বেঙ্গালুরু, 23 নভেম্বর: টুইটার, মেটার পথ ধরে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনলাইন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ৷ এমনকী তারা জোর করে কর্মীদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ এ নিয়ে বুধবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া অ্যামজনকে ডেকে পাঠালেন ডেপুটি চিফ লেবার কমিশনার (The Union Labour Ministry has summoned Amazon India to appear before the Deputy Chief Labour Commissioner in Bengaluru) ৷ শ্রমমন্ত্রক একটি নোটিসে জানিয়েছে, "উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে আপনারা সশরীরে দেখা করুন ৷ সঙ্গে প্রয়োজনীয় রেকর্ড নিয়ে আসুন ৷"
অ্যামাজন শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে ৷ এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করে 'ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সিনেট' (Nascent Information Technology Employees Senate, NITES) ৷ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে চিঠিতে এনআইটিইএস দাবি করে, অ্যামাজনের কর্মীদের জোর করে কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে (Union Labour Ministry) ৷
এ নিয়ে তদন্ত করতে কেন্দ্রকে জোর দেয় এনআইটিইএস ৷ তারা আরও জানায়, নিজের ইচ্ছেয় চাকরি ছাড়া নিয়ে 'ভলান্টারি সেপারেশন প্রোগ্রাম' পাঠানো হয়েছে কর্মীদের ৷ তাঁদের 30 নভেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ৷ এনআইটিইএস-এর অভিযোগ, এর ফলে বহু মানুষের জীবন সংকটে ৷ ইনডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউটস আইনের আওতায় ইউনিয়নের সওয়াল, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না ৷
আরও পড়ুন: মেটা-টুইটারের পর এবার অ্যামাজন, কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে আরেক বহুজাতিক সংস্থা
এনআইটিইএস-এর সভাপতি হরপ্রীত সালুজা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ইউনিয়ন কর্মীদের প্রতি ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে ৷ অনৈতিক ভাবে 'ভলান্টারি সেপারেশন পলিসি' প্রয়োগ করছে অ্যামজন ৷ এটা সরকারের বাতিল করা প্রয়োজন, যাতে কর্মীরা স্বস্তি পায় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অ্যামাজন প্রায় 10 হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবে অ্যামাজন ৷ এই ছাঁটাই 2023 সাল পর্যন্ত চলবে ৷