কুইতো (ইকুয়েডর), 19 মার্চ: স্থানীয় সময় শনিবার দক্ষিণ ইকুয়েডর এবং উত্তর পেরুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হল ৷ আর এই ভূমিকম্পে দুই দেশের অন্তত 14 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ যার মধ্যে 13 জন ইকুয়েডর এবং 1 জন পেরুর নাগরিক (Earthquake in Ecuador and Peru Border Area) ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 6.8 ৷ এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বিদ্যুতের খুটি উপড়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইকুয়েডরে ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
মার্কিন ভূ-বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে খুব কাছে ইকুয়েডরের গুয়াকিল শহর থেকে 80 কিলোমিটার দক্ষিণে ৷ ইকুয়েডর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত প্রায় 126 জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে ৷ এটি ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বড় শহর ৷ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্প জনজীবনের কাছে একটা সতর্ক বার্তা ৷ সমুদ্র তীরবর্তী গুয়াকিল শহরে 11 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আর বাকি 1 জন পাহাড়ি এলাকা আজুয়াতে মারা গিয়েছেন ৷
পেরুতে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে উত্তর সীমান্তে ৷ অর্থাৎ, ইকুয়েডর সীমান্তের দিকে ৷ সেখানে এই ভূমিকম্পের প্রভাব অতটাও ভয়াবহ না হলেও, 1 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ তবে, এখনই নিশ্চিত করে সেখানকার প্রশাসন কিছু জানায়নি ৷ পেরুর প্রধানমন্ত্রী অ্যালবের্তো ওত্রোলা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে 4 বছরের এক শিশুকন্যার ৷ জানা গিয়েছে, পেরুর তাম্বেস এলাকায় ভূমিকম্পের জেরে বাড়ি ভেঙে পড়ে ৷ সেখানে শিশুটি আটকে যায় এবং আতঙ্কে ও শ্বাসকষ্টের কারণে সে প্রাণ হারায় ৷
আরও পড়ুন: তুরস্কের পর এবার কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা 7.1
অন্যদিকে, ইকুয়েডরের আজুয়াতে মৃত 2 জনের মধ্যে একজন গাড়িতে ছিলেন ৷ ভূমিকম্পের কারণে ভেঙে পড়া একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সেক্রেটরিয়েট ৷ এমনকী এল ওরো প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে মানুষজন চাপা পড়ে রয়েছেন ৷ ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ৷ পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারি অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করলেও রাস্তায় বিদ্যুতের তার পড়ে থাকায় সমস্যা হচ্ছে ৷ ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে ৷