ETV Bharat / international

জাপানের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে 65, এখনও চলছে উদ্ধারকার্য

Japan Earthquake: নতুন বছরের প্রথমদিনেই জাপানে নেমে এসেছে বিপর্যয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান ৷ ভূমিকম্পের দু'দিন পর ধ্বংসস্তূপের মাঝে এখনও প্রিয়জনদের খুঁজে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ভয়ঙ্কর ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 65 ৷

জাপানের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে 57
Japan Earthquake
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 3, 2024, 5:04 PM IST

টোকিয়ো, 3 জানুয়ারি: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। 1 জানুয়ারি জাপানে পরপর ভূমিকম্পের জেরে সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সুনামির ভয়াবহতা দেখা না-দিলেও বছরের প্রথমদিনেই শক্তিশালী (রিকটার স্কেলে 7.6) ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশ। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক মিটার উচ্চতার সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। ভূমিকম্পের দু'দিন পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও প্রিয়জনদের খুঁজে চলেছেন অনেকেই। ভয়ঙ্কর ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 65 ৷

ভূমিকম্পের জেরে দু'ভাগ হয়ে যায় রাস্তাঘাট, ভেঙে পড়ে বাড়িঘর। একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে। জাপান প্রশাসনের তরফে ফের ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের চেয়ে এগিয়ে চেষ্টা করছে প্রশাসন। বন্ধ হয়ে রয়েছে একাধিক হাইওয়ে ৷ 33 হাজারেরও বেশি বাড়ি এখনও বিদ্যুৎহীন।

এর আগে 2011 সালে, জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। রিকটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল 9.0 ৷ যার ফলে সুনামি জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। যাতে প্রায় 18 হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন ৷ এবার ভয়বহতা এতটা বেশি না-হলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল মনে করা হচ্ছে ৷ মৃতদের মধ্যে 32 জন ওয়াজিমা শহরের ৷ 22 মারা গিয়েছেন সুজু-তে ৷ বাকিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে পাশ্ববর্তী শহরগুলি থেকে ৷ 72 ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও উদ্ধারকার্য চলছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন,"আমরা সময়ের সঙ্গেও লড়াই করছি ৷ এটা আমাদের কাছে কঠিন সময় ৷ আমরা খবর পাচ্ছি, এখনও অনেকে ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. নেই জল-বিদ্যুৎ,কাটেনি সুনামির আতঙ্ক! জাপান থেকে ইটিভি ভারতকে জানালেন বাঙালি অধ্যাপক
  2. ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপান থেকে দেশে ফিরলেন জুনিয়র এনটিআর
  3. জাপানের ভূমিকম্পে প্রাণ গেল কমপক্ষে 55 জনের, ধীরে ধীরে কমছে সুনামির ভয়

টোকিয়ো, 3 জানুয়ারি: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। 1 জানুয়ারি জাপানে পরপর ভূমিকম্পের জেরে সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সুনামির ভয়াবহতা দেখা না-দিলেও বছরের প্রথমদিনেই শক্তিশালী (রিকটার স্কেলে 7.6) ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশ। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক মিটার উচ্চতার সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। ভূমিকম্পের দু'দিন পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও প্রিয়জনদের খুঁজে চলেছেন অনেকেই। ভয়ঙ্কর ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 65 ৷

ভূমিকম্পের জেরে দু'ভাগ হয়ে যায় রাস্তাঘাট, ভেঙে পড়ে বাড়িঘর। একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে। জাপান প্রশাসনের তরফে ফের ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের চেয়ে এগিয়ে চেষ্টা করছে প্রশাসন। বন্ধ হয়ে রয়েছে একাধিক হাইওয়ে ৷ 33 হাজারেরও বেশি বাড়ি এখনও বিদ্যুৎহীন।

এর আগে 2011 সালে, জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। রিকটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল 9.0 ৷ যার ফলে সুনামি জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। যাতে প্রায় 18 হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন ৷ এবার ভয়বহতা এতটা বেশি না-হলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল মনে করা হচ্ছে ৷ মৃতদের মধ্যে 32 জন ওয়াজিমা শহরের ৷ 22 মারা গিয়েছেন সুজু-তে ৷ বাকিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে পাশ্ববর্তী শহরগুলি থেকে ৷ 72 ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও উদ্ধারকার্য চলছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন,"আমরা সময়ের সঙ্গেও লড়াই করছি ৷ এটা আমাদের কাছে কঠিন সময় ৷ আমরা খবর পাচ্ছি, এখনও অনেকে ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. নেই জল-বিদ্যুৎ,কাটেনি সুনামির আতঙ্ক! জাপান থেকে ইটিভি ভারতকে জানালেন বাঙালি অধ্যাপক
  2. ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপান থেকে দেশে ফিরলেন জুনিয়র এনটিআর
  3. জাপানের ভূমিকম্পে প্রাণ গেল কমপক্ষে 55 জনের, ধীরে ধীরে কমছে সুনামির ভয়
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.