ইসলামাবাদ, 5 মার্চ: তোশাখানা মামলায় (Toshakhana Case) পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, রবিবার ইমরানকে গ্রেফতার করতে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে যায় পুলিশ ৷ তবে সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় তাদের ৷ সূত্রের খবর, ইমরানের আইনজীবীরা এদিন পুলিশকে জানান আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী 7 মার্চ কোর্টে হাজিরা দেবেন ইমরান ৷ তারপরেই পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে ৷ ইমরানের দল পিটিআই-এর দাবি, ইসলামাবাদ সেশন কোর্ট ইমরানকে গ্রেফতারির কোনও নির্দেশ দেয়নি ৷ সেই সংক্রান্ত ওয়ারেন্টও পুলিশের কাছে ছিল না ৷
এদিকে, এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ও কর্মীরা ৷ ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার খবরের পরেই তাঁর দলের তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, পুলিশ যদি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে, তাহলে পাকিস্তানজুড়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু হবে ৷ ইসলামাবাদ পুলিশের সঙ্গে পঞ্জাব পুলিশের প্রতিনিধিরাও এদিন ইমরানের বাড়িতে যান বলে খবর ৷
'ডন'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তোশাখানা মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আদালতের নির্দেশ ছিল, সেই শুনানিতে ইমরানকেও অংশ নিতে হবে ৷ কিন্তু, তিনি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেন ৷ আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে তিনবার ইসলামাবাদের দায়রা আদালতে হাজিরার নির্দেশ এড়িয়েছেন ইমরান ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হয়েছে ৷ তবে পিটিআই-এর দাবি তাঁকে গ্রেফতারির কোনও নির্দেশ ছিল না ৷
দলের শীর্ষ নেতাকে যে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেই আঁচ আগেই পেয়েছিলেন পিটিআইয়ের সাধারণ কর্মীরা ৷ তাই রবিবার সকাল থেকেই ইমরানের বাড়ির বাইরে জমায়েত শুরু করেন তাঁরা ৷ পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয়, তখন তাদের রাস্তা আটকে দাঁড়ান এই পিটিআই কর্মীরা ৷ যদিও সূত্রের দাবি, ইমরানের গ্রেফতারি আটকাতে এই ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁর দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী ৷ তাঁর ফোনেই দলের সদস্যদের ভিড় জমে যায় ইমরান খানের বাড়ির সামনে ৷
আরও পড়ুন: গুলির জখম সারিয়ে ফের ময়দানে ইমরান, রাওয়ালপিন্ডিতে করবেন জনসভা
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ৷ সেই পরোয়ানা সঙ্গে নিয়েই ইমরানের বাড়িতে যান পুলিশকর্মীরা ৷ কিন্তু, ইমরানের দলীয় সতীর্থরা এই পরোয়ানা পাত্তা দিতে নারাজ ছিলেন ৷ অন্যদিকে, পুলিশের বক্তব্য ছিল, তারা সরকারি কাজ করতে এসেছে ৷ কেউ যদি সেই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে ৷