হায়দরাবাদ / খান ইউনিস, 20 অক্টোবর: গাজা স্ট্রিপের আল আহলি আরব হাসপাতালে বিস্ফোরণের স্মৃতি টাটকা থাকতে থাকতেই আবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর মিলল ওই এলাকা থেকে ৷ অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সেখানে একটি মধ্যযুগীয় চার্চে বিমান হামলা হয় ৷ সেই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন ৷ অনেকে চার্চের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছেন ৷
গত মঙ্গলবার হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে ৷ ইজরায়েলি হানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এক্ষেত্রেও অভিযোগের তির ইজরায়েলের দিকেই ৷ জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্ক সেন্ট পোরফিরিওসের চার্চে এই হামলার জন্য ইজরায়েলি বাহিনীর নিন্দা করেছে ।
হাসপাতালে হামলা নিয়ে যদিও বিতর্ক আছে ৷ হামাস ইজরায়েলকে অভিযুক্ত করলেও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷ তাদের দাবি, জঙ্গিদের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালে গিয়ে পড়ে ৷ তার জেরেই এই বিস্ফোরণ ৷
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আল আহলি হাসপাতালের কাছেই এই চার্চ অবস্থিত ৷ সেখানে গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ৷ শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর আবু সেলমিয়ার মতে, সেন্ট পোরফিরিওসের চার্চে বহু মানুষ আহত হয়েছেন । মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় তিনি সুনির্দিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা জানাতে পারেননি । প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষও এই হামলার জন্য ইজরায়েলকেই দায়ী করেছে ৷
জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্ক জানিয়েছে, ওই চার্চ-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় যেখানে গাজার সাধারণ মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে লোক সরাতে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে ইজরায়েলের তরফে ৷ মানুষকে সহায়তার দেওয়ার কাজ এর পরও তারা বন্ধ করে দেবে না ৷ কারণ, এটাই তাদের কর্তব্য ৷
এদিকে গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় 3 হাজার 785 জন নিহত হয়েছে ৷ যাদের অধিকাংশই নারী, শিশু এবং বয়স্ক । প্রায় সাড়ে 12 হাজার মানুষ আহত হয়েছেন ৷ আরও 1300 জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তাদের প্রায় 1400 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ দু’শোজনকে অপহরণ করেছে হামাস ৷
(সংবাদসংস্থা এপি-র ইনপুট-সহ)
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আরও ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সচেষ্ট, ইজরায়েল থেকে ফিরে বললেন বাইডেন