তেল আভিভ, 29 ডিসেম্বর: গত 7 অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাস, ইজরায়েলের দক্ষিণ প্রান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে ৷ শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে ইজরায়েলে প্রবেশ করে গণহত্যা শুরু করে হামাসের জঙ্গিরা ৷ কিন্তু, তাতেই খান্ত হয়নি তারা ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, মার্কিন সংবাদপত্র 'নিউইয়র্ক টাইমস' সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ৷ তারা দীর্ঘ দু’মাস ধরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া দক্ষিণ ইজরায়েলে তদন্ত চালায় ৷ সেই তদন্তেই উঠে আসে ইজরায়েলের মহিলাদের উপর হামাসের ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের ছবি ৷
জঙ্গিদের নিশানার শিকার হওয়া জায়গায়, বহু মহিলার সঙ্গে যৌন নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ৷ তেমনি একটি ভয়াবহ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে ৷ ইজরায়েলের এক নাগরিকের করা ভিডিয়ো হাতে এসেছে ওই মার্কিন সংবাদপত্রের ৷ যেখানে দেখা গিয়েছে, হামাসের হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া মধ্য ইজরায়েলে এক মহিলা তাঁর বান্ধবীর খোঁজ করছেন ৷ যিনি হঠাৎ করেই হামাসের হামলার পরপরই নিখোঁজ হয়ে যান ৷ পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, রাস্তায় এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ পড়ে রয়েছে এবং তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তিনিই সেই মহিলা যাঁর খোঁজ করছিলেন, তাঁর বন্ধু ৷
ইজরায়েল পুলিশ জানিয়েছে, যে অবস্থায় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এই দৃশ্য ইজরায়েলে হামাসের অত্যাচারের ভয়াবহতার নির্দশন হিসেবে উল্লেখ করেছে ওই মার্কিন সংবাদপত্র ৷ ইজরায়েলের মোট সাতটি জায়গায় এই তদন্ত অভিযান করা হয়েছিল ৷ এই সব জায়গাতেই মহিলা এমনকি নাবালিকাদের উপরেও যৌন নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদের ছবি ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ ৷
এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন লোকজন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনা এবং যৌন হিংসার শিকারদের চিকিৎসা করা মনোবিদ-সহ প্রায় 150 জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ৷ সেখানেই 7 অক্টোবর হওয়া মহিলাদের উপর হামাস জঙ্গিদের শারীরিক নিযার্তনের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে ৷ প্রশাসনের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামাস জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার 30 জন মহিলা ও যুবতীর দেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল ৷ বাকি উদ্ধার হওয়া দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ৷
আরও পড়ুন: