ETV Bharat / international

Humanitarian Aid to Gaza: রাফাহ ক্রসিং দিয়ে 33 ট্রাক জল-খাবার-ওষুধ পৌঁছল গাজায়

Gaza Receives Largest Aid Shipment so Far: সময় যত এগোচ্ছে, গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়াচ্ছে ইজরায়েল ৷ বিমান হামলার পাশাপাশি এখন স্থল অভিযান চলছে ৷ এই পরিস্থিতিতে মিশনের রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের জন্য ৷ রবিবার 33টি ট্রাকে জল, খাবার ও ওষুধ পৌঁছয় গাজায় ৷ কিন্তু এই ত্রাণও যথেষ্ট নয় বলে জানা গিয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 30, 2023, 1:17 PM IST

Updated : Oct 30, 2023, 3:19 PM IST

Humanitarian Aid to Gaza
Humanitarian Aid to Gaza

দেইর আল-বালাহ, 30 অক্টোবর: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় সাহায্য পৌঁছাল গাজায় ৷ সেখানে পৌঁছেছে প্রায় তিন ডজন ট্রাক, যাতে ত্রাণ রয়েছে সেখানকার মানুষের জন্য ৷ এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ত্রাণ, যা গাজায় পৌঁছল ৷ কিন্তু মানবিক কর্মীরা বলেছেন যে এই সাহায্যও কম পড়ে গিয়েছে ৷ কারণ, হাজার হাজার মানুষ খাবার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে ভিড় জমিয়েছেন ৷

রবিবার 33টি ট্রাক জল, খাবার এবং ওষুধ মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার মুখপাত্র ওয়ায়েল আবু ওমর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন । এর আগে রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ৷ তিনি গাজায় প্রবেশ করতে না পারলেও সেখানকার মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করেন ৷ তাঁর আদালত 2014 সাল থেকে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি দেখছে ৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে সবচেয়ে দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷

করিম খান ইজরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ কিন্তু ইজরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেননি ৷ তবে হামাসের 7 অক্টোবরের হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন । তাঁর বক্তব্য, যারা বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট ছুঁড়েছিল, দায় তাদেরই নিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করেছে ইজরায়েল, বার্তা নেতানিয়াহুর

এদিকে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা আট হাজার পেরিয়েছে ৷ যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং নাবালক৷ ইজরায়েলি ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ৷ এই অভিযানকে হামাসের বিরুদ্ধে হামলার দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ গত 7 অক্টোবর আচমকা হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালানো হয় ৷ সেই হামলায় 1400 জন মারা গিয়েছেন বলে ইজরায়েলের দাবি ৷ তার পর থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল ৷

ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার জানিয়েছে যে তারা হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে গত 24 ঘণ্টায় হামলা চালিয়েছে ৷ এছাড়া এই সময়ের মধ্য়ে তারা 450-র বেশি জঙ্গির উপরও হামলা চালিয়েছে ৷ গাজা শহর বিশাল ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে ৷ অন্যদিকে শুক্রবার গভীর রাতে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের পর সেখানকার 2.3 মিলিয়ন বাসিন্দার সঙ্গে ফোন বা ইন্টারনেট মারফত যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ রবিবার সেই যোগাযোগ আবার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ৷

ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি জানান, কয়েক ডজন জঙ্গি নিহত হয়েছে । স্থল অভিযান তীব্রতর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন৷ তবে তিনি গাজার বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন ৷ তাঁদের জন্য সেখানে খাবার, জল এবং ওষুধের আরও ভালো ব্যবস্থা থাকবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় মাটির নিচে বাংকারে হামলা ইজরায়েলের, লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা হামাস জঙ্গি নেতারা

ইজরায়েল জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে চলে গিয়েছে ৷ গাজার উত্তর দিক থেকে এখনও পর্যন্ত 1.4 মিলিয়ন মানুষ দক্ষিণে সরে গিয়েছে ৷ তার পর তথাকথিত নিরাপদ জায়গাগুলিতে ইজরায়েল হামলা চালাচ্ছে বলে অনেকে উত্তর দিকে এখনও রয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ হামাসের সামরিক শাখা বলেছে যে উত্তর-পশ্চিম গাজা উপত্যকায় ছোট অস্ত্র এবং অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল নিয়ে প্রবেশ করায় ইজরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে তাদের জঙ্গিরা লড়াই করছে ৷ হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র, তেল আভিভ-সহ বিভিন্ন দিকে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে ।

রাষ্ট্রসংঘের তরফে তৈরি করা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য সংস্থা ইউএনআরডাব্লুএ-র গাজার ডিরেক্টর টমাস হোয়াইট বলেছেন, তিন সপ্তাহের যুদ্ধ এবং তার জেরে সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ৷ মানুষ ভীত, হতাশ ও মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ অন্যদিকে ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা জানান, শনিবার ত্রাণ পৌঁছাতেই সর্বত্র মানুষের ভিড় উপচে পড়ে ৷ জ্বালানি নেই ৷ ইজরায়েল সেই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ কারণ, তাদের দাবি যে হামাস জ্বালানিকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করবে ৷

রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় একটি গুদামে 80 টন খাদ্য ছিল ৷ এর পরও খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সেখানে রোজ অন্তত 40টি ট্রাক পাঠাতে হবে ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছেন ৷ গাজার সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানোর উপর জোর দিয়েছে ৷ ইজরায়েলের আশ্বাস, আগামিদিনে গাজায় তারা আরও সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় নাগরিক শৃঙ্খলা ক্রমে ভেঙে পড়ছে, উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ

দেইর আল-বালাহ, 30 অক্টোবর: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় সাহায্য পৌঁছাল গাজায় ৷ সেখানে পৌঁছেছে প্রায় তিন ডজন ট্রাক, যাতে ত্রাণ রয়েছে সেখানকার মানুষের জন্য ৷ এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ত্রাণ, যা গাজায় পৌঁছল ৷ কিন্তু মানবিক কর্মীরা বলেছেন যে এই সাহায্যও কম পড়ে গিয়েছে ৷ কারণ, হাজার হাজার মানুষ খাবার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে ভিড় জমিয়েছেন ৷

রবিবার 33টি ট্রাক জল, খাবার এবং ওষুধ মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার মুখপাত্র ওয়ায়েল আবু ওমর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন । এর আগে রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ৷ তিনি গাজায় প্রবেশ করতে না পারলেও সেখানকার মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করেন ৷ তাঁর আদালত 2014 সাল থেকে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি দেখছে ৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে সবচেয়ে দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷

করিম খান ইজরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ কিন্তু ইজরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেননি ৷ তবে হামাসের 7 অক্টোবরের হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন । তাঁর বক্তব্য, যারা বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট ছুঁড়েছিল, দায় তাদেরই নিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করেছে ইজরায়েল, বার্তা নেতানিয়াহুর

এদিকে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা আট হাজার পেরিয়েছে ৷ যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং নাবালক৷ ইজরায়েলি ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ৷ এই অভিযানকে হামাসের বিরুদ্ধে হামলার দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ গত 7 অক্টোবর আচমকা হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালানো হয় ৷ সেই হামলায় 1400 জন মারা গিয়েছেন বলে ইজরায়েলের দাবি ৷ তার পর থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল ৷

ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার জানিয়েছে যে তারা হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে গত 24 ঘণ্টায় হামলা চালিয়েছে ৷ এছাড়া এই সময়ের মধ্য়ে তারা 450-র বেশি জঙ্গির উপরও হামলা চালিয়েছে ৷ গাজা শহর বিশাল ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে ৷ অন্যদিকে শুক্রবার গভীর রাতে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের পর সেখানকার 2.3 মিলিয়ন বাসিন্দার সঙ্গে ফোন বা ইন্টারনেট মারফত যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ রবিবার সেই যোগাযোগ আবার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ৷

ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি জানান, কয়েক ডজন জঙ্গি নিহত হয়েছে । স্থল অভিযান তীব্রতর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন৷ তবে তিনি গাজার বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন ৷ তাঁদের জন্য সেখানে খাবার, জল এবং ওষুধের আরও ভালো ব্যবস্থা থাকবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় মাটির নিচে বাংকারে হামলা ইজরায়েলের, লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা হামাস জঙ্গি নেতারা

ইজরায়েল জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে চলে গিয়েছে ৷ গাজার উত্তর দিক থেকে এখনও পর্যন্ত 1.4 মিলিয়ন মানুষ দক্ষিণে সরে গিয়েছে ৷ তার পর তথাকথিত নিরাপদ জায়গাগুলিতে ইজরায়েল হামলা চালাচ্ছে বলে অনেকে উত্তর দিকে এখনও রয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ হামাসের সামরিক শাখা বলেছে যে উত্তর-পশ্চিম গাজা উপত্যকায় ছোট অস্ত্র এবং অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল নিয়ে প্রবেশ করায় ইজরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে তাদের জঙ্গিরা লড়াই করছে ৷ হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র, তেল আভিভ-সহ বিভিন্ন দিকে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে ।

রাষ্ট্রসংঘের তরফে তৈরি করা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য সংস্থা ইউএনআরডাব্লুএ-র গাজার ডিরেক্টর টমাস হোয়াইট বলেছেন, তিন সপ্তাহের যুদ্ধ এবং তার জেরে সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ৷ মানুষ ভীত, হতাশ ও মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ অন্যদিকে ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা জানান, শনিবার ত্রাণ পৌঁছাতেই সর্বত্র মানুষের ভিড় উপচে পড়ে ৷ জ্বালানি নেই ৷ ইজরায়েল সেই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ কারণ, তাদের দাবি যে হামাস জ্বালানিকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করবে ৷

রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় একটি গুদামে 80 টন খাদ্য ছিল ৷ এর পরও খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সেখানে রোজ অন্তত 40টি ট্রাক পাঠাতে হবে ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছেন ৷ গাজার সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানোর উপর জোর দিয়েছে ৷ ইজরায়েলের আশ্বাস, আগামিদিনে গাজায় তারা আরও সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেবে ৷

আরও পড়ুন: গাজায় নাগরিক শৃঙ্খলা ক্রমে ভেঙে পড়ছে, উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ

Last Updated : Oct 30, 2023, 3:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.