ETV Bharat / international

Boris Johnson: ঋষিকে ঠেকাতে আসরে বরিস ! তড়িঘড়ি ব্রিটেনে ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) ৷ সেই খবর কানে যেতেই ছুটি ছেড়ে ছুটে এলেন বরিস জনসন (Boris Johnson) ৷ তড়িঘড়ি দেশে ফিরে এলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷

Boris Johnson returns to UK as Rishi Sunak qualifies for the race of next Prime minister
Boris Johnson: ঋষিকে ঠেকাতে আসরে বরিস ! তড়িঘড়ি ব্রিটেনে ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
author img

By

Published : Oct 22, 2022, 6:31 PM IST

লন্ডন, 22 অক্টোবর: দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে আবারও ব্রিটিশ রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরার 'খেলা' শুরু করে দিলেন বরিস জনসন (Boris Johnson) ৷ ছুটি শেষ হওয়ার আগে শনিবারই ব্রিটেনে ফিরে এলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ সূত্রের দাবি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) যাতে কিছুতেই বসতে না-পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তড়িঘড়ি দেশে ফিরেছেন বরিস ৷ কারণ, লিজ ট্রাস (Liz Truss) পদত্যাগ করার পর ইতিমধ্যেই ঋষিকে তাঁর উত্তরসূরি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি ৷

প্রসঙ্গত, বিতর্কের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মসনদ ছাড়তে হলেও ঋষিকে প্রথম থেকেই অপছন্দ করেন বরিস ৷ এমনকী, তিনি এও বলেছিলেন, আর যেই হোন, ঋষিকে যেন কনজারভেটিভ পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো না হয় ৷ কিন্তু, লিজ ট্রাসের ইস্তফায় পরিস্থিতি ক্রমেই ঋষির অনুকূলে যেতে শুরু করে ৷ আর সেটা বুঝেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছুটিতে কাটছাঁট করে দেশে ফিরে আসেন বরিস ৷

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে ? দৌড়ে এগিয়ে ঋষি সুনক

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস জনসন ৷ করোনা আবহে শারীরিক দূরত্ববিধি ভেঙে পার্টি করে বিতর্কে জড়ান তিনি ৷ পরবর্তীকালে তাঁর সরকার অন্যান্য বিতর্কেও জড়ায় ৷ এসবের জেরেই শেষমেশ ইস্তফা দিতে হয় বরিসকে ৷ কিন্তু, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর এই প্রত্যাবর্তনে বিরোধীরা তো বটেই, চমকে গিয়েছেন দলীয় সহকর্মীরাও ৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন বরিসের ডেপুটি যিনি ছিলেন, সেই ডমিনিক রাব বলছেন, "আমাদের সামনে এগিয়ে যেতেই হবে ৷ পিছনে ফিরলে হবে না ৷" তাহলে কি বরিসের দলের একাংশও চাইছেন, তিনি ক্ষমতায় ফিরুন ? নাকি একবার বিতর্কে জড়ানো বরিসকে নতুন করে ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে রাজি নন তাঁরা ? এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি ৷

ডমিনিক অবশ্য তাঁর মনের ভাব পুরোপুরি গোপন করেননি ৷ বরং, ঋষি সুনাকের প্রতি যে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, সেই বার্তাই দিয়েছেন ৷ এই প্রসঙ্গে ডমিনিক বলেন, "ঋষি সুনাক প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ৷ অর্থনীতি সম্পর্কে তাঁর অসীম জ্ঞান রয়েছে ৷ আর তাই তিনি একজন অসাধারণ প্রার্থী ৷"

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে ব্রিটেনের অবস্থা শোচনীয় ৷ সময় থাকতে দেশের কর কাঠামোয় সংস্কার না করাতেই আজ সারা দেশকে ভুগতে হচ্ছে ৷ উপরন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ ব্যবসায় মন্দা, বেকারত্ব, ক্রমশ বেড়ে চলা করের বোঝা মাথায় নিয়ে ধুঁকছেন আম ব্রিটিশরা ৷ এই অবস্থায় ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হলেই এক লহমায় সব সমস্যা মিটে যাবে এমনটা কার্যত অসম্ভব ৷ বস্তুত, এখন যিনিই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, তিনি আসলে কাঁটার মুকুট মাথায় পরবেন ৷ এই নিদারুণ সত্যি জানা সত্ত্বেও আবারও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে মরিয়া বরিস জনসন ৷

লন্ডন, 22 অক্টোবর: দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে আবারও ব্রিটিশ রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরার 'খেলা' শুরু করে দিলেন বরিস জনসন (Boris Johnson) ৷ ছুটি শেষ হওয়ার আগে শনিবারই ব্রিটেনে ফিরে এলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ সূত্রের দাবি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) যাতে কিছুতেই বসতে না-পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তড়িঘড়ি দেশে ফিরেছেন বরিস ৷ কারণ, লিজ ট্রাস (Liz Truss) পদত্যাগ করার পর ইতিমধ্যেই ঋষিকে তাঁর উত্তরসূরি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি ৷

প্রসঙ্গত, বিতর্কের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মসনদ ছাড়তে হলেও ঋষিকে প্রথম থেকেই অপছন্দ করেন বরিস ৷ এমনকী, তিনি এও বলেছিলেন, আর যেই হোন, ঋষিকে যেন কনজারভেটিভ পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো না হয় ৷ কিন্তু, লিজ ট্রাসের ইস্তফায় পরিস্থিতি ক্রমেই ঋষির অনুকূলে যেতে শুরু করে ৷ আর সেটা বুঝেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছুটিতে কাটছাঁট করে দেশে ফিরে আসেন বরিস ৷

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে ? দৌড়ে এগিয়ে ঋষি সুনক

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস জনসন ৷ করোনা আবহে শারীরিক দূরত্ববিধি ভেঙে পার্টি করে বিতর্কে জড়ান তিনি ৷ পরবর্তীকালে তাঁর সরকার অন্যান্য বিতর্কেও জড়ায় ৷ এসবের জেরেই শেষমেশ ইস্তফা দিতে হয় বরিসকে ৷ কিন্তু, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর এই প্রত্যাবর্তনে বিরোধীরা তো বটেই, চমকে গিয়েছেন দলীয় সহকর্মীরাও ৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন বরিসের ডেপুটি যিনি ছিলেন, সেই ডমিনিক রাব বলছেন, "আমাদের সামনে এগিয়ে যেতেই হবে ৷ পিছনে ফিরলে হবে না ৷" তাহলে কি বরিসের দলের একাংশও চাইছেন, তিনি ক্ষমতায় ফিরুন ? নাকি একবার বিতর্কে জড়ানো বরিসকে নতুন করে ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে রাজি নন তাঁরা ? এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি ৷

ডমিনিক অবশ্য তাঁর মনের ভাব পুরোপুরি গোপন করেননি ৷ বরং, ঋষি সুনাকের প্রতি যে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, সেই বার্তাই দিয়েছেন ৷ এই প্রসঙ্গে ডমিনিক বলেন, "ঋষি সুনাক প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ৷ অর্থনীতি সম্পর্কে তাঁর অসীম জ্ঞান রয়েছে ৷ আর তাই তিনি একজন অসাধারণ প্রার্থী ৷"

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে ব্রিটেনের অবস্থা শোচনীয় ৷ সময় থাকতে দেশের কর কাঠামোয় সংস্কার না করাতেই আজ সারা দেশকে ভুগতে হচ্ছে ৷ উপরন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ ব্যবসায় মন্দা, বেকারত্ব, ক্রমশ বেড়ে চলা করের বোঝা মাথায় নিয়ে ধুঁকছেন আম ব্রিটিশরা ৷ এই অবস্থায় ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হলেই এক লহমায় সব সমস্যা মিটে যাবে এমনটা কার্যত অসম্ভব ৷ বস্তুত, এখন যিনিই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, তিনি আসলে কাঁটার মুকুট মাথায় পরবেন ৷ এই নিদারুণ সত্যি জানা সত্ত্বেও আবারও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে মরিয়া বরিস জনসন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.