খান ইউনিস (গাজা স্ট্রিপ), 3 ডিসেম্বর: যুদ্ধবিরতি শেষ ৷ শুক্রবার থেকে ফের গাজায় হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল ৷ শনিবার গাজা স্ট্রিপের জনাকীর্ণ দক্ষিণ এলাকাকে টার্গেট করল ইজরায়েলি সেনা ৷ তবে আক্রমণের আগে ওর আশেপাশের এলাকাগুলি থেকে সাধারণ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে গাজার সাধারণ জনগণের সুরক্ষার কথা বলেছিল, সেখানে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার একদিন পরেই বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা ৷
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, গাজায় ক্ষমতাসীন জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার সকালে পুনরায় লড়াই শুরু হয়েছে ৷ এরপর থেকে হামলায় কমপক্ষে 200 প্যালেস্তানীয় নিহত হয়েছেন । শনিবার গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালানো হয় ৷ গাজা শহরের উপকণ্ঠে একটি বহুতল ভবনকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এই হামলায় একাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে ।
অন্যদিকে মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, 7 অক্টোবর ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সামগ্রিক মৃতের সংখ্যা 15 হাজার 200 ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷ এক লাফে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজারের মতো, যা 20 নভেম্বর পর্যন্ত 13 হাজার 300-এরও বেশি ছিল ৷ তবে মন্ত্রণালয় সাধারণ নাগরিকদের এবং সৈন্যদের মিলিয়ে এই মৃতের সংখ্যা কথা জানিয়েছে ৷ কিন্তু জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে 70 শতাংশ নারী ও শিশু রয়েছে । এমনকী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে 40 হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন ।
যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে আকাশ ও স্থল আক্রমণ করে ইজরায়েল ৷ যার ফলে উত্তর গাজার বিশাল এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় ৷ এরপরেই গাজার সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা দেওযার জন্য ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আবেদন এসেছিল । গাজার সমগ্র জনসংখ্যা প্রায় 2 মিলিয়ন প্যালেস্তানীয় এখন ভূখণ্ডের দক্ষিণ দিতে আটকে পড়েছে ।
ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, বিগত দিনে গাজা জুড়ে হামাসের 400টিরও বেশি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে তারা ৷ ট্যাংক এবং নৌবাহিনীর গানশিপ থেকে বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ করা হয়েছে । দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর এবং আশেপাশের এলাকায় 50টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল ৷ ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার বলেছেন, "যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে হামাস ইজরায়েলে 250টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে ।"
আরও পড়ুন: