ETV Bharat / international

G-20 Presidency: ধনী দেশগুলির জন্যই উষ্ণায়ন বাড়ছে বিশ্বে, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

author img

By

Published : Mar 2, 2023, 12:30 PM IST

গতকাল থেকে দেশে জি-20 গ্রুপের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক চলছে ৷ আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো মেসেজ শোনানো হয় ৷ তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য উন্নত দেশগুলিকেই দায়ী করেন তিনি (PM Narendra Modi on G20 Presidency Foreign Ministers Meet) ৷

PM Narendra Modi
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লি, 2 মার্চ: এটা গভীর আন্তর্জাতিক বিভাজনের সময়। একইসঙ্গে সংকটে বিশ্বের বহুপাক্ষিকতাও । জি-20 সভাপতিত্ব প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জি-20 গ্রুপের (G20 countries) বিদেশ মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক চলছে ৷ আজ তার দ্বিতীয় তথা শেষ দিন ৷ সেখানে নরেন্দ্র মোদির ভিডিয়ো মেসেজ শোনানো হয় ৷ তিনি বলেন, "ভারত জি-20 সভাপতিত্বে এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের (One earth, One family, One Future) থিম বেছে নিয়েছে ৷" প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের জানান, নানাবিধ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ৷ কাজের ক্ষেত্রেও একতার বার্তা দিচ্ছে ভারত ৷ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার নাম না করলেও দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷ মোদি বলেন, "বিশ্ব জি-20-র দিকে তাকিয়ে রয়েছে ৷ বৃদ্ধি, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব, বিপর্যয় মোকাবিলা, অর্থনৈতিক স্থিরতা, অন্তর্দেশীয় অপরাধ, দুর্নীতি, জঙ্গি হামলা, খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও সহজ করতে হবে ৷"

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অনেক বছরের উন্নতির পরে এখন দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছি ৷ বহু উন্নয়নশীল দেশ ঋণে জর্জরিত ৷ একই সঙ্গে তাদের নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তার দিকটিও নিশ্চিত করতে হচ্ছে ৷ ধনী দেশগুলির জন্যই বিশ্বে উষ্ণায়ন বাড়ছে। তার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ দুনিয়ার দেশগুলি ৷ তাই ভারত জি20 সভাপতিত্বে দক্ষিণ দুনিয়ার স্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে ৷ উন্নত দেশগুলির এই সিদ্ধান্তের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির কথা শুনতে হবে৷ না হলে কোনও গ্রুপ আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের দাবিদার হতে পারে না ৷"

প্রধানমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রশাসন পরিকাঠামো ব্যর্থ হয়েছে ৷ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থা নতুন করে নির্মিত হয়েছিল ৷ তার দু'টি উদ্দেশ্য ছিল ৷ প্রথমত, প্রতিযোগিতামূলক স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে ভবিষ্যৎ যুদ্ধকে প্রতিরোধ করা ৷ দ্বিতীয়ত, সাধারণ প্রয়োজনগুলির ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা তৈরি করা ৷" এরপরই তিনি বলেন, "শেষ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা- অর্থনৈতিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, অতিমারি, জঙ্গি এবং যুদ্ধ ৷ এগুলি স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রশাসন তার দু'টি লক্ষ্য পূরণেই ব্যর্থ হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: বিলাসবহুল গাড়িতে এসে জি 20 সম্মেলনের ফুলের টব চুরি ! ভাইরাল ভিডিয়ো

নয়াদিল্লি, 2 মার্চ: এটা গভীর আন্তর্জাতিক বিভাজনের সময়। একইসঙ্গে সংকটে বিশ্বের বহুপাক্ষিকতাও । জি-20 সভাপতিত্ব প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জি-20 গ্রুপের (G20 countries) বিদেশ মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক চলছে ৷ আজ তার দ্বিতীয় তথা শেষ দিন ৷ সেখানে নরেন্দ্র মোদির ভিডিয়ো মেসেজ শোনানো হয় ৷ তিনি বলেন, "ভারত জি-20 সভাপতিত্বে এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের (One earth, One family, One Future) থিম বেছে নিয়েছে ৷" প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের জানান, নানাবিধ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ৷ কাজের ক্ষেত্রেও একতার বার্তা দিচ্ছে ভারত ৷ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার নাম না করলেও দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷ মোদি বলেন, "বিশ্ব জি-20-র দিকে তাকিয়ে রয়েছে ৷ বৃদ্ধি, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব, বিপর্যয় মোকাবিলা, অর্থনৈতিক স্থিরতা, অন্তর্দেশীয় অপরাধ, দুর্নীতি, জঙ্গি হামলা, খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও সহজ করতে হবে ৷"

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অনেক বছরের উন্নতির পরে এখন দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছি ৷ বহু উন্নয়নশীল দেশ ঋণে জর্জরিত ৷ একই সঙ্গে তাদের নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তার দিকটিও নিশ্চিত করতে হচ্ছে ৷ ধনী দেশগুলির জন্যই বিশ্বে উষ্ণায়ন বাড়ছে। তার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ দুনিয়ার দেশগুলি ৷ তাই ভারত জি20 সভাপতিত্বে দক্ষিণ দুনিয়ার স্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে ৷ উন্নত দেশগুলির এই সিদ্ধান্তের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির কথা শুনতে হবে৷ না হলে কোনও গ্রুপ আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের দাবিদার হতে পারে না ৷"

প্রধানমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রশাসন পরিকাঠামো ব্যর্থ হয়েছে ৷ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থা নতুন করে নির্মিত হয়েছিল ৷ তার দু'টি উদ্দেশ্য ছিল ৷ প্রথমত, প্রতিযোগিতামূলক স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে ভবিষ্যৎ যুদ্ধকে প্রতিরোধ করা ৷ দ্বিতীয়ত, সাধারণ প্রয়োজনগুলির ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা তৈরি করা ৷" এরপরই তিনি বলেন, "শেষ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা- অর্থনৈতিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, অতিমারি, জঙ্গি এবং যুদ্ধ ৷ এগুলি স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রশাসন তার দু'টি লক্ষ্য পূরণেই ব্যর্থ হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: বিলাসবহুল গাড়িতে এসে জি 20 সম্মেলনের ফুলের টব চুরি ! ভাইরাল ভিডিয়ো

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.