ঢাকা, 23 জুলাই: চালকের গাফিলতিতে বাংলাদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে 17 জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। মৃতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে ৷ আহতের সংখ্যা কমবেশি 35 ৷ জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ছত্রাকান্দা এলাকায় ৷ বাসটি জলাশয়ে পড়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি ৷
প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরাও দুর্ঘটনার জন্য বাসচালকের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন ৷ তাঁদের দাবি, বাসে জায়গার তুলনায় অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন। আর তাই সেটি উলটে গিয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কর্তারাও এমনটাই মনে করছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে। যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, বাশর স্মৃতি পরিবহণের এই বাসটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল ৷ বাসে 52 জন যাত্রীর জায়গা ছিল ৷ এদিকে বাসটিতে যাত্রী ছিল প্রায় 60 জন ৷ সেটি শনিবার সকাল 9টা নাগাদ পিরোজপুর ভান্ডারিয়া থেকে রওনা দেয় ৷ পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বরিশাল-খুলনা হাইওয়েতে ছত্রাকান্দায় রাস্তার ধারে একটি পুকুরের মধ্যে হঠাৎ বাসটি উলটে পড়ে যায় ৷
মহম্মদ মোমিন নামে এক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "আমি ভান্ডারিয়া থেকে বাসে উঠেছিলাম ৷ বাসে যাত্রীদের ভিড় ছিল ৷ অনেকেই বাসের রড ধরে ঝুলছিল ৷ যাত্রী বেশি থাকায় পুকুরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস ডুবে যায় ৷" বরিশালের ডিভিশনাল কমিশনার মহম্মদ শওকল আলি জানান, 17 জন যাত্রী দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৷ আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা হয় ৷
আরও পড়ুন: গুজরাতে দুটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে 9
বাংলাদেশে এই ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয় ৷ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র জুন মাসে দেশে 559টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ তাতে 562 জনের মৃত্যু হয়েছেন ৷ তাছাডা় প্রায় 812 জন আহত হয়েছে ৷ গত বুধবার প্রাকাশিত এই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে এই সময়ের মধ্যে 207টি বাইক দুর্ঘটনায় 169 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃতদের মধ্যে 78 জন মহিলা এবং 114 জন শিশু ৷