তেহরান, 4 ডিসেম্বর: ইরানের (Protest in Iran) মুক্তমনাদের বিপ্লবের কাছে নতি স্বীকার করল সরকার (Iran Abolishes Morality Police)৷ হিজাব আন্দোলনের চাপের মুখে বাধ্য হয়ে নীতি পুলিশ বাহিনীকে বাতিল করল তেহরান ৷
মহিলাদের জন্য দেশের কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রেফতার হতে হয়েছিল মাহসা আমিনিকে (Mahsa Amini)৷ গ্রেফতারির তিন দিন পর, 16 সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় কুর্দিশ বংশোদ্ভূত 22 বছরের তরুণীর ৷ তারই প্রতিবাদে শুরু হয় আন্দোলন ৷ টানা দু মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে বিক্ষোভ ৷ জনরোষের চাপে অবশেষে নীতি পুলিশি বাতিল বলে ঘোষণা করল ইরান ৷ রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে এমনই দাবি করা হয়েছে ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মনতাজেরিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, "বিচার বিভাগের সঙ্গে নীতি পুলিশের কোনও সম্পর্ক নেই", এটি বিলুপ্ত করা হয়েছে ৷ একটি ধর্মীয় সম্মেলনে গিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ৷ সেখানে একজন অংশগ্রহণকারী তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, "কেন নীতি পুলিশি বন্ধ করা হচ্ছে ?" তারই জবাব দিতে গিয়ে মনতাজেরি বলেন, এর সঙ্গে বিচার বিভাগের কোনও সম্পর্ক নেই ৷
নীতি পুলিশ ইরানে গাশত-ই এরশাদ (Gasht-e Ershad) বা "গাইডেন্স পেট্রোল" নামে পরিচিত ৷ কট্টর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের অধীনে 'মহিলাদের মধ্যে হিজাব ও শালীনতার সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য' এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ৷ এই নীতি পুলিশের ইউনিটগুলি 2006 সাল থেকে টহল দেওয়া শুরু করে ।
আরও পড়ুন: ইরানের জাতীয় পতাকা থেকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ চিহ্ন মুছল মার্কিন ফুটবল
নারীদের মাথা ঢেকে রাখতে হবে এমন আইন পরিবর্তন করা দরকার কি না তা নিয়ে "সংসদ এবং বিচার বিভাগ উভয়ই কাজ করছে " - মনতাজেরি এ কথা বলার একদিন পরেই নীতি পুলিশের বিলুপ্তির কথা ঘোষিত হল ৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ৷ তবে সংবিধান বাস্তবায়নের একটা পদ্ধতি রয়েছে, যা নমনীয় হতে পারে ।