লাহোর, 23 অক্টোবর: দুই ভাই-বোনের শেষ দেখা 76 বছর আগে ৷ দেশভাগের সময় করতারপুরে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন দু'জন ৷ আর সেই ল্যান্ডমার্ক করতারপুর করিডোরে ফের মিলিত হলেন ভাই-বোন ৷ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবেগপূর্ণ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি ৷ সোমবার পাকিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই মিলনের কথা স্বীকার করেছেন।
মহম্মদ ইসমাইল এবং তাঁর বোন সুরিন্দর কৌর দু'জনেই 80-এর দশকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন ৷ তাঁরা ফের পাকিস্তান ও ভারত থেকে করতারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহেবে পৌঁছেছিলেন ৷ রবিবার দুই ভাই-বোনের আবেগপূর্ণ ভিডিয়ো দেখেন উচ্ছ্বসিত সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও ৷ ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের (ইটিপিবি) এক আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছেন, করতারপুর সাহেব প্রশাসন এই ভাই-বোনের পুনর্মিলনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল ৷ এমনকী তাদের জন্য মিষ্টি ও খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
ইসমাইল পঞ্জাবের সাহিওয়াল জেলার অন্তর্গত লাহোর থেকে প্রায় 200 কিলোমিটার দূরে এবং সুরিন্দর কৌর জলন্ধরের বাসিন্দা ৷ ইসমাইল এবং সুরিন্দরের পরিবার দেশভাগের আগে জলন্ধর জেলার শাহকোট শহরে থাকছিলেন ৷ এরপর দেশভাগের সময় দাঙ্গার জেরে তারা আলাদা হয়ে যায় ৷ জানা গিয়েছে, এক পাকিস্তানি পঞ্জাবি ইউটিউব চ্যানেল ইসমাইলের গল্প পোস্ট করে ৷ এরপরে অস্ট্রেলিয়া থেকে এক সর্দার মিশন সিং তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন ৷ এমনকী ভারতে তার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কেও তাকে জানান।
মিশন সিং ইসমাইলকে কৌরের টেলিফোন নম্বর দেন ৷ এর পরে উভয়ে কথা বলে করতারপুর করিডোর হয়ে গুরুদ্বার দরবার সাহিবে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের পুনর্মিলনের সময় আবেগঘন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ভারত থেকে আসা সুরিন্দর কৌর এবং তার পরিবারের সদস্যরাও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন সেখানে।
আরও পড়ুন: গাজায় অব্যাহত ইজরায়েলি হামলা, মৃতের সংখ্যা সাড়ে 4 হাজার ছাড়িয়েছে
করতারপুর করিডোর পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুরুদ্বার দরবার সাহেবকে, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেবের শেষ বিশ্রামস্থল পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানকের মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা চার কিলোমিটার দীর্ঘ করিডোরে প্রবেশ করতে পারে সাধারণ মানুষ ৷ এমনকী ভিসা ছাড়াই দরবার সাহিব দেখতেও পারে।
(পিটিআই)