বেজিং, 27 মে : চিনে ষাটোর্ধ্ব বহু প্রবীণই কোভিড-19 ভ্যাকসিন পাননি ৷ হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে শয্যার বন্দোবস্ত, অ্যান্টিভাইরাল পিলও আছে, তাও তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি ৷ তার মানে কি এই প্রবীণেরা চিন সরকারের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ? তাই তাদের সুরক্ষার রেডার থেকে দূরে রাখতেই এমন অবস্থা ? রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হংকংয়ের একটি সংবাদমাধ্যম (Critics suspect conspiracy as majority of aged population in China remains unvaccinated) ৷
এছাড়া সেন্ট্রাল কমিটি অফ দ্য কমিউনিস্ট পার্টি বা সিসিসিপি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তাও মানছে না চিন ৷ এতে কোভিড সংক্রমণে প্রবীণদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে৷ সাংহাই হাসপাতালে এরকম বহু প্রবীণ করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন, কারণ তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া ছিল না ৷
চিনে ষাটের কম বয়সীদের জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ৷ যেখানে ষাটোর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থ সমস্যায় ভোগেন ৷ পরিবারকে তাদের সব খরচ-খরচা বইতে হয় ৷ দেশে প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ করতে পারবে না সরকার ৷ আর এই বৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী এবং ভারসাম্যরক্ষাকারী উন্নয়নের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ৷
আরও পড়ুন : China: আমেরিকাকে টপকে শীর্ষে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ চিন
'পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না'র ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, 80 বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে 50 শতাংশকে কোভিড-19 ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৷ এতে চিন কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য ঠিক কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা, জানিয়েছে হংকংয়ের সংবাদমাধ্যমটি ৷
চিনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবীণদের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর খবর বেরতেই সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলা হয়, জানাচ্ছে চিনেরই একটি সংবাদমাধ্যম ৷ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বার বার বলেন, "কঠিন পরিশ্রমের ফলেই জয় আসে" ৷ তবে তিনি কোভিড সংক্রমণে বহু প্রবীণের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি ৷
হংকংয়ের সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চিন কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া এবং সরকারি কর্মচারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ তবে তারা সমাজের প্রবীণদের জন্য সময় আর অর্থ কোনওটাই বিনিয়োগ করতে চায় না ৷ বিশেষত যে সব মানুষেরা কর্মক্ষম নেই ৷ সমাজ তথা দেশ কোথাও কোনও কাজে লাগবে না, তাদের জন্য চিন সরকার টাকা খরচ করতে নারাজ ৷