ETV Bharat / international

Harsh Vardhan Shringla : আফগানিস্তানে পাকিস্তানের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত ও আমেরিকা, জানালেন বিদেশ সচিব

আফগানিস্তানে খুব দ্রুত পরিস্থিতি পালটাচ্ছে ৷ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর গোটা দেশে এখন তালিবান শাসন ৷ আফগানিস্তান-সহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা করতে 3 দিনের আমেরিকায় উচ্চআধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ৷ ভারত-তালিবান-আফগানিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন তিনি সাংবাদিকদের ?

বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
author img

By

Published : Sep 4, 2021, 11:11 AM IST

ওয়াশিংটন, 4 সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তানে এখন তালিবান শাসনতন্ত্র ৷ 15 অগস্টের পর থেকে খুব দ্রুত পরিস্থিতির বদল হয়েছে ৷ মার্কিন সেনারাও দেশে ফিরে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে ভারত (India) ও আমেরিকা (United States), জানালেন বিদেশ সচিব (Foreign Secretary) হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla) ৷

বুধবার 3 দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেখানে বাইডেন প্রশাসনের উচ্চআধিকারিকদের সঙ্গে আফগানিস্তান-সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক করেন শ্রিংলা ৷ বৃহস্পতিবার তিনি সেক্রেটারি অফ স্টেট (Secretary of State) অ্যান্টনি ব্লিনকেনের (Antony Blinken) সঙ্গে দেখা করেন ৷

আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের অবস্থান

শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "অবশ্যই, আমাদের মতো তারাও (আমেরিকা) কী হচ্ছে, সেদিকে খুব ভাল করে খেয়াল রাখছে ৷ পাকিস্তান এখন কী করে, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাতে হবে ৷" বাইডেন প্রশাসন প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সে বিষয়ে আমেরিকা "অপেক্ষা করা আর নজর রাখা" নীতি (wait-and-watch policy) নিয়েছে ৷

ভারতও একই নীতি নিয়েছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে কিছু করা হবে না, জানান বিদেশ সচিব ৷ এই প্রসঙ্গে শ্রিংলা বলেন, "প্রাথমিক স্তরে অবস্থা যে কোনও মুহূর্তে বদলাতে পারে ৷ তাই এখন এর কী কী পরিবর্তন হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার ৷ জনসমক্ষে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সত্যি সত্যি মানা হচ্ছে কি না আর কী ভাবে তা কার্যকর করা হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে ৷"

আরও পড়ুন : Taliban : চিন-রাশিয়াই গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী, জানিয়ে দিল তালিবান

পাকিস্তান-তালিবান সম্পর্ক

পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, "আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ৷ তারা তালিবানদের সমর্থন করেছে আর পুষ্ট করেছে ৷ অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের সাহায্য করেছে ৷"

ইউএনএসসি সংকল্প

ভারতের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকায় (UN sanctions list) জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) আর লস্কর-ই-তইবা-কে (Lashkar-e-Taiba) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এই দু'টি জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি ৷ আফগানিস্তানে এরা বিনা বাধায় যাওয়া-আসা করতে পারে ৷ তারা এবং এই ক্ষেত্রে পাকিস্তান কী করে, তাও দেখতে হবে ৷

আমেরিকা সব সময় বলেছে যে এ বিষয়ে তালিবানরা তাদের কথা দিয়েছে ৷ তালিবানরা আর কোনও ভাবে আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে দেবে না, যা অন্য দেশগুলির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে ৷ এমনকি আমেরিকা পরিষ্কার করে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তান থেকে কোনও রকম জঙ্গি কার্যকলাপ সংগঠিত হলে, তার জন্য তালিবানদের দায়ী করা হবে ৷ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিরও একই দাবি ৷

তালিবান-ভারত সম্পর্ক

তিনি বলেন, "ওদের (তালিবান) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ৷ এমনটা নয় যে আমাদের মধ্যে খুব জোরালো কথাবার্তা হয়েছে ৷ তবু এখনও পর্যন্ত যেটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা যুক্তিসঙ্গত ভাবে আমাদের বিচার-বিবেচনা করবে ৷"

দোহাতে তালিবান নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ

"আমাদের বিবৃতিতে আমরা তাদের জানিয়েছি যে, তাদের দেশ যেন আমাদের দেশ বা অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর কেন্দ্র না হয়ে ওঠে ৷ তারা যেন এ বিষয়ে অবগত থাকে ৷ আর তারা যেন তাদের দেশের নারীর অবস্থানের দিকে খেয়াল রাখে ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিও ৷ আর যেমন আপনারা জানেন যে, তাদের দিক থেকে তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে", তালিবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলেন বিদেশ সচিব ৷

আফগানিস্তান প্রসঙ্গে, সেখানে পাকিস্তানের ভূমিকা, আর কী ভাবে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়, এই সব বিষয়ে আমরা অবশ্যই আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি ৷

এদিকে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন (Suhail Shaheen) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সম্প্রতি আফগানিস্তানের একটি গুরুদ্বারা থেকে পতাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কিছু হিন্দু আর অন্যরা তালিবানদের দায়ী করেছে ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল এবং তারা তাদের ধর্মীয় আচার-বিচার চালিয়ে যেতে পারে ৷ তারা যেমন এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তেমনই আমাদেরও মুসলিমদের নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে ৷ তারা ভারতে কাশ্মীরের মুসলিম হোক বা অন্য যে কোনও দেশের হোক না কেন ৷"

ওয়াশিংটন, 4 সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তানে এখন তালিবান শাসনতন্ত্র ৷ 15 অগস্টের পর থেকে খুব দ্রুত পরিস্থিতির বদল হয়েছে ৷ মার্কিন সেনারাও দেশে ফিরে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে ভারত (India) ও আমেরিকা (United States), জানালেন বিদেশ সচিব (Foreign Secretary) হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla) ৷

বুধবার 3 দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেখানে বাইডেন প্রশাসনের উচ্চআধিকারিকদের সঙ্গে আফগানিস্তান-সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক করেন শ্রিংলা ৷ বৃহস্পতিবার তিনি সেক্রেটারি অফ স্টেট (Secretary of State) অ্যান্টনি ব্লিনকেনের (Antony Blinken) সঙ্গে দেখা করেন ৷

আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের অবস্থান

শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "অবশ্যই, আমাদের মতো তারাও (আমেরিকা) কী হচ্ছে, সেদিকে খুব ভাল করে খেয়াল রাখছে ৷ পাকিস্তান এখন কী করে, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাতে হবে ৷" বাইডেন প্রশাসন প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সে বিষয়ে আমেরিকা "অপেক্ষা করা আর নজর রাখা" নীতি (wait-and-watch policy) নিয়েছে ৷

ভারতও একই নীতি নিয়েছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে কিছু করা হবে না, জানান বিদেশ সচিব ৷ এই প্রসঙ্গে শ্রিংলা বলেন, "প্রাথমিক স্তরে অবস্থা যে কোনও মুহূর্তে বদলাতে পারে ৷ তাই এখন এর কী কী পরিবর্তন হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার ৷ জনসমক্ষে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সত্যি সত্যি মানা হচ্ছে কি না আর কী ভাবে তা কার্যকর করা হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে ৷"

আরও পড়ুন : Taliban : চিন-রাশিয়াই গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী, জানিয়ে দিল তালিবান

পাকিস্তান-তালিবান সম্পর্ক

পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, "আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ৷ তারা তালিবানদের সমর্থন করেছে আর পুষ্ট করেছে ৷ অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের সাহায্য করেছে ৷"

ইউএনএসসি সংকল্প

ভারতের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকায় (UN sanctions list) জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) আর লস্কর-ই-তইবা-কে (Lashkar-e-Taiba) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এই দু'টি জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি ৷ আফগানিস্তানে এরা বিনা বাধায় যাওয়া-আসা করতে পারে ৷ তারা এবং এই ক্ষেত্রে পাকিস্তান কী করে, তাও দেখতে হবে ৷

আমেরিকা সব সময় বলেছে যে এ বিষয়ে তালিবানরা তাদের কথা দিয়েছে ৷ তালিবানরা আর কোনও ভাবে আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে দেবে না, যা অন্য দেশগুলির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে ৷ এমনকি আমেরিকা পরিষ্কার করে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তান থেকে কোনও রকম জঙ্গি কার্যকলাপ সংগঠিত হলে, তার জন্য তালিবানদের দায়ী করা হবে ৷ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিরও একই দাবি ৷

তালিবান-ভারত সম্পর্ক

তিনি বলেন, "ওদের (তালিবান) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ৷ এমনটা নয় যে আমাদের মধ্যে খুব জোরালো কথাবার্তা হয়েছে ৷ তবু এখনও পর্যন্ত যেটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা যুক্তিসঙ্গত ভাবে আমাদের বিচার-বিবেচনা করবে ৷"

দোহাতে তালিবান নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ

"আমাদের বিবৃতিতে আমরা তাদের জানিয়েছি যে, তাদের দেশ যেন আমাদের দেশ বা অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর কেন্দ্র না হয়ে ওঠে ৷ তারা যেন এ বিষয়ে অবগত থাকে ৷ আর তারা যেন তাদের দেশের নারীর অবস্থানের দিকে খেয়াল রাখে ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিও ৷ আর যেমন আপনারা জানেন যে, তাদের দিক থেকে তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে", তালিবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলেন বিদেশ সচিব ৷

আফগানিস্তান প্রসঙ্গে, সেখানে পাকিস্তানের ভূমিকা, আর কী ভাবে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়, এই সব বিষয়ে আমরা অবশ্যই আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি ৷

এদিকে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন (Suhail Shaheen) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সম্প্রতি আফগানিস্তানের একটি গুরুদ্বারা থেকে পতাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কিছু হিন্দু আর অন্যরা তালিবানদের দায়ী করেছে ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল এবং তারা তাদের ধর্মীয় আচার-বিচার চালিয়ে যেতে পারে ৷ তারা যেমন এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তেমনই আমাদেরও মুসলিমদের নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে ৷ তারা ভারতে কাশ্মীরের মুসলিম হোক বা অন্য যে কোনও দেশের হোক না কেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.