অমৃতসর/লাহোর, 17 মার্চ: ভগৎ সিংয়ের শহিদ দিবস পালনে বাধা ৷ এমনই অভিযোগ পাকিস্তানের ভগৎ সিং মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ রশিদ কুরেশি ৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো আসন্ন 23 মার্চ লাহোরে বিপ্লবী ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবের শহিদ দিবস উদযাপন করা হবে ৷ কিন্তু পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হুমকি দিয়েছে তারা অনুষ্ঠানস্থল উড়িয়ে দেবে (Bhagat Singh Memorial Foundation of Pakistan (BSMFP chairman alleges of bomb threat for not celebrating of Bhagat Singh martyrdom day in Lahore) ৷
এসব সত্ত্বেও বিএসএমএফপি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছ ৷ তারা জানিয়েছে, এই জঙ্গি হামলার হুমকিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ফি বছরের মতোই যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করবে 23 মার্চ (Bhagat Singh martyrdom day in Lahore) ৷ গত বছর এই অনুষ্ঠানে আক্রমণ চালানো হয়েছিল ৷ চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ রশিদ কুরেশি আরও জানান, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বহু পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠন এই অনুষ্ঠান না-করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাঁকে ৷
তাঁর দাবি, এই অনুষ্ঠান করতে গিয়ে কারও প্রাণনাশ হলে বা কেউ জখম হলে অথবা সম্পত্তির ক্ষতি হলে, তার জন্য প্রাথমিক ভাবে দায়ী থাকবে পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকার ৷ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই লাহোরে 23 মার্চ ভগৎ সিংয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে ছবিটা বদলেছে ৷ অনুষ্ঠান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আয়োজকদরে ৷ এই ফাউন্ডেশনের নেতা-সদস্যদের এবং ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেবের অনুরাগী পাকিস্তানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে উপর ইট, টমেটো, লাঠি ছোড়া হয়েছে ৷ অভিযোগ, এই সব করছে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ৷
বিএসএমএফপি এই শহিদ দিবস অনুষ্ঠান এবং তৎসংক্রান্ত হুমকি নিয়ে পাক প্রশাসনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ৷ এত কিছু হলেও তারা কোনও বছর এই শহিদ দিবস পালন থেকে সরে আসেনি । বরং ভালো করে অনুষ্ঠান করেছে ৷ বিএসএমএফপি সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সেটি পঞ্জাবের মুখ্যসচিব, পঞ্জাব পুলিশের আইজি এবং পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, 1931 সালের 23 মার্চ ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপরকে ফাঁসি দেওয়া হয় ৷ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তাঁদের এই আত্মবলিদান আজও স্মরণীয় ৷
আরও পড়ুন: জীবনে একবারই গুলি ছুড়েছিলেন ভগৎ সিং