সিঙ্গাপুর, 28 অক্টোবর: 2019 সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় 26 বছর বয়সি ভারতীয় নাগরিকের 16 বছরের জেলের সাজা হল। পাশাপাশি তাকে 12 বার চাবুকের ঘা দেওয়ারও সাজা শোনাল সিঙ্গাপুরের এক আদালত। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চুরির অভিযোগও ছিল বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
টুডে পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে সাফাইকর্মীর কাজ করত ৷ চার বছর আগের এক গভীর রাতে বাস স্টপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর পিছু নেয় সে। কথায় ভুলিয়ে পাশাপাশি ভুল রাস্তাতেও পাঠিয়ে দেয় ৷ তারপর সুযোগ বুঝে ছাত্রীকে আঘাত করে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে চলে যায় ওই যুবক ৷ পরে তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় নির্য়াতিতা গুরুতর আহত হন ৷ এমনকী তাঁর মুখের দাগ এবং অন্যা আঘাতের চিহ্ন এতটাই গুরুতর ছিল যে তাঁকে প্রথমটায় চেনাই যাচ্ছিল না।
4 মে 2019 সালে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর (ডিপিপি) কায়াল পিলে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ছাত্রীটির গলা টিপে ধরে তাঁকে যৌন নিপীড়ন করছিলেন ৷ ফলে যুবতীর আরও কষ্ট শুরু হয় । যুবক তাঁকে চুপ করে থাকতে বলে, যাতে কেউ তাঁর কথা না শুনতে পায় । এতেই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী নাবালিকা, ধর্ষণের অভিযোগ সরকারি কাজে সাহায্যকারী ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে
ঘটনার পর যুবতী তাঁর চশমা খুঁজে না পেলেও মোবাইলটি হাতের সামনে পেয়ে প্রেমিককে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান ৷ ওই প্রেমিক তাঁর অন্য এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ সেই বন্ধুর কাছ থেকে খবর পায় পুলিশ। ডিপিপি বলেছেন, "পুলিশ আসার পরে ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা তাঁর ঘাড়ের একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরদিনই ওই ভারতীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।" এবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করল সিঙ্গাপুরের আদালত।
(সংবাদ সংস্থা-পিটিআই)