ETV Bharat / jagte-raho

প্রথমে গুলি, তারপর গলা টিপে ধরা হয় ! গ্রেপ্তার রিজেন্ট পার্ক খুনের অভিযুক্ত - kolkata murder news

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কাকে খুন করে জয়ন্ত হালদার । জয়ন্ত বিবাহিত । কিন্তু, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল । কিন্তু, কিছুদিন আগে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে । প্রিয়াঙ্কা জয়ন্তকে এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন । সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত ।

regent park
regent park
author img

By

Published : Jun 21, 2020, 6:20 AM IST

কলকাতা, 20 জুন : অবশেষে গ্রেপ্তার রিজেন্ট পার্কে যুবতি খুনের অভিযুক্ত । জয়ন্ত হালদারের কাছ থেকে পিস্তলটিও পাওয়া গিয়েছে । প্রথমে গুলি করা হয় ঘুমন্ত প্রিয়াঙ্কাকে । তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে ধরা হয় তাঁর । প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেই জড়িয়েছিল জয়ন্ত । এই তথ্যই উঠে আসছে পুলিশের তদন্তে ।

ঘটনার সূত্রপাত আগেই । কলেজ ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় জয়ন্তর । প্রিয়াঙ্কার জামাইবাবুর বন্ধু সে । প্রিয়াঙ্কাকে প্রায়ই অসুখী দাম্পত্যের কথা শোনাত জয়ন্ত । এইভাবেই শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক । জয়ন্তকে এতটাই বিশ্বাস করতেন প্রিয়াঙ্কা যে, তার সব কথাই সত্যি বলে মনে করতেন । শুনতেন জয়ন্তর অসুখী দাম্পত্যের কথা । বাড়িতেও তার কথা জানান প্রিয়াঙ্কা । তাঁর পরিবারের তরফেও বিষয়টি মেনে নেওয়া হয় । এরপরই প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে শুরু হয় অবাধ যাতায়াত ।

কিন্তু সম্পর্কে ছন্দপতন কয়েকদিন আগে । প্রিয়াঙ্কা জানতে পারেন, জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা । আনন্দ পল্লিতে প্রিয়াঙ্কার বাড়ির খুব কাছেই থাকে জয়ন্ত । স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি জানতে বেগ পেতে হয়নি তাঁকে । নিজের ভুল বুঝতে পারেন প্রিয়াঙ্কা । এড়িয়ে যেতে শুরু করেন জয়ন্তকে । কিন্তু এই বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি জয়ন্ত । সম্পর্কের জন্য নাছোড়বান্দা ছিল সে । প্রিয়াঙ্কাকে সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করে । কয়েকদিন আগে অশান্তি হয় দুই পক্ষের মধ্যে । এমনকী প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে এসে হুমকি দেয় জয়ন্ত । জানায়, সম্পর্ক না রাখলে খুন করে ফেলবে প্রিয়াঙ্কাকে । খুন করবে পরিবারের সদস্যদেরও । কিন্তু সত্যিই সে এমন কাজ করবে ভাবেননি তাঁরা । তাই পুলিশকেও সেই বিষযে জানানো হয়নি । এরপর জয়ন্ত এসে প্রিয়াঙ্কার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় । এমনটাই জানিয়েছে প্রিয়াঙ্কার পরিবার ।

এরপর চূড়ান্ত পদক্ষেপ করে জয়ন্ত । যা আগে কেউ ভাবতে পারেনি । সকালে প্রিয়াঙ্কার মা কাজে বেরিয়ে যান । সেইসময় জয়ন্ত তাঁর বাড়িতে ঢোকে । ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রিয়াঙ্কাকে গুলি করে । পরে গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে । কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে পালিয়ে যায় ঘটনাস্থান থেকে । পরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশ জয়ন্তর খোঁজ শুরু করে। আজ বিকেলেই জয়ন্তকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল ।

কলকাতা, 20 জুন : অবশেষে গ্রেপ্তার রিজেন্ট পার্কে যুবতি খুনের অভিযুক্ত । জয়ন্ত হালদারের কাছ থেকে পিস্তলটিও পাওয়া গিয়েছে । প্রথমে গুলি করা হয় ঘুমন্ত প্রিয়াঙ্কাকে । তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে ধরা হয় তাঁর । প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেই জড়িয়েছিল জয়ন্ত । এই তথ্যই উঠে আসছে পুলিশের তদন্তে ।

ঘটনার সূত্রপাত আগেই । কলেজ ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় জয়ন্তর । প্রিয়াঙ্কার জামাইবাবুর বন্ধু সে । প্রিয়াঙ্কাকে প্রায়ই অসুখী দাম্পত্যের কথা শোনাত জয়ন্ত । এইভাবেই শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক । জয়ন্তকে এতটাই বিশ্বাস করতেন প্রিয়াঙ্কা যে, তার সব কথাই সত্যি বলে মনে করতেন । শুনতেন জয়ন্তর অসুখী দাম্পত্যের কথা । বাড়িতেও তার কথা জানান প্রিয়াঙ্কা । তাঁর পরিবারের তরফেও বিষয়টি মেনে নেওয়া হয় । এরপরই প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে শুরু হয় অবাধ যাতায়াত ।

কিন্তু সম্পর্কে ছন্দপতন কয়েকদিন আগে । প্রিয়াঙ্কা জানতে পারেন, জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা । আনন্দ পল্লিতে প্রিয়াঙ্কার বাড়ির খুব কাছেই থাকে জয়ন্ত । স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি জানতে বেগ পেতে হয়নি তাঁকে । নিজের ভুল বুঝতে পারেন প্রিয়াঙ্কা । এড়িয়ে যেতে শুরু করেন জয়ন্তকে । কিন্তু এই বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি জয়ন্ত । সম্পর্কের জন্য নাছোড়বান্দা ছিল সে । প্রিয়াঙ্কাকে সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করে । কয়েকদিন আগে অশান্তি হয় দুই পক্ষের মধ্যে । এমনকী প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে এসে হুমকি দেয় জয়ন্ত । জানায়, সম্পর্ক না রাখলে খুন করে ফেলবে প্রিয়াঙ্কাকে । খুন করবে পরিবারের সদস্যদেরও । কিন্তু সত্যিই সে এমন কাজ করবে ভাবেননি তাঁরা । তাই পুলিশকেও সেই বিষযে জানানো হয়নি । এরপর জয়ন্ত এসে প্রিয়াঙ্কার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় । এমনটাই জানিয়েছে প্রিয়াঙ্কার পরিবার ।

এরপর চূড়ান্ত পদক্ষেপ করে জয়ন্ত । যা আগে কেউ ভাবতে পারেনি । সকালে প্রিয়াঙ্কার মা কাজে বেরিয়ে যান । সেইসময় জয়ন্ত তাঁর বাড়িতে ঢোকে । ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রিয়াঙ্কাকে গুলি করে । পরে গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে । কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে পালিয়ে যায় ঘটনাস্থান থেকে । পরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশ জয়ন্তর খোঁজ শুরু করে। আজ বিকেলেই জয়ন্তকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.