ওয়াশিংটন, 15 ফেব্রুয়ারি: বিবিসি'র দফতরে আয়কর হানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল না-বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানালেন, দিল্লির বিবিসি অফিসে আয়করের তল্লাশি অভিযানের বিষয়টি তিনি জানেন (State Department Spokesperson Ned Price commented about the raid )। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার মতো জায়গায় তিনি নেই। ঠিক কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে তা ভারতীয় প্রশাসনের পক্ষেই বলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
তাঁর কথায়,"আমরা গোটা বিশ্বে সাংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে । পাশাপাশি মতামত প্রকাশের অধিকার থেকে শুরু করে মানবাধিকারেরও পক্ষে। এই মনোভাব আমেরিকা এবং ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে।" এরপরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কী মনে করেন, এই ধরনের আচরণে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? এই প্রশ্নেরও সরাসরি জবাব দেননি তিনি। তাঁর কথায়,"আমি বলতে পারব না । তল্লাশি অভিযানের কথা শুনেছি । কিন্তু সেটা ভাল না-খারাপ তা বলার মতো অবস্থায় আমি নেই।" রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না-করে কৌশলী অবস্থান নুিয়েছে আমেরিকা ।
বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বই দফতরে মঙ্গলবার হানা দেয় আয়কর দফতর । কর ফাঁকি থেকে শুরু করে কয়েকটি বিষয় নিয়েই এই 'সার্ভে' চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে । বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, এই তল্লাশি অভিযানের নেপথ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ আছে। কিছুদিন আগে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুটি তথ্যচিত্র তৈরি করে বিবিসি । সেই দুটি তথ্যচিত্রে দাঙ্গার জন্য গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অকারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের । এরপরই ওই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন বন্ধ হয়েছে দেশে । বিরোধীদের দাবি এই তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু পছন্দ হয়নি বলেই আয়কর দপ্তরকে দিয়ে তল্লাশি করিয়েছে কেন্দ্র । তাছাড়া বিবিসির তথ্য়চিত্র প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:বিবিসি দফতরে আয়কর হানার নিন্দায় সিপিএম, পলিটব্যুরোর বিবৃতি প্রকাশ