ইসলামাবাদ, 29 সেপ্টেম্বর: চিন ও সৌদি আরবের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইল পাকিস্তান ৷ শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই দেশের কাছে পাকিস্তান 11 বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য হিসেবে চেয়েছে ৷ নগদ সংকটে পড়া এই দেশ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের শূন্যতা পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবেই এই সাহায্য চিন ও সৌদি আরবের কাছ চাইছে ৷ এর ফলে পাকিস্তান চাইছে যে সে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায় ৷ আর সাহায্যের বিষয়টি যেন খারিজ না হয়ে যায় ৷
পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, ওই দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে যে সেখানে অবৈধ মুদ্রা ব্যবহার আটকাতে ৷ সেই কারণে বৃহস্পতিবার সেনেটের একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ৷ সেখানে খুচরো, কৃষি ও রিয়েল এস্টেট খাতে করের পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয় ৷ পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী শামশাদ আখতার যে নীতি ঘোষণা করেছেন, এই সিদ্ধান্ত সেই নীতিরই অঙ্গ ৷
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক অর্থমন্ত্রী শামশাদ আখতার জানিয়েছেন, সরকার বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, যা শীঘ্রই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে ৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল কাঠামোগত সংস্কার করার সীমিত সুযোগ ছিল ৷ তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ 700 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের কিস্তি হিসেবে দিলে সংস্কার সম্ভব হবে ৷
অক্টোবরের শেষ নাগাদ এই নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে । আইএমএফ জুন মাসে প্রায় 3 বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার জন্য নয় মাসের একটি স্ট্যান্ড-বাই অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছিল পাকিস্তানের জন্য৷ সেই কারণে ওই দেশের সঙ্গে তারা একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিও করে । অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে আইএমএফ কর্মসূচির বাস্তবায়ন সরকারের অগ্রাধিকার ।’’
কিন্তু তার আগে আর্থিক চাহিদা মেটাতে চিন ও সৌদি আরবের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে ৷ তাছাড়া সৌদি আরবের কাছে তেল সংক্রান্তও সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক অর্থমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন জানুয়ারিতেই, বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের