কলম্বো, 11 মে : নিরাপত্তাজনিত কারণে বাসভবন থেকে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষেকে ত্রিনকোমালি নৌ-ঘাঁটিতে এয়ারলিফট করেছে শ্রীলঙ্কা সেনাই ৷ বুধবার দেশের সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব কমল গুণারত্নে ৷ একই সঙ্গে তিনি জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যেখানে ইচ্ছে আশ্রয় নিতে পারেন ৷ তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সেনাই (Former Sri Lankan PM to stay in naval base until normalcy returns) ৷
প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন, যতই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান না কেন, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজীবন সরকারি নিরাপত্তা প্রাপ্য মহিন্দা রাজাপক্ষের ৷ 2019 দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে 2005-15 শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন ছিলেন মহিন্দা ৷ স্বাধীনতা পরবর্তী সময় দেশের সর্বাপেক্ষা অর্থনৈতিক সংকটকালে উপায়ান্তর না-দেখে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন তিনি ৷ সোমবার রাজাপক্ষে সমর্থক এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হিংসাত্মক চেহারা নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েন মহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa stepped down from his post on Monday) ৷
সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হঠাতে পুলিশ আসরে নামলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ৷ কলম্বো-সহ শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে হিংসার ঘটনায় 8 জনের মৃত্যুর খবর মেলে ৷ আহত দুই শতাধিক ৷ সোমবার রাতেই দেশের প্রথমসারির একাধিক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত আন্দোলনকারীরা ৷ হাম্বানটোটায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে এবং তাঁর ভাই অর্থাৎ দেশের রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের পৈতৃক ভিটেও ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনা ৷ উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের হাত থেকে মহিন্দা রাজাপক্ষেকে বাঁচাতে তাঁর বসতবাড়ি থেকে তাঁকে বের করে নিয়ে আসে সেনা ৷
আরও পড়ুন : হিংসা রুখতে শ্রীলঙ্কায় 'শ্যুট অ্যাট সাইট' ? আশ্বাস দিলেন সেনাপ্রধান
মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, সপরিবারে ত্রিনকোমালি নৌ-ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আবার দাবি করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন রাজাপক্ষে ৷ যদিও সেই রিপোর্টের সত্যতা খারিজ করে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে সেদেশের কয়েকজন রাজনীতিবিদের ভারতে আশ্রয় গ্রহণের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ভারতীয় হাই কমিশন দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ৷