কাঠমাণ্ডু, 4 নভেম্বর: শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় রাজধানী-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ দিল্লি, বিহার থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পনের তীব্রতা ছিল 6.4। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল। গভীর রাতের এই তীব্র ভূমিকম্পে উত্তর-পশ্চিম নেপালের জেলাগুলি কেঁপে ওঠে ৷ জোরালো এই ভূমিকম্পে নেপালে অন্তত 140 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা এপির তরফে ৷ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, আহত হয়েছেন অনেকে ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূকবম্পের কেন্দ্রস্থল জাজারকোট, যা নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় 250 মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে, তা ভারতের সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে অবস্থিত নয়। ফলে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও বিহারের মতো বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে জাজারকোট গ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না ৷ তবে ওই গ্রামে প্রায় 2 লক্ষ মানুষ বসবাস করেন।
এর পাশাপাশি, নেপালের রুকুম জেলায় বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাতে প্রায় 35 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ পুলিশ কর্মকর্তা নরভরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, রাতেই বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে তৎপরতার সঙ্গে ৷ পার্শ্ববর্তী জাজারকোট জেলায়, 34 জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে ৷ সরকারি প্রশাসনের আধিকারিক হরিশ চন্দ্র শর্মা জানান, উদ্ধারকারীরা বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃত ও আহতদের উদ্ধার করছেন ৷ তবে কিছু জায়গায় পৌঁছনো কঠিন ছিল কারণ কম্পন এবং এর আফটারশকগুলির কারণে ভূমিধসের কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, 2015 সালে 7.8 মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় 9000 মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর 2022 সালে 6-7 জনের মৃত্যু হয় ভূমিকম্পে। আর গতকাল আবারও কেঁপে উঠল নেপাল।
আরও পড়ুন: রাত-বিরেতে কাঁপল রাজধানী, মেঘলা আকাশে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস