জেনেভা, 7 নভেম্বর: একমাসব্যাপী চলা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে বিরতির প্রস্তাবে একমত হতে পারল না রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ৷ সোমবার দুই ঘণ্টারও বেশি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়, তা সত্ত্বেও মতপার্থক্য রয়ে গিয়েছে । একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবিতার কারণে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ডাক দিয়েছে ৷ অন্যদিকে কাউন্সিলের অন্যান্য অনেক সদস্য গাজায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে মানবিক প্রশ্নে যুদ্ধবিরতির দাবি করছে । মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা মানবিকতার প্রশ্নে যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে কথা বলেছি এবং আমরা চাই সকলে এই বিষয়ে সহমত হোক ৷ কিন্তু এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না তা নিয়ে কাউন্সিলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে ।"
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "আমি গাজায় অবিলম্বে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি চাই এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর, লেবানন এবং সিরিয়া থেকে ইরাক ও ইয়েমেনে ক্রমবর্ধমান মানবতার উপরে আঘাত বন্ধ করতে চাই ।" গুতেরেসের কথায়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সাধারণ নাগরিক এবং তাদের জীবনধারনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোকে সুরক্ষিত রাখার দাবি জানায় ৷ তবে স্পষ্টভাবে এখানে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং জোর দেওয়া হচ্ছে যে সশস্ত্র সংঘাতের কোনও পক্ষই এই আইনের ঊর্ধ্বে নয় । 7 অক্টোবরের হামলায় হামাস ইজরায়েল থেকে বেশ কিছুজনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে এসেছে ৷ সেইসব বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব ।
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা, সাময়িক যুদ্ধবিরতির ডাককে প্রত্যাখান নেতানিয়াহুর
চিন এই মাসে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে ৷ অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাউন্সিলের আরবের প্রতিনিধি গাজায় মানবিকতার সংকটের কারণে সোমবারের বৈঠকটির ডাক দেয় ৷ গাজায় এক মাসেরও কম সময়ে 10 হাজারেরও বেশি সাধারণের মানুষের যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে ৷ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত লানা নুসিবেহ বলেছেন, সমস্ত 15 কাউন্সিল সদস্য পুরোপুরি নিযুক্ত রয়েছেন এবং চেষ্টা অব্যাহত থাকবে যাতে সকলে প্রস্তাবে একমত হয় ।
(সংবাদ সূত্র-এপি)