আন্তাকিয়া (তুরস্ক), 11 ফেব্রুয়ারি: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের (Turkey Earthquake Update) দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত ৷ তুরস্কের ইসকেন্দেরুন শহরে ভারতের তরফে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে ৷ সেই হাসপাতালে অসংখ্য মানুষের চিকিৎসা চলছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই মুহূর্তে সবথেকে জরুরি হল চিকিৎসা পরিষেবা ৷ ভারতের তরফে সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে ৷ এদিকে, ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় 25 হাজার ! এই মৃত্যুমিছিলের মধ্যেই ঘটছে মন ভালো করা কিছু ঘটনা ৷ যেমন- শনিবার ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয় ! এই ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও খুশিতে ঝলমল করে ওঠে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলের মুখ ৷
স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, পাঁচজনের ওই পরিবারের সদস্যরা গত পাঁচদিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে ছিলেন ! এদিন প্রথমে পরিবারের কর্ত্রী হাব্বাকে টেনে বের করা হয় ৷ তাঁর সঙ্গেই বের করে আনা হয়, ওই মহিলার মেয়ে ফতমাগুলকে ৷ পরবর্তীতে মহিলার স্বামী এবং তাঁদের আরও এক মেয়ে এবং একমাত্র ছেলেকেও উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নুরদাগ শহরে ৷ উদ্ধার হওয়া মহিলার স্বামীর নাম হাসান ৷ তাঁদের অন্য এক মেয়ে এবং ছেলের নাম যথাক্রমে জেইনেপ এবং সলতিক ৷
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপের নীচে মেয়ের দেহ, হাত ধরে বসে রয়েছেন বাবা ! ছবিতে চোখে জল বিশ্বের
উদ্ধারকারীরা মনে করছেন, এমন ঘটনা যত বেশি ঘটবে, তত তাঁদের মনোবল বাড়বে ৷ তাঁরা বলছেন, দিন যত এগোচ্ছে, ততই আক্রান্তদের জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা কমছে ৷ এই অবস্থায় একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে জীবন্ত উদ্ধার করার ঘটনা কোনও জাদুর থেকে কম কিছু নয় !
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন দুর্যোগের পর কোনও আক্রান্ত কতদিন বেঁচে থাকবেন, তা এককথায় বলা মুশকিল ৷ এক্ষেত্রে অনেকগুলি বিষয় একসঙ্গে কাজ করে ৷ আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক দৃঢ়তার থেকেও তাঁর দৃঢ় মনোবল এখানে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, একজন মানুষ যদি মানসিকভাবে দৃঢ় হন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতেও তিনি এক সপ্তাহ বা তারও বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারেন ! কিন্তু, একসঙ্গে পরিবারের সকলে বেঁচে রয়েছেন এবং তাঁদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, এমন ঘটনা কমই ঘটে ৷
এদিকে, ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রাণের সন্ধান পেতে উদ্ধারকারীরা প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন ৷ ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিকমানের থার্মাল ক্যামেরা ৷ একইসঙ্গে, বিভিন্ন ধরনের ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সারনোর কাজ চলছে ৷ তবে, তাতে যাতে আটকে থাকা কেউ আহত না হন, সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে ৷ এর ফলে উদ্ধারকাজের গতি কমছে ৷