গাজা স্ট্রিপ, 26 নভেম্বর: যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় আরও বেশ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দিল ইজরায়েল ও হামাস ৷ জানা গিয়েছে, রবিবার ইজরায়েল 29 জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দিয়েছে আর হামাস মুক্তি দিয়েছে 13 দন ইজরায়েলিকে ৷ জঙ্গি গোষ্ঠী প্রথমে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্দি মুক্তির বিনিময় বিলম্বিত করে ৷ তারা দাবি করেছিল যে ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে ।
ইজরায়েল যে প্যালেস্তিনীয় বন্দিদের মুক্তি দেয়, তাঁদের নিয়ে একটি বাস রবিবার ভোরে ওয়েস্ট ব্যাংকে পৌঁছয় ৷ রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির বাসটি আল বিরেহে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ সেই বাসকে স্বাগত জানান ।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে, চার থাই-সহ মুক্তি পাওয়া বন্দিদের ইজরায়েলে পাঠানো হয়েছে । তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । হামাস একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখে মনে হচ্ছে বন্দিরা কাঁপছেন ৷ কিন্তু বেশিরভাগই ভালো শারীরিক অবস্থায় আছেন বলে মনে হয়েছে ৷ কারণ মুখোশধারী জঙ্গিরা তাদের গাজা থেকে রেড ক্রসের গাড়িতে নিয়ে যায় । অবরুদ্ধ ছিটমহল থেকে বেরিয়ে আসার সময় কিছু বন্দি জঙ্গিদের বিদায় জানান ।
মুক্ত হয়ে ফেরার পর জেরুজালেমের নিকটবর্তী কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে নুরহান আওয়াদকে শতাধিক লোক বীরের মতো স্বাগত জানান ৷ 2016 সালে এই মহিলার বয়স ছিল 17 বছর ৷ সেই সময় কাঁচি দিয়ে একজন ইজরায়েলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করার জন্য তাকে সাড়ে 13 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল । মুক্তিপ্রাপ্ত প্যালেস্তিনীয় নারী শুরুক দুওয়াইত জেরুজালেমে তাঁর বাড়িতে পৌঁছলে আনন্দিত পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন । দুওয়াইত তাঁর বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা গাজায় আমাদের জনগণের কাছে একটি বার্তা পাঠাই যে, আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের সমর্থন করি ৷"
প্যালেস্তাইনের কয়েকশো মানুষ ওয়েস্ট ব্যাংকের শহর বিতুনিয়ায় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন । ইজরায়েলের প্রাইম মিনিস্টার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ঘোষণা করেছে যে, শনিবার হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত ইজরায়েলি বন্দিদের মধ্যে সাত শিশু ও ছয়জন নারী রয়েছেন ।
আরও পড়ুন: