শিয়ালকোট, 11 অক্টোবর: পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফকে গুলি করে খুন করা হল পাকিস্তানে ৷ দুই আততায়ীর গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ ওই দুই হামলাকারী এ দিন মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ভারতে একাধিক বেআইনি কার্যকলাপে অভিযুক্ত ছিলেন শাহিদ লতিফ । লতিফকে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকাভুক্ত করে ভারত সরকার ৷
জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে শাহিদ লতিফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর । পাঠানকোট হামলার পিছনে মূল মাথা ছিল এই লতিফই। ওই জঙ্গিকে হত্যার পিছনে কে বা কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি । জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন বছর একচল্লিশের শহিদ লতিফ । 2016 সালের 2 জানুয়ারি জম্মু-পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল, তার প্রধান চক্রী ছিলেন শাহিদ লতিফ । এই হামলায় নিহত হন 7 জওয়ান । এই এয়ারফোর্স স্টেশনটি 1965 ও 1971 সালের যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করে ।
পাকিস্তানের শিয়ালকোট থেকেই এই হামলার পরিচালনা করা হয়েছিল । জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গিকে ভারতে পাঠানো হয়েছিল হামলা চালানোর জন্য । 1994 সালে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয় জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফকে । বিচার প্রক্রিয়া শেষের পর তাঁর জেল হয় । 2010 সালে তাঁর সাজা পূরণ হওয়ার পর তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এর পাশাপাশি 1999 সালে নেপাল থেকে দিল্লিগামী একটি ভারতীয় বিমানের হাইজ্যাক করার ঘটনাতেও অন্য়তম অভিযুক্ত ছিলেন লতিফ ।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পরই ফের জিহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন লতিফ । ভারত সরকারের তরফে তাঁকে ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করা হয় ।
আরও পড়ুন: অনন্তনাগের জঙ্গলে টানা পঞ্চম দিনেও অব্যাহত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই