ঢাকা, 11 এপ্রিল: বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর তীব্র সমালোচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ তিনি এই সংবাদপত্রকে আওয়ামি লিগ, গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের জনগণের শত্রু বলে বর্ণনা করেছেন ৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই খবর জানিয়েছে ৷ প্রথম আলো দেশের অন্ধকার তুলে ধরতে সাত বছর বয়সি এক শিশুকে খাদ্যের ঘাটতি নিয়ে মিথ্যে বলতে উৎসাহিত করেছে বলে অভিযোগ করেন হাসিনা ৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাঁরা এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষে কথা বলছে ।" সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে টেবিল চাপড়ে 'লজ্জা, লজ্জা' বলতে শুরু করেন ।
হাসিনার কথায়, "একটি সাত বছর বয়সি শিশুকে 10 টাকা দিয়ে মিথ্যে বলার জন্য উত্সাহিত করা হয়েছিল । এবং তাও একটি বক্তব্যের জন্য — প্রত্যেকের জন্য মাংস এবং ভাত (খাবার) নিশ্চিত করার জন্য আমাদের স্বাধীনতা দরকার । তারা শিশুটির কথা প্রকাশ করেছে । এটি একটি জনপ্রিয় দৈনিক দ্বারা করা হয়েছিল । নাম প্রথম আলো, কিন্তু তারা অন্ধকারের ছায়ায় কাজ করে ৷"
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে একটি অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে কথা বলার জন্যও প্রথম আলোর নিন্দা করেন হাসিনা ৷ এই দৈনিককে তিনি ভাবতে বলেন যে, 2007-2008 সময়কালে এমন একটি সরকার থেকে কারা লাভবান হয়েছিল । হাসিনা বলেন, "আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই যে, তারা কখনওই দেশে স্থিতিশীলতা চায় না । 2007 সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন তারা উল্লসিত হয় । তখনই দুটি সংবাদপত্র (তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য) হাত গুটিয়ে নেয় ৷"
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন যে, যারা একটি অনির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করে, যারা জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় এবং জানে যে তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে না, তারা বিভিন্ন উপায়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে । আওয়ামি লিগের সভাপতি শেখ হাসিনার মতে, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে একটি নির্বাচন করানোর জন্য বাধ্য করা হয়েছিল (2008 সালে) যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) 300 আসনের মধ্যে মাত্র 30টি আসন পেয়েছিল আর হাসিনার দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "তারা মাত্র 30টি আসন পেয়েছিল (2008 সালের নির্বাচনে) এবং কীভাবে তারা এর থেকে বেশি পাবে ? আমরা কাজের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন পেয়েছি এবং এটা আমাদের দোষ নয় । আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব ৷" তাঁর কথায়, নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় তাঁর সরকার 2009 সাল থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জনগণের রায়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় রয়েছে ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ডিজেল পাইপলাইনের উদ্বোধন মোদি-হাসিনার