গাইঘাটা, 28 অক্টোবর : প্রথমে খুন । তারপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা । মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হয় মৃতদেহ । কিন্তু শেষরক্ষা হল না । মেঝে খুঁড়ে আজ রামকৃষ্ণ সরকারের (27) দেহ উদ্ধার করা হয় । রামকৃষ্ণের স্ত্রী স্বপ্না ও তার প্রেমিক সুজিতকে আটক করেছে পুলিশ । গাইঘাটার ঘটনা ।
কোচবিহারের বাসিন্দা ছিলেন রামকৃষ্ণ । বিয়ের পর উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর বাবুপাড়ায় স্ত্রী'কে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন । আজ গাইঘাটার গোয়ালবাতান থেকে মেঝে খুঁড়ে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে গাইঘাটার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন । খবর দেওয়া হয় গাইঘাটা থানায় । পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন । পুলিশ কাছের একটি বাঁশবাগানে জুতো, মাস্ক ও টর্চ লাইট পড়ে থাকতে দেখে । তখন সন্দেহ আরও বাড়ে ।
আজ সকালে গোয়ালবাথান এলাকারই বাসিন্দা সুজিত দাসের বাড়ির সামনেও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায় । কিন্তু ওই বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল । পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে । ভিতরে ঢুকে দেখে, খাটের নিচে মেঝে খোঁড়া রয়েছে । তখন সন্দেহ আরও বাড়ে । দুপুরে ওই মেঝে খোঁড়া হয় । সেখান থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় । যা রামকৃষ্ণেরই দেহ বলে শনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রামকৃষ্ণের স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে সুজিতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল । সম্পর্কে পথের কাঁটা সরাতে সুজিত ও স্বপ্না মিলে রামকৃষ্ণকে খুন করেছে । তারপর তাঁর দেহ সুজিতের বাড়ির খাটের নিচে মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয় । পুলিশ স্বপ্না ও তার প্রেমিক সুজিতকে আটক করেছে ।