গাজিয়ান্তেপ (তুরস্ক), 8 ফেব্রুয়ারি: ভূমিকম্পের (Turkey Earthquake Update) জেরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা (Death Toll in Turkey and Syria) বেড়ে প্রায় 10 হাজার ! তথ্য বলছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই এই অঞ্চলের সবথেকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যার ফলে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে ৷ বুধবার শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে 9 হাজার 400 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর হিসাব বলছে, শুধুমাত্র এই দেশেই অন্তত 6 হাজার 957 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ফলে সবমিলিয়ে (তুরস্ক ও সিরিয়া) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 9 হাজার 487 ৷
অন্যদিকে, সিরিয়া থেকে যেটুকু তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুসারে, সেদেশের সরকারের দখলে থাকা অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1 হাজার 250 ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 2 হাজার 54 জন ৷ পাশাপাশি, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় অন্তত 1 হাজার 280 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত হয়েছেন 2 হাজার 600 জনেরও বেশি মানুষ ৷ উল্লেখ্য, এর আগে 2015 সালে নেপালে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় ৷ সেই কম্পনেরও মাত্রা ছিল 7.8 ৷ তাতে 8 হাজার 800 জনের মৃত্যু হয় ৷ মৃতের সেই সংখ্যা তুরস্ক ও সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে মৃত মায়ের নাড়িতে আটকে সদ্যোজাত, ভূমিকম্পে মৃত প্রায় 8 হাজার
সোমবার ভোরে প্রথম যে কম্পনের অভিঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্ক ও সিরিয়া, তার কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কেরই পাজারসিক শহরের নীচে ৷ বুধবার সেই শহরে যান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান (President Recep Tayyip Erdogan) ৷ ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাতায় শহরে ৷ এদিন সেখানেও যান প্রেসিডেন্ট ৷ সরকারের দাবি, এই মুহূর্তে তুরস্কে প্রায় 60 হাজার উদ্ধারকারী দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন ৷ কিন্তু, তাঁদের আরও সাহায্য দরকার ৷
এদিকে, মৃত্যুমিছিলের মধ্য়েই আশার আলো দেখিয়েছে 3 বছরের শিশু আরিফ খান ৷ সোমবারের ভয়াবহ দুর্যোগের দু'দিন পর তাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করে আনা হয়েছে ৷ কাহরামানমারাসের একটি বহুতলের ধ্বংস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল একরত্তি ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই শিশুর শরীরের নীচের অংশ একটি কংক্রিটের স্ল্যাবের নীচে আটকে ছিল ৷