ETV Bharat / opinion

নির্বাচনের উত্তেজনার জন্য তৈরি অ্যামেরিকা; ফলাফল হতে পারে এলোমেলো

author img

By

Published : Nov 4, 2020, 6:39 AM IST

যেখানে ইতিমধ্যেই 9 কোটিরও বেশি ভোটার ইতিমধ্যেই সরাসরি এবং পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে দিয়েছেন, তাই 3 নভেম্বর বহু দশকের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভোটদানের সাক্ষী থাকতে চলেছে অ্যামেরিকা । কিন্তু পাশাপাশি এই ভোট মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে তিক্তভাবে লড়া হচ্ছে, যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সহ বহু সংস্থা পথেঘাটে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে । এই বিষয়ে লিখছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক স্মিতা শর্মা ।

us vote
us vote

যেখানে ইতিমধ্যেই 9 কোটিরও বেশি ভোটার ইতিমধ্যেই সরাসরি এবং পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে দিয়েছেন, তাই বহু দশকের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভোটদানের সাক্ষী থাকতে চলেছে অ্যামেরিকা । কিন্তু পাশাপাশি এই ভোট মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে তিক্তভাবে লড়া হচ্ছে, যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সহ বহু সংস্থা পথেঘাটে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে ।

ভয়েজ অফ আমেরিকার (VOA) হোয়াইট হাউস বিউরো চিফ স্টিভেন হার্মান বলেন, “সবাই খুবই দুশ্চিন্তা রয়েছে । বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ভোটার বা সেই নির্দলদের যাঁরা জো বিডেনকে সমর্থন করছেন । এমনকী সেইসব বিশিষ্ট রিপাবলিকানদের মধ্যেও, যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন ।” তিনি আরও যোগ করেন, “মিশিগানের মতো স্টেটগুলিকে নিয়ে উদ্বেগ আছে, যেখানে লোকজন বন্দুক নিয়ে হাজির হতে পারে এবং তার ফলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হতে পারে । কিন্তু এর ফলে মানুষের বাইরে বেরিয়ে ভোটদানের উৎসাহে খামতি হতে পারে, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই ।”

গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে হোয়াইট হাউসের চারপাশে এমনভাবে বেড়া দেওয়া হচ্ছে যাতে তার ওপর ওঠা না যায়, পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসির বাণিজ্যিক বেসরকারি ভবনগুলোও যে কোনও ক্ষতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে । ডিসি থেকে সাংবাদিক স্মিতা শর্মার সঙ্গে আলাপচারিতায় হার্মান বলেন, “এমনও উদ্বেগ রয়েছে যে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে । সেটা মঙ্গলবার রাতে নয়, বরং বুধবার রাতে, যখন স্পষ্ট হয়ে যাবে যে কী হতে চলেছে । মানুষ রাস্তায় নামতে পারেন । মাত্র কয়েকজন মানুষই ইন্ধন জোগাতে পারে, যেমনটা আমরা এই বছরের বিক্ষোভগুলোয় দেখেছি । যা অতি বাম ও অতি দক্ষিণ – দুই দিক থেকেই বিপত্তির কারণ হতে পারে ।”

হার্মান বলেন, “হোয়াইট হাউসের চারপাশের রাস্তায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন বেড়া দেওয়া হচ্ছে, যাতে জানলা ভাঙা ও আগুন লাগানোর মতো ঘটনা এড়ানো যায় । যেমনটা আমরা এবছরের গোড়ার দিকে দেখেছি । অনেক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সামনের দিনগুলোতে বিপুল গণবিক্ষোভ দেখা যাবে, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই । কিন্তু যে কোনও জায়গার ঘটনাই নজরে আসবে ।” পাশাপাশি হার্মান এও বলেন যে, ভোটের ফল এবং জয়ী প্রার্থী কত ব্যবধানে জিতলেন, তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করবে ।

হার্মান বহু বছর ধরে অ্যামেরিকার ভোট ও রাজনীতিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন । তিনি জানালেন,“ভোটপর্ব কতটা নিখুঁত হল, তার ওপরে পুরো ফলাফল নির্ভর করবে । যদি পেনসিলভেনিয়া বাদ দিয়েই জো বিডেন 270টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে যান, তাহলে নাটকের বেশিরভাগটাই শেষ হয়ে যাবে । যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি তৎক্ষণাৎ ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন । তিনি মনে করেন যে, ভোটের দিনের সন্ধেবেলাই আমাদের হাতে ফলাফল চলে আসা উচিত, যদিও অ্যামেরিকার নির্বাচনের ইতিহাসে এটা সবসময়ই ব্যতিক্রমী ঘটনা ।” ভোটের ফল অথবা স্পষ্ট ইঙ্গিত মার্কিন সময় অনুযায়ী 4 নভেম্বর সকালে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে । কিন্তু এতে তিক্ত আইনি লড়াই শুরু হতে পারে, যেমন 2000 সালে জর্জ বুশ ও আল গোরের মধ্যে হয়েছিল । যদিও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতো সংস্থার বিজয়ীর নাম ঘোষণার দিকে নজর রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ । এবং তারপরেই বেশিরভাগ সংবাদ চ্যানেল সেটা ঘোষণা করবে ।

এতদিন পর্যন্ত জাতীয় সমীক্ষাগুলিতে জো বিডেনের একটানা লিড ছিল, প্রচারের শেষ কিছুদিনে যা একটি সংখ্যায় নেমে এসেছে । কিন্তু ভোটবিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতরা সাবধানী । কারণ 2016 সালের সমীক্ষার ছায়া এখনও বর্তমান । যেখানে হিলারি ক্লিন্টনের জয়ের ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল । স্টেটগুলোর মধ্যে রয়েছে মিডওয়েস্টের শিল্পাঞ্চলও, যা চার বছর আগে চমকপ্রদ জয়ের সময় ক্লিন্টনের থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছিলেন ট্রাম্প । এই অঞ্চল এবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে । আর এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে ভোটপর্বের যবনিকা পতনের আগে দুই প্রার্থীই দোলাচলে থাকা স্টেটগুলোর ওপর বেশি নজর দিচ্ছেন ।

হার্মান বলেন, “যেখানে বিডেন জাতীয় সমীক্ষা গুলোতে 7 শতাংশ বা 4 শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন । সেখানে পুরোটাই নির্ভর করছে কয়েকটি স্টেটের ওপর, যাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন প্রার্থীরা । ফ্লোরিডাকে নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের মাস্ট উইন হিসেবে দেখা হচ্ছে । ফ্লোরিডাকে না ধরেও বিডেনের সামনে জয়ের পথ রয়েছে । পেনসিলভেনিয়াকে দুজনেই পাখির চোখ করেছেন । সোমবার প্রেসিডেন্ট মিশিগানে তাঁর পাঁচটি সভার মধ্যে দুটিতে জনসমক্ষে আসবেন, যদিও বিডেন এই স্টেটে 10 শতাংশ এগিয়ে আছেন । তাই প্রেসিডেন্ট মিশিগানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন কেন? সম্ভবত তাঁদের নিজেদের ভোট এই লিডকে ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না । এই স্টেট চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সারপ্রাইজ় জয়লাভের পিছনে চমকপ্রদ ভূমিকা নিয়েছিল । কারণ এখানে প্রত্যেকটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, হিলারি ক্লিন্টন এগিয়ে আছেন । ”

এই সিনিয়র মার্কিন সাংবাদিক বলেন যে, শেষ মুহূর্তের প্রচারের লক্ষ্য নিজস্ব ভোটারদের মঙ্গলবার বুথে যাওয়া নিশ্চিত করা । তিনি বলেন, “এই ভোটে কেউ দোটানায় নেই । জোরালোভাবে মতামত তৈরি হচ্ছে । এটাই আসল কারণ যে, শেষ কয়েকঘণ্টাতেও প্রার্থীদের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি । মঙ্গলবার সকালের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরছেন না । রবিবার তিনি মধ্যরাতের পরেও ফ্লোরিডাতে সভা করেছেন । এর পুরোটাই হল দলের যে কমিটেড ভোটাররা এখনও ভোট দেননি, তাঁরাও যাতে ভোট দেন । এটা মত বদলের বিষয় নয় । এটা মঙ্গলবার বাইরে বেরিয়ে ভোট দিতে মানুষকে উৎসাহ জোগানো ।”

স্মিতা শর্মা

নয়াদিল্লি

যেখানে ইতিমধ্যেই 9 কোটিরও বেশি ভোটার ইতিমধ্যেই সরাসরি এবং পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে দিয়েছেন, তাই বহু দশকের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভোটদানের সাক্ষী থাকতে চলেছে অ্যামেরিকা । কিন্তু পাশাপাশি এই ভোট মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে তিক্তভাবে লড়া হচ্ছে, যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সহ বহু সংস্থা পথেঘাটে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে ।

ভয়েজ অফ আমেরিকার (VOA) হোয়াইট হাউস বিউরো চিফ স্টিভেন হার্মান বলেন, “সবাই খুবই দুশ্চিন্তা রয়েছে । বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ভোটার বা সেই নির্দলদের যাঁরা জো বিডেনকে সমর্থন করছেন । এমনকী সেইসব বিশিষ্ট রিপাবলিকানদের মধ্যেও, যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন ।” তিনি আরও যোগ করেন, “মিশিগানের মতো স্টেটগুলিকে নিয়ে উদ্বেগ আছে, যেখানে লোকজন বন্দুক নিয়ে হাজির হতে পারে এবং তার ফলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হতে পারে । কিন্তু এর ফলে মানুষের বাইরে বেরিয়ে ভোটদানের উৎসাহে খামতি হতে পারে, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই ।”

গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে হোয়াইট হাউসের চারপাশে এমনভাবে বেড়া দেওয়া হচ্ছে যাতে তার ওপর ওঠা না যায়, পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসির বাণিজ্যিক বেসরকারি ভবনগুলোও যে কোনও ক্ষতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে । ডিসি থেকে সাংবাদিক স্মিতা শর্মার সঙ্গে আলাপচারিতায় হার্মান বলেন, “এমনও উদ্বেগ রয়েছে যে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে । সেটা মঙ্গলবার রাতে নয়, বরং বুধবার রাতে, যখন স্পষ্ট হয়ে যাবে যে কী হতে চলেছে । মানুষ রাস্তায় নামতে পারেন । মাত্র কয়েকজন মানুষই ইন্ধন জোগাতে পারে, যেমনটা আমরা এই বছরের বিক্ষোভগুলোয় দেখেছি । যা অতি বাম ও অতি দক্ষিণ – দুই দিক থেকেই বিপত্তির কারণ হতে পারে ।”

হার্মান বলেন, “হোয়াইট হাউসের চারপাশের রাস্তায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন বেড়া দেওয়া হচ্ছে, যাতে জানলা ভাঙা ও আগুন লাগানোর মতো ঘটনা এড়ানো যায় । যেমনটা আমরা এবছরের গোড়ার দিকে দেখেছি । অনেক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সামনের দিনগুলোতে বিপুল গণবিক্ষোভ দেখা যাবে, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই । কিন্তু যে কোনও জায়গার ঘটনাই নজরে আসবে ।” পাশাপাশি হার্মান এও বলেন যে, ভোটের ফল এবং জয়ী প্রার্থী কত ব্যবধানে জিতলেন, তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করবে ।

হার্মান বহু বছর ধরে অ্যামেরিকার ভোট ও রাজনীতিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন । তিনি জানালেন,“ভোটপর্ব কতটা নিখুঁত হল, তার ওপরে পুরো ফলাফল নির্ভর করবে । যদি পেনসিলভেনিয়া বাদ দিয়েই জো বিডেন 270টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে যান, তাহলে নাটকের বেশিরভাগটাই শেষ হয়ে যাবে । যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি তৎক্ষণাৎ ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন । তিনি মনে করেন যে, ভোটের দিনের সন্ধেবেলাই আমাদের হাতে ফলাফল চলে আসা উচিত, যদিও অ্যামেরিকার নির্বাচনের ইতিহাসে এটা সবসময়ই ব্যতিক্রমী ঘটনা ।” ভোটের ফল অথবা স্পষ্ট ইঙ্গিত মার্কিন সময় অনুযায়ী 4 নভেম্বর সকালে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে । কিন্তু এতে তিক্ত আইনি লড়াই শুরু হতে পারে, যেমন 2000 সালে জর্জ বুশ ও আল গোরের মধ্যে হয়েছিল । যদিও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতো সংস্থার বিজয়ীর নাম ঘোষণার দিকে নজর রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ । এবং তারপরেই বেশিরভাগ সংবাদ চ্যানেল সেটা ঘোষণা করবে ।

এতদিন পর্যন্ত জাতীয় সমীক্ষাগুলিতে জো বিডেনের একটানা লিড ছিল, প্রচারের শেষ কিছুদিনে যা একটি সংখ্যায় নেমে এসেছে । কিন্তু ভোটবিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতরা সাবধানী । কারণ 2016 সালের সমীক্ষার ছায়া এখনও বর্তমান । যেখানে হিলারি ক্লিন্টনের জয়ের ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল । স্টেটগুলোর মধ্যে রয়েছে মিডওয়েস্টের শিল্পাঞ্চলও, যা চার বছর আগে চমকপ্রদ জয়ের সময় ক্লিন্টনের থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছিলেন ট্রাম্প । এই অঞ্চল এবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে । আর এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে ভোটপর্বের যবনিকা পতনের আগে দুই প্রার্থীই দোলাচলে থাকা স্টেটগুলোর ওপর বেশি নজর দিচ্ছেন ।

হার্মান বলেন, “যেখানে বিডেন জাতীয় সমীক্ষা গুলোতে 7 শতাংশ বা 4 শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন । সেখানে পুরোটাই নির্ভর করছে কয়েকটি স্টেটের ওপর, যাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন প্রার্থীরা । ফ্লোরিডাকে নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের মাস্ট উইন হিসেবে দেখা হচ্ছে । ফ্লোরিডাকে না ধরেও বিডেনের সামনে জয়ের পথ রয়েছে । পেনসিলভেনিয়াকে দুজনেই পাখির চোখ করেছেন । সোমবার প্রেসিডেন্ট মিশিগানে তাঁর পাঁচটি সভার মধ্যে দুটিতে জনসমক্ষে আসবেন, যদিও বিডেন এই স্টেটে 10 শতাংশ এগিয়ে আছেন । তাই প্রেসিডেন্ট মিশিগানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন কেন? সম্ভবত তাঁদের নিজেদের ভোট এই লিডকে ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না । এই স্টেট চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সারপ্রাইজ় জয়লাভের পিছনে চমকপ্রদ ভূমিকা নিয়েছিল । কারণ এখানে প্রত্যেকটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, হিলারি ক্লিন্টন এগিয়ে আছেন । ”

এই সিনিয়র মার্কিন সাংবাদিক বলেন যে, শেষ মুহূর্তের প্রচারের লক্ষ্য নিজস্ব ভোটারদের মঙ্গলবার বুথে যাওয়া নিশ্চিত করা । তিনি বলেন, “এই ভোটে কেউ দোটানায় নেই । জোরালোভাবে মতামত তৈরি হচ্ছে । এটাই আসল কারণ যে, শেষ কয়েকঘণ্টাতেও প্রার্থীদের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি । মঙ্গলবার সকালের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরছেন না । রবিবার তিনি মধ্যরাতের পরেও ফ্লোরিডাতে সভা করেছেন । এর পুরোটাই হল দলের যে কমিটেড ভোটাররা এখনও ভোট দেননি, তাঁরাও যাতে ভোট দেন । এটা মত বদলের বিষয় নয় । এটা মঙ্গলবার বাইরে বেরিয়ে ভোট দিতে মানুষকে উৎসাহ জোগানো ।”

স্মিতা শর্মা

নয়াদিল্লি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.