নয়াদিল্লি, 20 নভেম্বর: ফের টুইটারে ফিরছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Former US President Donald trump) ৷ এমনটাই ঘোষণা করলেন টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক (Twitter Chief Elon Musk) ৷ রবিবার তিনি টুইট করে একথা জানান ৷ মাস্ক জানিয়েছেন ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা হবে ৷
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) কি টুইটারে (Twitter) ফিরিয়ে আনা উচিত ? টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন সংস্থার নয়া মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)। এর জন্য টুইটারেই ভোটাভুটিরও (Twitter Poll) বন্দোবস্ত করেছিলেন । দেখা গিয়েছে অংশগ্রহণকারীদের 51.8 শতাংশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৷ এরপরেই ট্রাম্পের টুইটারে ফেরার কথা ঘোষণা করেন মাস্ক ৷ তিনি টুইট করেন, "মানুষ তাদের কথা বলেছে । প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট আবার ফিরিয়ে আনা হবে । ভক্স পপুলি, ভক্স ডেই ।"
প্রসঙ্গত, টুইটারের মালিকানা খাতায় কলমে হাতে নেওয়ার আগেই টুইটার থেকে ট্রাম্পকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাস্ক । বার্তা দিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার । এমনকী, জবাবে ট্রাম্পও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন । আর গত কয়েকদিন ধরে ট্রাম্পকে নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে । তা সে তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা হোক কিংবা টুইটারের ভার্চুয়াল মঞ্চে ফেরার অনুকূল পরিস্থিতি ।
টুইটারে ইলন মাস্কের নিজের ফলোয়ারের সংখ্যা 116 মিলিয়নেরও বেশি । মাস্ক ট্রাম্পকে নিয়ে করা ভোটাভুটি প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন । লেখেন, "প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কি ফেরানো হবে? হ্যাঁ অথবা না।" অন্য একটি টুইটে লাতিন ভাষার একটি প্রবাদ পোস্ট করেন মাস্ক । তিনি লেখেন, "ভক্স পপুলি, ভক্স দেই"। যার অর্থ হল, "জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী"।
উল্লেখ্য, ক্যাপিট্যাল হিলের অশান্তির পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাকাপাকিভাবে টুইটার থেকে বহিষ্কার করা হয় । ঘটনাটি ঘটে 2021 সালে। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ওই অশান্তি ছড়িয়েছে । প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, 2024 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন তিনি ।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প কি ফিরবেন ? অনলাইন ভোটাভুটিতে উত্তর চাইলেন মাস্ক
এসবের মধ্যেই হ্যাশট্যাগ রিপ টুইটার (#RIPTwitter) সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ের একেবারে শীর্ষে রয়েছে । ইলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক চলছে তো চলছেই । দায়িত্ব নিয়েই টুইটারের শীর্ষ কর্তাকে ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে হালে টুইটার কর্মীদের গণইস্তফার ইঙ্গিত, টাকা দিয়ে ব্লু টিক কেনা'র মতো সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই মনে করছেন, এরপর টুইটারের মান পড়তে বাধ্য । অনেকে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার মাস্কের যুক্তি মেনে নিতে পারছেন না । এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের টুইটারে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে জনতার রায় চান ইলন । আর তার ফল হাতে পেয়েই মাস্কের এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি ৷