নয়াদিল্লি, 17 ফেব্রুয়ারি: বিবিসির সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের সম্পর্ক নেই ৷ ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন, ঋষি সুনাক সরকারের কোনও বর্ধিত অংশ নয় ৷ তাই মোদিকে নিয়ে তাদের তৈরি তথ্যচিত্রটি ব্রিটিশ সরকারের মতামত প্রতিফলিত করে না ৷ এই ভাষাতেই দেশের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তুলোধনা করলেন ব্রিটিশ এমপি রবার্ট জন ব্ল্যাকম্যান (UK MP Robert John Blackman slams BBC over PM Narendra Modi Documentary) ৷
2002 সালে গুজরাত দাঙ্গা ও রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' (India: the Modi Question) নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ ৷ ভারতে প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ৷ এমনকী সামাজিক মাধ্যম থেকেও এর লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে মোদি-সরকার ৷ এখনও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে ৷ এরপর মঙ্গলবার সকাল 11.30 মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাত- প্রায় 60 ঘণ্টারও বেশি সময় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে লাগাতার 'সার্ভে' চালিয়েছে আয়কর দফতর ৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি দু'পর্বের সিরিজের জন্য এই মাশুল দিতে হল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে ৷
ব্রিটিশ এমপি ব্ল্যাকম্যান এই তথ্যচিত্রকে 'প্রোপাগান্ডা ভিডিয়ো' বলেও উল্লেখ করেন । তাঁর কথায়, "এই তথাকথিত তথ্যচিত্রটি নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তৈরি ৷ দু'পর্বের এই সিরিজ নিম্নমানের সাংবাদিকতার পরিচায়ক ৷ এখানে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসম্মানজনক ৷"
আরও পড়ুন: বিবিসি দফতরে আয়করের তল্লাশি, কৌশলী অবস্থান নিল বাইডেন প্রশাসন
তিনি আক্ষেপ করেন, "ভারত-ব্রিটিশ সম্পর্ক নষ্ট করতে বিবিসি এই মতলব ফেঁদেছে বলে মনে হচ্ছে ৷ তবে একটি বিষয়ে আমি প্রচারমূলক ভিডিয়োর সঙ্গে একমত ৷ শেষে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকার বারবার জিতবে ৷ ব্রিটিশ সরকার ভারতকে একজন শক্তিশালী বন্ধু এবং মিত্র হিসেবে দেখে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দারুণ কাজ করেছে ৷ দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর হয়েছে ৷ এখন ভারত বিশ্বের অর্থনীতিকে পথ দেখাচ্ছে ৷"
ব্ল্যাকম্যান আরও বলেন, "আমাদের দু'টি দেশের একটি অতীত আছে ৷ আছে একটা দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ ৷ অবিশ্বাস্য একটা মুক্ত বাণিজ্য (free trade deal) নিয়ে আমাদের দু'টি দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে ৷ যার ফলে ভারত এবং ব্রিটেন- দু'টি দেশই উপকৃত হবে ৷ তাই যে কোনও কিছু আমাদের এই সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দিলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷"
আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসি'কে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের, ধাক্কা খেল হিন্দু সেনা