ওয়াশিংটন, 12 অক্টোবর: গত শনিবার অতর্কিত হামলায় ইজরায়েলকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল হামাস। তারপর থেকে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী। পালটা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েল সরকারও। আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণা করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বুধবার ভোরেই ইজরায়েলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌঁছেছে আমেরিকার প্রথম বিমান। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইজরায়েলের উপরে হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলের পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ৷ রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বুধবার এ নিয়ে বলেন, "ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলা ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার বেদনাদায়ক স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে ৷"
এর পাশাপাশি বাইডেন শনিবারের হামলাকে হলোকাস্টের পর ইহুদিদের জন্য 'সবচেয়ে মারাত্মক দিন' বলেও অভিহিত করেছেন ৷ উল্লেখ্য, হামাসের আক্রমণে বারোশোর বেশি ইজরায়েলি নাগরিককে হত্যা করেছে তারা, এমনটই অভিযোগ তেল আভিভের। আরও শতাধিক মানুষকে অপহরণ করা হয়েছে। পালটা গাজা ভূখণ্ডে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আরও অন্তত 1100 প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তো বটেই, এমনকী সোশাল মিডিয়াতেও যেন যুদ্ধ চলছে।
সকলেই দুই পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছে। হামাসের হামলাকে কেউ কেউ বলছেন সন্ত্রাসবাদী হামলা। আবার কেউ কেউ উল্লেখ করছেন, বছরের পর বছর ধরে প্যালেস্তাইনিদের উপর চলা ইজরায়েলি দমন-পীড়নের কথা। তবে মার্কিন মুলুক প্রথম থেকেই ইজরায়েলের পাশে রয়েছে ৷ গতকাল বিকেলে, বিডেন ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় জো বাইডেনের ৷ সেখানেই তিনি হামাস হামলাকে নিন্দা করেছেন ৷ এরপর তিনি বলেন, "আমি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি মায়োরকাস এবং অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ড-সহ আমার দলের সদস্যদেরকে ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে থাকতে বলেছি ৷"
এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 14 জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাইডেন এবং আরও 17 জনের কোনও খবর নেই ৷ আজ, বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলে যেতে পারেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে ভারতীয় দূতাবাসে খোলা হল হেল্পলাইন, বার্তা দিলেন রাষ্ট্রদূত সঞ্জীব সিঙ্গলা