হিঙ্গলগঞ্জ,11এপ্রিল : হিঙ্গলগঞ্জের গণপিটুনির ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উপপ্রধান জয়নাল আবেদিন পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। উপপ্রধানকে গুলি করার তত্ত্ব যে সাজানো, তা মানছেন পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই।
শুক্রবার হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলের বিল পঞ্চায়েতের ভেটকিয়া গ্রামে গণপিটুনিতে আশরফ গাজি নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দু'জন। মৃত আসরাফের মা জাহানারা বিবি রাতেই হিঙ্গলগঞ্জ থানায় 28 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দু'জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম রফিক গাজি ও তারিকুল গাজি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়নাল আবেদিন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সান্ডেলের বিল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়নাল আবেদিন গাজির বাড়ি সামনে গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটে। জয়নালের দাবি, দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে তাঁকে গুলি করতে এসেছিল। তাই, গ্রামবাসীরা তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়েছে। গ্রামে যখন পুলিশ পৌঁছায়, তখন আশরফ-সহ তিন জন গণপিটুনিতে অচেতন হয়ে পড়েছিল। আরও দু'জনের হাত-পা বাঁধা ছিল। ঘটনায় আহতরা অচেতন হয়ে পড়ে থাকলেও একজনের হাতে পিস্তল তখনও ছিল। গণপ্রহারের পরে এরকমভাবে পিস্তল হাতে থাকা সম্ভব নয়। ফলে জয়নালের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশ ঘটনাটি বুঝতে পারে।
গণপ্রহারে মৃত আশরফের মা জাহানারা বিবির দাবি, উপপ্রধানকে গুলি করার কথা পুরোপুরি সাজানো। আসলে আমার ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। জাহানারা রাতেই উপপ্রধান জয়নাল-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হিঙ্গলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার সকালে পুলিশ রফিক ও তারিকুল নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, 'হিঙ্গলগঞ্জে গণপিটুনির ঘটনায় 28 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক।'