপুর আরও অনেক ছবি তৈরির কাজ শুরু করেন, যেগুলো সাফল্য পায় সেই সময়ে। তার মধ্যে 'ববি', 'প্রেমরোগ' ও 'রাম তেরি গঙ্গা মাইলি'-র মতো ছবিও সামিল।

Raj Kapoor birth anniversary
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে 'মেরা নাম জোকার', প্রযোজক প্রায় দেউলিয়া হয়ে যান

রাজ কাপুর নিজের ক্ষমতায় হিন্দি সিনেমায় যে নতুন ধারার প্রচলন করে সেই পথে হেঁটেছেন অনেকেই। ভারতের সেই সময়ের সবথেকে বড় শোম্যান ছিলেন তিনি। তবে শোম্যান রাজ কাপুর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৯৮৮ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর মারা যান তিনি। ২ জুন, ১৯৮৮ সালে হিন্দি সিনেমা হারায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে। তবে রাজ কাপুর হয়তো সশরীরে আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে থেকে গেছে তাঁর অভিনয় করা চরিত্রগুলো।

রাজ কাপুরকে অনেক শ্রদ্ধা ETV ভারত সিতারার পক্ষ থেকে।

Intro:Body:

Birth Day স্পেশাল : সিনেমা দুনিয়ায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রাজ কাপুরের নাম



কথায় আছে, 'বটগাছের নিচে অন্য গাছ বেড়ে উঠতে পারে না'। এই প্রবাদটি ততদিন অবধি সত্যি ছিল, যতদিন অবধি ইন্ডাস্ট্রি রাজ কাপুরকে পায়নি।



হিন্দি সিনেমার শোম্যান রণবীর রাজ কাপুর তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিনেমা জগতে নিজের এক আলাদা পরিচয় তৈরি করেন। ১১ বছর বয়সে ক্ল্য়াপার বয় হিসাবে নিজের ক্য়ারিয়ার শুরু করেন রাজ কাপুর। ফিল্ম নির্মাতা কিদার শর্মার অধীনে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। কিদার শর্মাই রাজ কাপুরের মধ্যে একজন অভিনেতাকে খুঁজে পান এবং 'নীলকমল' ছবিতে মধুবালার বিপরীতে কাপুরকে কাস্ট করেন।  



তিসরি কসম, ফির সুবাহ হোগি, আনারি, ছাইলা, সঙ্গম ও মেরা নাম জোকার-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে রাজ কাপুর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাজ কাপুর বিখ্যাত RK Studio-র নির্মান করেন, যা পরে এক ইতিহাস রচনা করে। রাজ কাপুরের ছবিতে এমন একটা ব্যাপার থাকত, যেটা সমাজের সমস্ত বর্গের মানুষকে আকর্ষণ করত। তাঁর আগ, আওয়ারা, শ্রী ৪২০, জাগতে রহো, বুট পলিশ ও জিস দেশ মে গঙ্গা বহেতি হ্য়ায়-র মতো  ছবিতে সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থার ছবি ফুটে উঠেছিল।



মিউজ়িক নিয়েও রাজ কাপুরের মধ্য একটা প্যাশন ছিল। ছবির মিউজ়িকে প্রতিটা ছোটো ছোটো বিষয়ের দিকে তিনি নজর দিতেন ভীষণভাবে। 'আওয়ারা' ছবিতে 'ঘর আয়া পরদেশী' গানটি তো তিনি সম্পূর্ণ বদলেই দিয়েছিলেন। আলাদা করে আলাপ যোগ করেছিলেন। কাপুর শুধুমাত্র একজন অভিনেতা বা পরিচালক ছিলেন না। তিনি একজন দক্ষ সংগীতকারও ছিলেন। সংগীতের ক্ষমতাকে তিনি খুব ভালো বুঝতেন। সংগীতশিল্পী মুকেশের মৃত্যুর পর কাপুর বলেছিলেন "আমি আমার কণ্ঠকে হারালাম আজ।"



একজন সফল মানুষের জন্য ব্যর্থতাটাও প্রয়োজন। 'মেরা নাম জোকার' ছবির ব্যর্থতার পর রাজ কাপুরের দেনায় ডুবে যান। তাঁর প্রিয় RK Studio-ও দেনার চাপে হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু, সময় সবকিছু শুধরে দেয়। দেনার দায় থেকে মুক্ত হতে রাজ কাপুর আরও অনেক ছবি তৈরির কাজ শুরু করেন, যেগুলো খুব সফল হয় সেই সময়ে। তার মধ্যে ববি, প্রেমরোগ ও রাম তেরি গঙ্গা মাইলির মতো ছবিও সামিল।



রাজ কাপুর নিজের ক্ষমতায় হিন্দি সিনেমায় যে নতুন ধারার প্রচলন করে সেই পথে হেঁটেছেন অনেকেই। ভারতে সেই সময়ের সবথেকে বড় শোম্যান ছিলেন তিনি। তবে শোম্যান রাজ কাপুর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৯৮৮ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর মারা যান তিনি। ২ জুন, ১৯৮৮ সালে হিন্দি সিনেমা হারাল এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে। তবে রাজ কাপুর হয়তো সশরীরে আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে থেকে গেছে তাঁর অভিনয় করা চরিত্রগুলো।                






Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.