কাঠমাণ্ডু, 11 জুলাই: নিখোঁজ হেলিকপ্টার ভেঙে 6 জনের মৃত্যু ৷ মঙ্গলবার সকালে নেপালের পূর্বপ্রান্তে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ জানা গিয়েছে, একটি বাণিজ্যিক হেলিকপ্টারে বিমাচালক-সহ ছ'জন যাত্রী ছিলেন ৷ এর মধ্যে পাঁচজন মেক্সিকোর নাগরিক ৷ এভারেস্টের কাছে আসার পর হঠাৎ হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়এটিসি'র ৷ এরপরই সেটি দুর্ঘটচনার কবলে পড়ে । ঘটনাস্থল থেকে ছ'জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিন সকাল প্রায় 10টা নাগাদ সোলুখুম্বু জেলার সুরকে বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মানাঙ্গ এয়ার এনএ-এমভি চপার ৷ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল জানিয়েছেন, 10.13 মিনিটে হেলকপ্টারটি 12 হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল ৷ এরপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না ৷
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক উচ্চাধিকারিক জানান, হেলিকপ্টারটি সোলুখুম্বু জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে লিখুপিকে পৌরসভা এলাকার লামজুরায় ভেঙে পড়ে ৷ উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে ৷ বিস্তারিত তথ্য আসতে আরও সময় লাগবে ৷ বিমান বন্দর আধিকারিকরা জানান, স্থানীয়রা তাঁদের খবর দেন ৷ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ার সময় বিকট শব্দ হয় ৷ তারপর তাতে আগুন ধরে যায় ৷
নেপালের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিহাদন্দায়ে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে এবং এলাকাবাসী তা দেখতে পায় ৷ মানাঙ্গ এয়ারের আধিকারিক রাজু নিউপানে জানান, এদিন সকাল 10.12 মিনিটে শেষ ওই হেলিকপ্টারকে লামজুরা পাস এলাকায় দেখা গিয়েছিল ৷ আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছেছে ৷ ঘটনাস্থলে দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল ৷ তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই দু'টি ফিরে আসে ৷ কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনার 40 দিন পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার 4 নাবালক !
টিআইএ মুখপাত্র জানিয়েছেন, টেকনাথ সিতাউলা বলেন, "মানাঙ্গ এয়ারের একটি হেলিকপ্টারের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া এসেছিল ৷ লামজুরা পাসে পৌঁছনোর পর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে টাওয়ারের কোনও যোগাযোগ ছিল না ৷ ভাইবারে শুধুমাত্র একটি 'হ্যালো' বার্তা এসেছিল ৷" 1997 সালে প্রতিষ্ঠিত মানাঙ্গ এয়ারের হেলিকপ্টার এয়ারলাইন কাঠমান্ডুতে অবস্থিত ৷ নেপালের মধ্যেই এটি বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের কাজ করে আসছে ৷